বিভাব
মোহনার মাঝে পেয়েছি নিজেকে
মহুয়ার দেশে চলে যাব
মাটিতে লুটায় বাড়তি আঁচল
ল্যাংটার মতো খাবি খাব
সে যদি বেজায় নিমরাজি আজ
বর্ষাকালের কই যেমন
অন্য পুকুর নিভৃত ডোবা
ব্যাঙাচির বাপ ব্যাঙ হব
জলের ধারায় এসেছি এদেশে
বাতাসের সাথে উড়ে যাব
বাহার
জল ঢালি বা ঘি ঢালি ওই
ছাই উড়ে যায় রাত্রিদিন
শ্বাসের বাতাস ছাই হয়েছে
পুজোর বেদি অন্তহীন
বাসি ফুল, নষ্ট প্রসাদ
শ্মশানজোড়া পূর্ণিমা
বলির কাঠে নধর পাঁঠা
কাঁসরঘণ্টা ডোমের ছা
জল ঢালি আর ঘি ঢালি আজ
ছাই উড়ে যায় রাত্রিদিন
কুত্তা চেঁচায় উচ্চ গলায়
চাঁদের প্রতি ওদের ঋণ
অন্তরীক্ষ বিরাট বৃক্ষ
শেকড়-ছাওয়া অনন্ত
কে জানে কোন কথার ফেরে
থমকে থাকে বসন্ত
সম্পর্ক
যেন-বা জল
সুদূরপ্রসারী কোনো সম্ভাবনা
আপাত টলমল, আর
অন্তঃস্থলে প্রবল ঘূর্ণিপাক
বাবুদের পোষা পায়রা
এই হাড়হাভাতের ঘর
আফিমের জল, ছোলা
ঘুলঘুলিময় তাঁর বিষ্ঠা ছড়ানো
যেন-বা কিছুই নয়
কিছু নয়, পায়রার উড়ে যাওয়া
জল
সব কিছু জলের মতো সোজা
নিরুদ্দেশ
অন্ধকারে সাদা বক হারিয়ে গিয়েছে
সকালে সবুজ আর রাতে
কালো গাছ পার হতে হতে
ঘন বর্ষার মেঘে
মেয়েটির সাথে ছোটো ছাতাটির নীচে
লুকোতে লুকোতে
টিউবের আলোটিকে
সহসা সকাল ভেবে
জানালার গ্রিলে
আছড়ে পড়েছে
এখন গভীর রাত মানুষের নিয়মাবলিতে
নোনা হাওয়া
পাশের বাড়ি থেকে ইলিশের গন্ধ ভেসে এলে বুঝি
আমার ভেতরে এক বেড়াল বাস করে
জানলার ফাঁকফোকরগুলি বড়ো হয়
অতঃপর গোঁফে হাত বোলাতে বোলাতে
প্রিয় মৌরির মতো সুগন্ধি মেনিটির সাথে
প্রবাসে দুপুর কাটাই
আমাদের সিন্ধুদর্শন হয়
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে