টুকরো লেখা
১
এখানে পরীর ঘুম। ভাঙা ঘড়ি দুপুরের কাঁটা।
একে একে লোক মুছে কে যে পথ বিজন বানালো…
প্রতিটি বিষণ্ণ কথা সার বেঁধে মুড়ে রাখা ছাতা
যে-রোদ নিহত, তুমি তাকে ডাকো মনমরা আলো।
২
যে তোমার মার্চ মাস, ছুটি নিয়ে জুলাই সেজেছে।
তার টুপি পড়ে আছে বালিতে, সে সমুদ্রে উদাস।
তুমি কী আশ্চর্য লোক, ভাঙা সময়ের মধ্যে বেঁচে
বৃষ্টির সুতোয় বুনে বসে আছ বসন্তের মাস।
৩
আমারই তো নিষ্ঠুরতা। জামা পরে ঘুরেছে মেলায়।
গাল টিপে বন্ধুরা বলেছে, ‘ওমা, কী মিষ্টি হয়েছে!’
দ্যাখো, কী গোলাপগন্ধ আজ তার ক্ষতে-ভরা পা’য়
যেভাবে ধ্বংসের ভয় প্রতিদিন পৃথিবীতে বেঁচে!
৪
বাগান ফুলের চাকরি। মোহ তার উদাসীন ভাই।
বিকেল বাপ-মা হারা। ছোটবেলা বাজারের ধ্বনি।
এই তুমি চিলেকোঠা, এই আমি না-পাতা চাটাই…
জীবন তেমনই গল্প, যাকে তুমি কখনও শোনোনি।
৫
উলেদের ঘরবাড়ি কতদিন তোমার দু’হাত।
জানলায় সন্ধের আলো, দূরে অন্ধকার হচ্ছে ঝোঁপ…
পশমের প্রশ্ন এই, এবারে কি বোনা হবে রাত?
এ-পোশাক, কিছু নয়। মিছিমিছি মায়ার প্রকোপ।
৬
তুমি পার হলে তবে সেতুটির ওপার নতুন।
তবে ইতিহাস লেখা, বণিকের মন-ভাল-রোদ।
কে আছে তোমার মতো ধ্বংসে ভাল, ভিত্তিতে নিপুণ?
আমাদের পর্যটন ছোটদের ইতিহাসবোধ।
৭
নীচের পৃথিবী যেন শিশুকলহের রোদ। গ্লানি।
উপরে ঘুরন্ত দিন, যেন অপরাধ রাঁধা হবে।
মাঝে যে-জীবন, মিথ্যে, উপকরণীয়, অভিমানী,
বাড়িতে ফেরার পথে তাকে ফেলে দিয়ে যেও তবে…
৮
ভাসানে বিয়ের রং। ধানরক্ত জমির হিসেবে।
কত অপরাধমূল্যে লেখা হয় প্রত্যেকটি জয়…
হিংস্র হাসিটির শিশু জানে সেও অন্যায়ে পা দেবে।
কেড়ে নেওয়া হয়, তাই কোনও দুধই স্বাভাবিক নয়।