১.
শোনো তুমি নৌকাকে ছুঁয়ে দেখতে পারো
তাকে স্পর্শ করলে ভাসতে ইচ্ছে করে
তাকে দাঁড় টেনে বাওয়া যায় হাল ছেড়ে বাওয়া যায়
পাল তুলে পাল খুলে নৌকাডুবি ঘোরা যায়
গ্রাম দেশবাড়ি পেরোনো যায় ফ্যাকাসে রঙিন মহামারি তীরে রেখে ছলাৎ ছলাৎ হাঁটা যায়
কয়েকটা ঘাট আছে ধরা যাক অ আ ক খ অথবা এন এ জেড আই অথবা অন্য কিছু যেগুলো দিয়ে
একটা অসাড় মানচিত্র সেলাই করা যায়
তাপ্পি মারা পোশাকটা গায়ে চাপিয়ে কে বাদুড় ঝুলে আছে পরবরাতে?
নাদ শুনছি আর্তনাদ শুনছি ঘণ্টা শুনছি ক্ষয় হচ্ছে
২.
ঝাপসা সাল তারিখরা
এরা এখানে রয়েছে
পাতার স্বেদবিন্দুতে গুল্মলতার আসর জমে
এসবের জন্য কত যে পরিশ্রম আর অপেক্ষা করতে হত
একটা বড় বহুভুজে অনেকগুলো ছায়া ঠেসে চেপে ঢুকে আছে
তারা নৌকাজলে হাত ডোবায় আর সবুজ মৌতাতের স্বপ্ন ভেঙে যায়
কোলাহল গুনগুন আর টুংটাংগুলো ভেসে বেড়ায়
৩.
বাঁশির শব্দ যত তীব্র হয় পুরনো অবয়বগুলো ফেটে যেতে শুরু করে নিজের নিজের প্রসবকালীন নামে
আকার ছাড়া যে টুকরোরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে তাদের জন্ম আমাদেরও আগে
দ্রাবক আর দ্রবীভূত কে অথবা কারা?
মিউজ আর নৌকা একসাথে দাঁতনখ ফোটায়
৪.
হোগলা জলে সাঁতার কাটছে ক’জন
এই মরশুমে চাষ হয় ফলনও হয় অসংখ্য অপমৃত্যু জমা হয়
হিম বাড়ছে
মাথার উপর আকাশটা ধোঁয়া আর শব্দে ঢেকে যাচ্ছে
হলদে রুপোলি ফড়িং আঁশের ঝাপটায় নৌকাশরীর ভিজিয়ে দিচ্ছে
পাটাতন ক্রমশ খলবল করে উঠছে
৫.
বালির ওপারে নৌকার সূতিকাঘর
জলের আলোর প্রসবব্যথা চাড়া দিলে ভোলামাঝির দলবল জেগে ওঠে
ঠক ঠক হাড় ঠুকতে থাকে তারা
আঁশটে প্রলেপ বুলিয়ে দিয়ে মন্ত্রপূত করা হয়
ধীরে ধীরে এক প্রাগৈতিহাসিক অবয়ব যাত্রা শুরু করে
৬.
খলবলে সাঁতার এগিয়ে চলেছে। হাত ডুবিয়ে স্রোত তুলছে কেউ। ফেনাতে ভিজছে জমি। তাতে ফুটে উঠছে ক’টা অস্পষ্ট মুখ আর দেওয়াল জুড়ে গ্রাফিতি ভরে যাচ্ছে। এসব কিছু নিষেধ বিজ্ঞাপনে ভেসে যাবে হয়তো