লাইফ
একবিংশ শতকের প্রায় সিকিভাগ কাটিয়ে দেওয়ার পরও কলুটোলার ফুটপাথে হাঁটতে গিয়ে আপনার চোখে যদি পড়ে ৮০-৮৫ বছর আগে নিউ ইয়র্ক থেকে বেরনো কোনও ম্যাগাজিনের ডাঁই করে রাখা একগুচ্ছ সংখ্যা, আপনি কি থেমে দাঁড়াবেন না? উপরন্তু, মাপে তারা নেহাত খাটো নয়— কম-সে-কম একহাত লম্বা আর সমানুপাতে চওড়া পত্রিকাগুলির ওপরে ছাপা সুবিশাল এক-একটি ফোটোগ্রাফ, আপনাকে সেগুলি হাতে তুলে দেখার জন্য দূর থেকে প্রলুব্ধ করতেও সক্ষম। সময়ের অভিঘাতে ছাপা ঈষৎ বিবর্ণ হয়ে গেলেও তাদের অটুট আবেদনে চকচক করে উঠবে আপনার চোখ। শেষমেশ, সেদিনের দশ সেন্ট দামের এক-একটি কাগজ আজ শ-দুয়েক আইএনআর-এ খরিদ করে প্রশান্ত চিত্তে আপনি নিজের গন্তব্যের দিকে হাঁটা লাগাবেন।
কল্পরচনা নয়, এ হুবহু বাস্তবের ধারাবিবরণ। পত্রিকার নাম ‘লাইফ’। ফোটোগ্রাফির জন্য একদা জগৎজোড়া খ্যাতি ছিল এই মার্কিন পত্রিকার। কলকাতার পুরনো বই-বিক্রেতাদের কাছে এখনও এই ম্যাগাজিনের আন্তর্জাতিক সংস্করণের গ্রাহক কপিগুলি চাক্ষুষ করলে হাতে-কলমে আন্দাজ মেলে যে, এ-শহরেও সেকালে এই ম্যাগাজিনের ঢেউ পৌঁছেছিল।
অবিভক্ত বাংলা সরকারের প্রথম সরকারি চিত্রগ্রাহক ছিলেন নীরোদ রায়। তিনি ফোটোগ্রাফির করণকৌশল নিয়ে বাংলা ভাষায় একাধিক বইও লেখেন। ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত ‘ফটো সাংবাদিকতা’ বইয়ে তিনি ভারতীয় পত্র-পত্রিকার তুলনায় বিলেত-আমেরিকার ম্যাগাজিনে ফোটোগ্রাফিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা বোঝাতে এই ‘লাইফ’ পত্রিকার প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। পেশাদার ও অপেশাদার ফ্রিলান্স ফোটোগ্রাফারদের প্রতি ‘লাইফ’-এর নির্দেশাবলি তুলে ধরে দেখাচ্ছেন, কতটা সচেতন একজন চিত্রগ্রাহকের হওয়া দরকার।
আরও পড়ুন : প্রচ্ছদ ভাঁজ করলেই ঝলসে উঠত ব্যঙ্গের ছুরি, বেরিয়ে আসত প্রশ্নের জবাব…
এবং এর পরেই বিশেষ গুরুত্ব-সহ রুলের আয়তাকার বক্সের ভেতরে জানাচ্ছেন ‘লাইফ-এর মৃত্যু’ সংবাদ— ‘বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন ক’রে যে-সাপ্তাহিক পত্রিকা কৃতিত্বের সঙ্গে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ পাঠকের চোখের সম্মুখে মানব-সমাজের জীবনযাত্রার বিভিন্ন রূপ তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিল, সেই বিখ্যাত ‘লাইফ’-এর মৃত্যু হ’ল ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৩৬। নিউ ইয়র্কের পত্রিকার মালিকরা জানালেন, টেলিভিশনের প্রসার, অত্যধিক ডাক-ব্যয়বৃদ্ধি এবং বিশেষ ক’রে অনবরত লোকসানের আঘাত— এসবই পত্রিকার অকাল-মৃত্যুর কারণ। মৃত্যুকালে লাইফ-পরিবারে ৩২০ জন নিযুক্ত ছিলেন প্রোডাকশনের কাজে এবং ৩৫০ জন কাজ করেছিলেন প্রকাশন সংক্রান্ত ব্যাপারে। প্রকাশকরা জানিয়েছেন, শেষের চার বছরে তাঁদের আর্থিক লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিলো ৩০০ লক্ষ ডলার।’
এই অংশটুকু থেকে বোঝা যায়, ‘লাইফ’-এর যাত্রা শেষের পাঁচ বছর পরেও বাঙালি পাঠককে সে-বিষয়ে অবহিত করা জরুরি মনে করেছেন লেখক। তবে যে-কালখণ্ডের কথা এখানে উঠে এসেছে, তার আগেও ‘লাইফ’-এর একদফা যাত্রা শুরু ও যাত্রা শেষের পর্ব রয়েছে! যদিও সেখানে চিত্র-সাংবাদিকতার ভূমিকা নেই, সেই প্রকাশ ছিল সাধারণ লেখাপত্র আর রঙ্গব্যঙ্গে ভরা। অলংকরণ আর কার্টুনে সজ্জিত।
