

কান্নাকাটি-হল্লাহাটি
‘সমাজ মাধ্যমের তীব্র ক্ষমতার যুগে, একটা ‘কান্নাকাটি’র ভিডিও ভাইরাল করে দিতে পারলেই যারা পরে সিনেমাটা দেখতে যাবে, তারাও একই আবেগের মধ্যে দিয়ে যাবে। মানুষের যুক্তিবুদ্ধি কাজ করবে না।’
‘সমাজ মাধ্যমের তীব্র ক্ষমতার যুগে, একটা ‘কান্নাকাটি’র ভিডিও ভাইরাল করে দিতে পারলেই যারা পরে সিনেমাটা দেখতে যাবে, তারাও একই আবেগের মধ্যে দিয়ে যাবে। মানুষের যুক্তিবুদ্ধি কাজ করবে না।’
‘আমরা বলে থাকি থিয়েটার একটি যৌথ শিল্পমাধ্যম, কিন্তু শিল্পের প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে নিবিড় চর্চা ও পারদর্শিতাকে পাথেয় করে নাট্য-প্রযোজনা করেছেন এমন পরিচালক আন্তর্জাতিক থিয়েটারে বিরল।’
‘লোকটা আসলে ম্যাভেরিক ইন নেচার; যদি খুব সহজে সাফল্য এসে যায়, তখন বোধহয় ওখানে উনি ক্লান্ত বোধ করেন। এবং সেখানে থেমে থাকতে চান না। এধরনের মানুষরা নিজেই নিজেদের ক্রাইসিস তৈরি করেন এবং নিজেরাই সেগুলো সল্ভ করার চেষ্টা করেন।’
‘বাংলা সিনেমার ইতিহাসে না-হওয়া ছবি, ইন্ডাস্ট্রির মনের ছবি দেখায়। একেকজন পরিচালকের ভাবনার ইতিহাসটা দেখিয়ে দেয়। উত্তমকুমারকে নানা কাহিনির নানা চরিত্রে অভিনয় করানোর এই ভাবনাগুলো মহানায়কের অভিনয়-ইতিহাসে নানা সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছিল।’
‘বাদলদা আদ্যপান্ত রাজনৈতিক মানুষ ছিলেন, কিন্তু কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের রঙ ঘেঁষা নন। উনি বলতেন, যে-মুহূর্তে একটা সৃষ্টি রাজনৈতিক রং পেয়ে যায়, সেটা আর স্বতন্ত্র সৃষ্টি থাকে না। ওঁকে দেখে হঠাৎ করে মনে হতেই পারে উনি কমিউনিস্ট, তা উনি ছিলেন না।’
‘জীবনে আড্ডার জন্য কলকাতার শিরা-উপশিরা। মফস্সলের মুখ-পেট-নাভি। বর্ধমান, আসানসোল, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার হয়ে প্রায় তিব্বত অবধি যত পথ হেঁটেছি (ও দৌড়েছি), তা জুটলে হিউয়েন সাংকে চ্যালেঞ্জও করতে পারতাম। তবে যে ক’টা জায়গায় সবচেয়ে বেশি আড্ডা মেরেছি, তার মধ্যে অন্যতম হল এই ২৯ সি।’
ম্যাজিক বিষয়ে তাঁকে কিছুটা স্বশিক্ষিতই বলা চলে। দশম শ্রেণিতে পড়াকালীন প্রকাশিত হয় জাদুবিষয়ক প্রথম রচনা। বছরচারেক যেতে-না-যেতে, লন্ডন থেকে প্রকাশিত বিখ্যাত ‘দ্য ম্যাজিসিয়ান মান্থলি’ পত্রিকায় লিখলেন জাদু নিয়ে মৌলিক প্রবন্ধ।
‘গওহর জান এক বহুকৌণিক চরিত্র— নানা বৈপরীত্যের সহবাস। খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেও নতুন কিছু শেখার ব্যাপারে তিনি ‘তদ্বিদ্ধি প্রণিপাতেন’ নীতিতে বিশ্বাসী, আত্মমর্যাদা আর স্বীকৃতি আদায়ের ব্যাপারে ‘তর্কেষুকর্কশধিয়ঃ’, আর জীবনযাপনে স্বৈরিণী।’
‘তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি থাকবেন না, কিন্তু আপনার ছবিগুলি অমর হয়ে থাকবে, আপনার অভিমত কী। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ছবিগুলো না থাকলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু আমি থাকতে চাই। একমাত্র তিনিই পারেন, অমরত্বকে তুচ্ছ করে জাগতিক অস্ত্বিত্বের জয়গান করতে।’
‘ভারতীয় চিত্রকলায় যে ‘narrative’-এর সম্ভার আমরা দেখি বিভিন্ন স্থাপত্যে, চিত্রে, ভাস্কর্যে, যেন সেই ধারাকেই সম্মান জানিয়ে, শিল্পী নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতাগুলোর একটা নিপুণ ‘narrative’ গড়ে তুলেছেন।’
হ্যাভেল সাহেবের প্রবল উদ্যোগে আর্ট কলেজে ভাইস-প্রিন্সিপালের পদে যোগ দিলেন অবনীন্দ্রনাথ। এই কাজে, অবন ঠাকুরের সম্মতি আদায় করা মোটেই সহজ ছিল না। অনেক কাণ্ড করে হ্যাভেল তাঁকে রাজি করিয়েছিলেন।
‘…তমালদা গাইছেন, ‘বর্ষণগীত হল মুখরিত মেঘমন্দ্রিত ছন্দে’, বাইরে অঝোরে বৃষ্টি। কালিকাপ্রসাদের কাছেই পরে শুনেছি, আদতে গান শেখার অছিলায় ওই মানুষটার সঙ্গে সময় কাটানো, তাঁর সাহচর্য আর আড্ডা দেওয়াই ছিল মূল।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.