May 28, 2022

‘অপরাজিত’র আঁতুড়ঘর

‘এ-ছবির বিভিন্ন সাংঘাতিক প্রতিকূলতার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিভিন্ন ঐতিহাসিক চরিত্রের আদলে নতুন করে চরিত্র নির্মাণ; সেখানে আবার দু’রকমের চরিত্র। কিছু মানুষ সম্পূর্ণ বাস্তব যেমন সত্যজিৎ রায়ের আদলে অপরাজিত রায়, বিজয়া রায়ের ধাঁচে বিমলা রায় বা সুব্রত মিত্রের ছায়ায় সুবীর মিত্র— আবার কিছু মানুষ একইসঙ্গে বাস্তব ও সিনেমার বাস্তব।’ চরিত্রের সন্ধানে।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি: পর্ব ১

‘মিটু আন্দোলন বহু শিল্পের জন্ম দিয়েছে, বহু সিনেমারও। এগুলোর অধিকাংশেরই অবশ্য একবগ্গা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা, তা হচ্ছেও, কিন্তু বিভিন্ন ঘরানায় পুংতন্ত্রকে আচ্ছাসে নগ্ন করার প্রকল্পটা নারী-চলচ্চিত্রকারেরা যেভাবে নিয়েছেন, তাতে কিছু অন্য ধরনের ছবি হওয়ার চল ঘটেছে।’ শুরু হল চন্দ্রিল ভট্টাচার্যর সিনেমা নিয়ে নতুন কলাম ‘ছায়াবাজি’। আজ প্রথম পর্ব।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৫

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বর্ষা ঋতুকে যে ভাবে তাঁর গান ও কবিতায় প্রকাশ করেছেন, যে ভাবে মূর্ত করে তুলেছেন, আর কোনও কবি বর্ষার বিভিন্ন রূপ ও তার অনুসঙ্গকে সেভাবে আমাদের মনে প্রবেশ করাতে বা ছুঁতে পেরেছেন কি না জানা নেই। আপাত নিত্য ব্যবহৃত শব্দ বসিয়ে তিনি গান বা কবিতার পূর্ণ রূপ দেন, তখন আশ্চর্য হয়ে যেতে হয় সেই গানের বা কবিতার দ্যোতনায়। হয়তো বা সে ইজন্যই তিনি কালজয়ী।

আবীর কর

‘কুন্তলীন’ থেকে ‘কেয়োকার্পিন’

‘একটিতে চুল-জড়ানো চিরুনির ছবি মাঝখানে রেখে হেডলাইন ‘চিরুনিতে ভয়?’ অন্য আর একটিতে শাওয়ার-জলে স্নানরতা এলোকেশীর ভীতসন্ত্রস্ত মুখ, জিজ্ঞাসা, ‘শাওয়ারে ভয়?’ এরপর বিজ্ঞাপনী বক্তব্যে আসছে— ‘চিরুনির দাঁড়ায় ও জলের ধারায় চুল উঠে যাওয়া বা ঝরে যাওয়ার যে ভয়, তার এক ও অদ্বিতীয় সমাধান হল— ‘জবাকুসুম’’।’ বিজ্ঞাপনের ব্যঞ্জনা।

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ১৩

‘সেই বৃষ্টির সন্ধ্যা আজও মনে আছে। শুটিং হচ্ছিল, আমহার্স্ট স্ট্রিটের কাছে একটি বাড়িতে। বিকেলে যখন পৌঁছেছি তখন মেঘ করে এসেছে। পৌঁছে দেখি রীনাদির ঘরে সিন বোঝাচ্ছেন মৃণালদা । আমরাও বসে গেলাম। লাইট হচ্ছে রান্নাঘরে, ওখানেই সিন। আমাদের দেখে মৃণালদা কিছুটা বুঝিয়ে লাইট নিয়ে কথা বলতে বেরিয়ে গেলেন। ততক্ষণে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। আমরা তারই মধ্যে পাতা দেখিয়ে নিলাম রীনাদি কে। বৃষ্টির মধ্যেই ফিরে এলেন মৃণালদা, এত বৃষ্টির মধ্যে জানলার বাইরের লাইট বসানো যাচ্ছে না তাই অপেক্ষা করতে হবে।’

অনুপম রায়

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ৪

সময় যখন খারাপ যায়, তখন জীবনে কী কী যে হতে পারে, অ্যান্টনি আমাদের দেখিয়ে যাচ্ছে। বান্ধবী ছেড়ে চলে গেছে, তাকে নিজেকেও শহর ছাড়তে হল, ব্যাঙ্গালোরে ভাড়াবাড়ি নিয়ে ঝুটঝামেলা মেটাতে না মেটাতেই জীবনে এসে ঢুকল নতুন অশান্তি। গাড়িতে অফিস যেতে হলে ফতুর হওয়ার পালা, বাসে গেলে বাদুড়ঝোলা। বোঝো এবার!