প্রকৃত প্রস্তাবে ‘লাইফ’-এর পথ চলা শুরু উনিশ শতকে। ১৮৮৩ সালের ৪ জানুয়ারি প্রকাশিত হয় প্রথম সংখ্যা। নেতৃত্বে মার্কিন স্থপতি, শিল্পী ও লেখক জন এইমস মিচেল। তাঁর সঙ্গী ছিলেন অ্যান্ড্রু মিলার ও এডওয়ার্ড স্ট্যানফোর্ড মার্টিন। শুধুই লগ্নি করা কিংবা প্রকাশকের দায়িত্ব সামলানো নয়, ‘লাইফ’-এর লোগো ও মাস্টহেড ডিজাইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজও নিজেই করেছিলেন মিচেল। কেমন হতে চলেছে ‘লাইফ’— পাঠকদের আভাস দিতে প্রথম সংখ্যার ‘What is Life?’ শীর্ষক শুরুয়াতি কলমে লেখা হচ্ছে—‘Fun is very good for men, and, provided it is of the right sort, the more they have of it, the better. / We wish to have some fun in this paper, and to have it as nearly of the right sort as may be.’ পরবর্তী কয়েক দশক ধরে হাস্যরসের এই ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে গিয়েছে ‘লাইফ’। নতুন মুদ্রণ-প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও ভালভাবে অলংকরণ ছাপায় নজর দিয়েছে। প্রচ্ছদের ক্ষেত্রেও চেষ্টা করেছে অভিনব ভাবনাচিন্তাকে ঠাঁই দিতে।
অল্প সময়ের মধ্যে নজর কাড়লেও, ‘Judge’ বা ‘Puck’-এর মতো সেকালের বিখ্যাত ব্যঙ্গধর্মী পত্রিকাগুলির সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু তাঁরা বিশ্বাস করতেন— ‘While there’s Life, there’s hope.’ সেই আশাবাদকে আরও জোরদার করেছিল শিল্পী চার্লস ডানা গিবসন-এর যোগদান। বিশ শতকের তৃতীয় দশক থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে ‘লাইফ’। হাস্যরসের মান ধরে রাখার লক্ষ্য থেকেও বিচ্যুত হয়। শেষমেশ তিনের দশকে এসে বন্ধ হয়ে যায় আদি ‘লাইফ’ পত্রিকা।
এখান থেকেই ‘লাইফ’-এর পুনর্জন্ম। শুধু হাতবদল হলেও, নতুন ‘লাইফ’ যেন ভোল বদলে আগাগোড়া নতুন পত্রিকা হয়ে উঠেছিল। ‘Time’ বা ‘Fortune’-এর মতো বিখ্যাত ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি রবিনসন লুস মালিকানা নিয়ে প্রথমেই বদলে দিলেন লোগো। নাম এক থাকলেও, ভরাট লাল আয়তক্ষেত্রের বিপরীতে সান্স-সেরিফের স্পষ্টাক্ষর ‘লাইফ’-কে করে তুলল স্বতন্ত্র ও স্থিত। ১৯৩৬ সালের ২৩ নভেম্বর প্রকাশিত হল নব রূপে প্রথম সংখ্যা। প্রচ্ছদ জুড়ে ছাপা হল মন্টানা-র ফোর্ট পেক-এর একটি বাঁধের সাদা-কালো নিটোল ফোটোগ্রাফ। ওপরে শুধু খানিক লাল রঙের ছোঁয়া।
শুরু থেকেই এই পত্রিকা সুনির্দিষ্টভাবে ফোটোগ্রাফিকে গুরুত্ব দিয়েছে। চেয়েছে ইমেজের মাধ্যমে কথা বলতে। চেয়েছে কলমের চেয়েও ক্যামেরাকে এগিয়ে রাখতে। প্রথম সংখ্যার মলাট উল্টেই, সম্পাদকীয় বিবৃতির আগে পাতাজোড়া ছবিতে দেখা যায় এক চিকিৎসকের হাতে ধরা সদ্যোজাত। নিচে লেখা শিরোনাম— ‘Life Begins’। সঙ্গে ছ-লাইনের পরিমিত বক্তব্য, যা শুরু হয় এইভাবে— ‘The camera records the most vital moment in any life: Its beginning…’
