March 18, 2022

অপরাজিতা দাশগুপ্ত

শিকড়: পর্ব ১

‘নয়নতারা আগে ডায়েরি লিখতেন নিয়মিত। এখন আর লেখেন না। শুধু ভাবেন। মনের মধ্যে ব্রেক কষে-কষে হাঁটতে থাকেন পিছন দিকে। স্মৃতি রোমন্থন করেন। জীবনে অনেকগুলো বছর নাকে-মুখে গুঁজে স্কুলে ছুটতেন। মধ্য কলকাতার স্কুলে চাকরি পেয়ে গেছিলেন এমএ-র পরই। স্কুলে চাকরির পর পরই বিয়ের সম্বন্ধটা এনেছিলেন তাঁর সম্পর্কে এক পিসি, যিনি আবার অমলজ্যোতির মাসিমা হতেন।’ নতুন গল্প।

জগন্নাথদেব মণ্ডল

নির্জন চৈত্রের লেখা

‘আমার কান বদলে গেছে অপরূপ যোনিতে।/ তোমার সমস্ত কথা পুরুষাঙ্গ হয়ে প্রবেশ করছে ভিতরে।/ ধীরে ধীরে রাঙা মেঘের ভিতর দিয়ে উঁকি দিল সন্ধ্যাতারা,/ উড়োজাহাজ চলে যাওয়ার চিহ্ন আকাশে।/ ভিতরে ভিতরে রমণ চলেছে আমাদের,/
আর খুলে খুলে যাচ্ছে মেরুদণ্ডে লুকানো গুপ্ত-সন্ধ্যা’ নতুন কবিতা।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৫৪

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

সৈকত ভট্টাচার্য

ধাঁধিয়ে যাওয়া ধাঁধা

‘যদি সুদোকু খেলার নেশা থাকে, তাহলে এই ধাঁধার মানে বোঝা সহজ হবে। সুদোকুতে যেমন প্রতি সারিতে একই সংখ্যা দু’বার আসা না-মুমকিন, তেমনি এই বর্গক্ষেত্রের বেলাতেও। আপাত ভাবে এই ধাঁধাকে রোববারের খবরের কাগজের ব্রেন-টুইস্টারের থেকে আলাদা কিছু মনে হয় না। কিন্তু অয়লার অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও নিজের ধাঁধায় নিজেই ধাঁধিয়ে গেলেন।’ আড়াইশো বছর পর লিওনার্ড অয়লার-এর ধাঁধার সমাধান।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৫৪

‘লোকে বলে গুরু দত্তর জীবনে সব চেয়ে বড় অভিশাপ তার গীতার সঙ্গে বিয়েটা! কিন্তু সেটা যে কত বড় ভুল, তা আমি কেমন করে বোঝাব। আসলে ওয়াহিদা রেহমান কেবল একটা উপলক্ষ্য। গীতা যদি আর একটু হিসেবী হত, আর একটু কড়া হাতে গুরুর জীবনের রাশ টেনে ধরত, তাহলে হয়তো আর আমাকে এই রাত জেগে ‘বিনিদ্র’ লিখতে হত না।’ ছন্নছাড়া জীবন।