আলংকারিক
ঈর্ষাজলে তোমার অভিবাদন
এমনকী এই মুখ ধোয়ানো চাঁদ
ছায়া পড়ায় কী অসাধ্য সাধন
এমন খেলায় আলংকারিক বাদ।
নীল করণিক তফাত গেল দূরে
সন্ধেকনের টিপে কপাল-জ্বর
এখানে প্রেম সহজ, ভবঘুরে
যে-কোনও মন খেয়ালিতৎপর।
তোমার মনের সমস্তটা ছিল
জানলাঘেঁষা। অন্যায়ে অকৃপণ।
সূর্যশেষে যে-গাছ আলো দেবে
সে এখনও পড়েনি সন্দীপন।
ঈর্ষাজলে তোমার অপলেহন
এমনকী এই মুখ শুকোনো চাঁদ
ঠিক জানি না অশনি তার কে হন—
এমন খেলায় আলংকারিক বাদ।
অরন্ধন
অনীতিকাল তোমার বড় ভাবায়।
সূর্যাস্তের ডাকনামে তাই হাসি…
মন ধরেছে বিশ্রামী এক ধাবায়
আমি তোমার অরন্ধনে বাসি।
ঘর ছেড়েছ রাখালডাকে, ভোরে।
এখন ধুলোভঙ্গিমা পথ চেনায়।
যাহাকারণ তাহাকারণ ক’রে
সন্ধে এবার নাম লেখাবে সেনায়।
গাছ থেকে সে জ্বলন্ত সূর্যকে
ছুড়বে দূরে গোলার মতো, জোর…
তোমারও মন রাখালহারা শোকে
আগুন থেকে বানাবে অস্তর।
উড়ন্ত শোক আকাশে হিমকণা
বুড়ি পালক চাঁদের ক্রীতদাসী
খাদ্য বটে প্রেমের বনিবনা,
আমি তোমার অরন্ধনে বাসি।
প্রহরামঞ্জির
মিছিল গেছে দূরের আগে আগে
এই নিশানা দরিয়াবস্তির
তোমার কি সমুদ্র ভাল লাগে?
আমার ছিল প্রহরামঞ্জির।
কান্নাতফাত এমন আগুন ছিল
এবং হরিণায়ত দুই চোখ
মোহর কিছু সুবর্ণ, পঙ্কিলও…
যখন তুমি স্বয়ং রাজার লোক।
মিছিল তোমায় চেনাল এই দেশে
ওই ভেসে যায় তরণীবক্তৃতা—
দ্যাখেইনি যে, কী করে আঁকবে সে
নদীর উপর জ্বলন্ত সেই চিতা?
বরং তাকে বিচার করা ভাল
যে-বালিকা প্রবঞ্চনায় ধীর…
তোমার প্রিয় তরুণ পরিচালক—
আমার ছিল প্রহরামঞ্জির।