১.
ভাবি যে সম্পূর্ণ ঘুরে নিটোল বৃত্তটি হব
হয়ে যাব গোল
ভিতরে সকল ফাঁকা, করবে তো তাও ঘুরঘুর
গোলযোগ বেঁধে যাবে, বকে যাবে আবোল তাবোল
পৃথিবী ওলটাবে যেন, যদিও বা ঝকঝকে
তখন দুপুর
তা তুমি সরলরেখা, হয়তো ত্রিভুজ হবে, কিছুতেই
হবে না সুগোল
নড়বে চড়বে তাতে দুইটি গিরির চূড়া, সে প্রায় প্রলয়
বাঁচাও বাঁচাও— বলে তখন ছুটবে ভয়ে স্বয়ং ভূগোল
আমি সে কলহকালে হঠাৎ আরেকখানি হয়ে যাব
শনির বলয়
২.
থাকে না অধিককাল, তড়িঘড়ি চলে যায়,
তাও গা-য়ে লেগে যায় সময়ের কুচি
সামনের দুটি দিন, নব নব বর্ষের এধার ওধার
কেবল আঁকড়ে ধরা, কেন করি এত খোঁচাখুঁচি
তাতেই সাঁতরে যেন রবির আগেই চলে
এল সোমবার
এবার বাতাস ছোটে নানাবিধ মতলবে
কী জোর কী জোর
সে গতিতে সাড়া দিতে গভীর ভূতল দোলে
গুনে গুনে ৮ বার মোটে
জুটিতে জড়াতে চায় ঘুরে ঘুরে দুনিয়ার
সকল বিজোড়
আকাশের ফাঁকটিতে ক্ষণিকের তরে এইবার
সলাজে দ্বিতীয় চাঁদ ওঠে
৩.
বেভুলে ঘোলাটে লাগে, ঝাপটে গরম জল
লেগে যায় গা-য়
তা বড় হাত-পা ছোঁড়ে, ছিটকোয়, ঝুড়ো ঝুড়ো
মেঘ বলে ভুল হয়, পিছলোয় সিঁড়ি
তখন পতনকালে মুখচেনা কেউ যেন ধরে নেয়
ঘন ঝাপসায়
সে বলভরসা পেয়ে শুকতারা ছুঁয়ে নীচে ফিরি
এ হল টুকরো কথা, কাহিনি না, অগাধ বাস্তব
একার গাইড বুক, ভ্রমণের, তাতেও ছাপার কত
রয়ে গেছে ভুল
সযতনে তাও পড়ো, শুনো তো আড়ালে নিয়ে
একেলার এই কলরব
ধিকি ধিকি ধিকি ধিকি, ছিটকে বেরোবে তবে
বিবিধ মৃদুল
৪.
ধুলোয় কুড়িয়ে পাওয়া, এ কেবল আহরণ, অবিরত
তুলে নেওয়া ছাড়া
হদিশ যাবে না যাওয়া, লুকোবে ফোঁকড়ে খাঁজে
কী বা যাবে বিস্তর আড়ালে
কীসের আতশকাচ, দূরবীন! মনে হবে ওই তো ইশারা
ভুল হলে শোধরাব, ধরণী দুভাগ হবে
পেয়েও হারালে
তাই তো ব্যথিত প্রাণে পুনরায় হাসি এনে মুখে
বাতাসের খাঁজে ঢুকে আকাশের মাঝখানটিতে
হাতড়ে হালকা হয়ে, লঘুভাবে নীচে দেখা ঝুঁকে
না পেলে কেন বা যাব ওইসব ব্ল্যাকহোলে ঢুকে
খামোখা আকাশপথে অহেতুক সিগারেটে
টান দিতে দিতে
৫.
কাছের, দূরের কী বা সামনের, পিছনের
অথবা পাশের
যখন একত্রে এল হেসে হেসে নেচে নেচে
সফরে সদলে
গুনেও হল না শেষ, বেদম বেহাল হয়ে
হাঁফ ধরে গেল তো শ্বাসের
অযথা টাইম কল ভরে গেল দূর
সাত সাগরের জলে
তা বাদে মরুর হাওয়া পাক দিয়ে তিন লাফে
সিলিংয়ের ফ্যানে
দাপটে জড়িয়ে গিয়ে শুরু হয়ে গেল বালিঝড়
বেকার সারাটি দিন ঝালাপালা হল কান
সহস্রের কত ঘ্যানঘ্যানে
অবেলায় ভাসমান মনে হল আমাদের ঘর
ছবি এঁকেছেন শুভময় মিত্র