ফোটো-সাংবাদিকতার তথ্যনিষ্ঠতার সঙ্গে এক নান্দনিক বহুমাত্রিকতাকে জুড়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল ‘লাইফ’। এর নেপথ্যে যেমন ছিল ফোটোগ্রাফির মান, তেমনই ছিল ছিমছাম, কিন্তু অনন্য পৃষ্ঠাসজ্জা। ‘লাইফ’-এর লেন্সে তৎকালীন মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গিকেই তুলে ধরা হয়েছিল, কিন্তু একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে ছবিতে ধরতে পিছপা হয়নি এই পত্রিকা। যাত্রা শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই ঘনিয়ে আসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মেঘ। ১৯৩৯-এর ২৩ অক্টোবর যে ‘লাইফ’-এর কভার স্টোরি হয় ‘War & Fashion’, তা-ও হয়তো অ-প্রথাগত ভঙ্গিতে মার্কিন জনমানসে সামগ্রিকভাবে যুদ্ধের লঘু প্রভাবকেই তুলে ধরে। প্রচ্ছদে ছাপা হয় ব্রুকলিনের একবিংশ বর্ষীয় মডেল উইলমা ওয়ালেস-এর যুদ্ধ-পোশাক পরিহিত ফোটোগ্রাফ।
তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যত গড়ায়, আমেরিকার অংশগ্রহণের পর থেকে আরও প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধক্ষেত্রের চিত্রিত প্রতিবেদনও প্রকাশ করতে থাকে এই পত্রিকা। এ-সময় এমনকী, নাৎসিদেরও নিশানা হয়ে ওঠে ‘লাইফ’। নাৎসিদের তরফে এমন একাধিক প্রচারপত্র প্রকাশ করা হয়, যার একদিকে যুদ্ধের হেলমেট পরা কঙ্কালের খুলি, ওপরে এই পত্রিকার মাস্টহেডের আদল নকল করে লেখা ‘Death’। অপর দিকে নগ্ন মডেলদের ছবি, শিরোনাম ‘Life’!
নিজেদের সিদ্ধান্ত ও কাজে অবিচল থেকে ‘লাইফ’ ততদিনে পৌঁছে গিয়েছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি পাঠকের কাছে। একের-পর-এক সংখ্যা সাদা-কালো ছবিতে বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে। ১৯৪৬ সালের ২৫ নভেম্বর প্রকাশিত হয় দশম বর্ষপূর্তি সংখ্যা। মডেল ন্যান্সি ম্যালোনি-র ফোটোয় সজ্জিত অভিনব সেই প্রচ্ছদে দেখানো হয় ‘লাইফ’-এর প্রথম সংখ্যা পাঠরত কিশোরীকে। বোঝা যায় যে অল্পবয়সি পাঠকদের কাছেও সমান জনপ্রিয় হতে চেয়েছিল ‘লাইফ’।
১৯৫২-র ৭ এপ্রিল প্রথমবার ‘লাইফ’-এর প্রচ্ছদে উঠে আসেন মেরিলিন মনরো। ফোটোটি তোলেন চিত্রগ্রাহক ফিলিপ হাল্সম্যান। এরপর বহুবার ‘লাইফ’-এর প্রচ্ছদে মনরো-কে দেখা গেলেও, এটি এখনও এই পত্রিকার সর্বাধিক আলোচিত প্রচ্ছদগুলির অন্যতম।
শুধু মনরো নন, অনেক ব্যক্তি ও বিষয়কেই একাধিক বার প্রচ্ছদে তুলে আনে ‘লাইফ’। ছয়ের দশকে এমনই আলোচিত বিষয় ছিল এলএসডি। ততদিনে এই পত্রিকায় রঙিন ছবির আধিক্যও বেড়েছে। নানাবিধ পরিপ্রেক্ষিতে এলএসডি-র মতো ড্রাগের প্রভাব বোঝাতে কার্যকর হয়ে ওঠে রঙের ব্যবহার।
এই সময়ে বিটল্স-কে নিয়েও একাধিক কভার স্টোরি করা হয়। ১৯৬৮ সালের এমনই এক সংখ্যার কথা হঠাৎই আলোচনায় উঠে এসেছিল বছর কয়েক আগে। ২০১৯ সালে আমেরিকার কুয়াহোগা কাউন্টি লাইব্রেরিতে ডাকযোগে একটি খাম এসে পৌঁছোয়। ভেতরে ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো এই সংখ্যার একটি কপি আর ১০০ ডলার মূল্যের মানি-অর্ডার। সঙ্গে এক পাঠকের তরফে ক্ষমাস্বীকারের পত্রও, যাতে লেখা— ‘I stole this magazine from the Parma Ridge Road Library when I was a kid. I’m sorry I took it. I’ve enclosed a check for the late fee.’ সেকালে আমেরিকার খুদে পাঠকদের কাছেও ‘লাইফ’-এর আকর্ষণ ছিল এ-রকমই! মানুষের চন্দ্রাভিযানও আবিশ্ব বিপুল আগ্রহের জন্ম দিয়েছিল। পরের পর সংখ্যায় সেসব সংবাদ এক্সক্লুসিভ ছবিতে ধরে ‘লাইফ’।
