

জনগণের জয়নুল
‘জয়নুল আবেদিন নেই, তাঁর আঁকা চিত্রমালা রয়েছে। ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে। রয়েছে অনাহার, বিপর্যয়, শ্রমের শোষণ, ক্রমে ধ্বংস হয়ে চলা নৈসর্গিক রূপ আর, সামাজিক দুঃসময়।’
‘জয়নুল আবেদিন নেই, তাঁর আঁকা চিত্রমালা রয়েছে। ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে। রয়েছে অনাহার, বিপর্যয়, শ্রমের শোষণ, ক্রমে ধ্বংস হয়ে চলা নৈসর্গিক রূপ আর, সামাজিক দুঃসময়।’
‘উপেন্দ্রকিশোর ছাত্রাবস্থায় জেনেছিলেন, তামা ও দস্তার পাতে খোদাই করে ছাপলে ছবি ভাল হয়। এই নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন তিনি। তিনিও জানতেন না, তাঁর একটিমাত্র ভাবনা সেই যুগের একটা স্টিটেমকে পাল্টে দেবে।’
‘গুহার ভেতর ঢুকে সব বই ভুলে শুধুই মাথার মধ্যে উঁকি দিয়ে যাচ্ছিল নারায়ণ সান্যালের ‘অজন্তা অপরূপা’, একেবারে গুহার নম্বর দিয়ে ম্যাপ এঁকে প্রতিটা ছবির গল্প এমনভাবে লিখেছেন তিনি, শুধু লেখেনইনি, এঁকেও দিয়েছেন, যে, আমরা যেন শনাক্তকরণের নেশায় মেতে উঠেছিলাম।’
‘যামিনী রায় মনে করেছিলেন, বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রতিকৃতি-আঁকিয়ে হিসেবে তিনি সুনাম অর্জন করলেও, সেখানে তাঁর মৌলিকতার কোনও নিজস্ব প্রকাশ নেই। এই অনুভবই তাঁকে সরিয়ে এনেছিল এমন চর্চা থেকে।’
‘এই আয়োজন কি ছবির সঠিক তথ্য না-জেনেবুঝেই নিতান্ত সরলচিত্তেই করা হয়েছে? না কি এর আড়ালে ওঁত পেতে আছে জালছবির বিরাট চক্র– যা প্রদর্শনীর শেষে বিপুল বাণিজ্যের চেহারা নেবে?’
‘একে-একে প্রায় ১৮ জন পাক খেলেন! বছর ঘুরছে, মহাবিষুব পেরচ্ছে সূর্য রশ্মি! সন্ন্যাসীরা পাক খেতে-খেতে ফল, বাতাসা বিলোচ্ছে অকাতরে! হুড়োহুড়ি করে সেসব কুড়নোর কী ধুম মানুষের!’
‘সাম্প্রদায়িক অশান্তির সময়ে আক্রান্ত বাড়ির ছবি আঁকতে ব্যবহার করেছেন সিলভার পিগমেন্ট, যা তাঁর অন্য কাজগুলিতে চোখে পড়ে না। ১৯৭১ সালের অস্থির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর বিমূর্ত ছবিতে ফুটে উঠেছে রক্তাভ ভ্রূণ। অক্ষর জন্ম নিয়েছে ছবির শরীরে।’
‘যেরকম নারী দেখলে বাঙালি সংস্কৃতির লুক্কায়িত পৌরুষ বিপন্ন হয়, গায়ত্রী ঠিক সেইরকম নারী। এইরকম নারীকে বাগে আনতে না পারলে তাঁকে নিয়ে কুৎসা করতে হয়। চণ্ডীমণ্ডপে কুৎসামগ্ন আমাদের পূর্বপুরুষদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার আমরা গায়ত্রীর মতো মেয়েকে দেখলে ঝালিয়ে নিই।’
‘আর মাত্র ক’টা দিনই জাকারিয়ার সুসজ্জিত দোকানগুলোর পশরা থাকবে, তারপর যে যার পেশায় ফিরে যাবেন, অনেকে ফিরে যাবেন নিজ-নিজ রাজ্যে।’
‘হলুদ ট্যাক্সিলিপির মধ্যে রয়েছে বোধ, কল্পনা, আশাভঙ্গ, আকাঙ্ক্ষার যাপনচিত্র। ট্রাম সম্পর্কে জীবনানন্দ বলেছিলেন, ‘ফিলোজফার’স কার’; হলুদ ট্যাক্সিকে কলকাতার ভিস্যুয়াল আর্ট বলার মতো কেউ ছিলেন না, নেই।’
‘প্রদর্শনীর প্রতিটি প্রিন্টই অসাধারণ অবস্থায় রয়েছে, রংও সেই অর্থে বিবর্ণ হয়নি; এত সময় ধরে সংগ্রাহক যে শুধুমাত্র ছবিগুলি সংগ্রহ করেই ক্ষান্ত হননি, তা বোঝা যায়। ছবিগুলি অসামান্য যত্ন, দক্ষতার সঙ্গে সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত।’
‘শিল্পে, অথবা আমাদের অভিজ্ঞতা ও নির্জ্ঞানে, বারবার পালটে গেছে চুম্বনের প্রেক্ষিত, চুম্বনের পাঠ— মৃত্যু থেকে পুনর্জীবনে; প্রেম থেকে কামে; আসক্তি থেকে বিচ্ছেদে; আনুগত্য থেকে বিরোধিতার বহুমাত্রিকতায় ব্যক্ত হয়েছে তার ভাব।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.