পত্রিকার রমরমার সময়ে শুধু নয়, পরবর্তীকালেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনী বা গ্যালারির মূল উপাদান হয়ে উঠেছে ‘লাইফ’-এ বেরনো ফোটোগ্রাফ। মধ্যবিত্তের জনজীবন থেকে আধুনিক শিল্পকলা— বিবিধ ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ছিল এই পত্রিকার, একাধিক প্রবন্ধে তা দেখিয়েছেন ওয়েস্টার্ন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতার অধ্যাপক শিলা ওয়েব। ‘Art Commentary for the Middlebrow: Promoting Modernism & Modern Art through Popular Culture—How Life Magazine Brought “The New” into Middle-Class Homes,’ রচনায় যেমন তিনি স্পষ্টই লিখছেন— ‘As a new form of journalism, Life itself embodied modernism, as it pioneered a new way of reaching and influencing an audience through the photo-essay, an innovative marriage of text and images.’
ছবি ও কথার যুগলবন্দিতে শুরুর দু-এক বছরেই যে বিক্রি তুঙ্গে উঠছে, সেটিও পরিসংখ্যান-সহ দেখাচ্ছেন তিনি। ফোটোগ্রাফ প্রকাশে নজর দিতে গিয়ে সাহিত্যকর্মের দিকটি যে ‘লাইফ’ অবহেলা করেনি, তা-ও সম্ভবত এই সাফল্যের অন্যতম কারণ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে-র ‘The Old Man and the Sea’ কিংবা ‘The Dangerous Summer’-এর কথা। এসব বিখ্যাত রচনার প্রথম প্রকাশ ছিল ‘লাইফ’-এর পাতাতেই।
কিন্তু ‘লাইফ’-এর ব্যবসায়িক সাফল্য তিন-সোয়া তিন দশকের বেশি স্থায়ী হয়নি। ব্যয়ের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে পড়ায় সাতের দশকের শুরুতেই পত্রিকা গুটিয়ে নেওয়ার পর্যায়ে পরিস্থিতি চলে যায়। ১৯৭২ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় পরিচিত আদলে শেষ নিয়মিত সংখ্যা। প্রধান সম্পাদকের তরফে এক আর্দ্র বার্তায় পাঠকদের প্রতি জানানো হয়— ‘This issue of Life is the last of 1,864 issues, and over the years I think I must have seen all but a dozen or so. As readers, we all “saw” Life, or felt Life, or experienced Life, or were involved by Life, or sat down with Life as soon as it came into the house. There was no one sufficient word to describe what it was that went on between the reader and Life. But all of us who have worked for Life, along with everything else we feel today, are also going to miss the magazine just as “readers”.’
বোঝাই যায়, ‘লাইফ’ বন্ধ হওয়ার অভিঘাত এর পাঠকদের ওপরে নেহাত কম ছিল না। এর পরেও নানা সময়ে বিভিন্নভাবে পত্রিকাটি নতুন করে চালু করার চেষ্টা চলেছে। অনিয়মিতভাবে প্রকাশ পেয়েছে বিশেষ সংখ্যাও। কিন্তু নতুন বোতলে পুরনো মদ পাঠক আর সেভাবে পান করতে আগ্রহী হয়নি।
সময়ের দাবি মেনে আজ ওয়েবে তার উপস্থিতি উজ্জ্বল। কিন্তু ‘লাইফ’ বললে মানুষ এখনও ফিরে যেতে চায় গত শতকের পুরনো সেইসব সংখ্যার কাছে। মনোক্রোম হয়েও একদিন যারা জীবনকে করে তুলেছিল রঙিন।
ছবি সৌজন্যে : লেখক