

নতুন সাহিত্যের সন্ধানে
আজকের আইরিশ সাহিত্যিকরা সাহিত্যের গঠনকে ভেঙে ফেলছেন, ছোট-ছোট বাক্যে, সাদা কাগজে স্পেস রেখে, অথবা চুপ করে থেকে পাঠকের কাছে পৌঁছাতে চাইছেন। তারা জানেন— শব্দ না বললেও পাঠক অনুভব করবে।
আজকের আইরিশ সাহিত্যিকরা সাহিত্যের গঠনকে ভেঙে ফেলছেন, ছোট-ছোট বাক্যে, সাদা কাগজে স্পেস রেখে, অথবা চুপ করে থেকে পাঠকের কাছে পৌঁছাতে চাইছেন। তারা জানেন— শব্দ না বললেও পাঠক অনুভব করবে।
‘ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি, বিশেষত ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন ইস্যুতে, দু-দিক বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করছে— যা অনেকেই মনে করেন দেশের দক্ষিণপন্থী, হিন্দুত্ববাদী জনতার মন পাওয়ার চেষ্টা।’
‘লিও মেসি বলে— গ্র্যান্ডমা, এই দিনটা আমার হতে পারে। স্যাঁতস্যাঁতে জুনের কলকাতার লোকাল ট্রেনে নামতে গিয়ে পিছলে পড়তে পড়তেও কোনওমতে সামলে ওঠা তরুণ লজেন্সওলা জাদুবাস্তবের মতো হাসে, হুগো লরিসের ডানদিক দিয়ে বল জালে ঢোকে, লিও মেসি হাত ছড়িয়ে কাঁদে।’
এই এলাকাটিতে ছিল, নিম্নবর্গীয় মুসলমানদের আবাস; তাঁরাও অংশ নিতেন রথের সময়ে। তাঁদের নিজস্ব ধর্মাচরণের জন্যেই, মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন রাজেন মল্লিক। পবিত্র ঈদ বা প্রাত্যহিক নমাজের পরে, মিষ্টি কেনার টাকাও দেওয়া হত মন্দিরের তহবিল থেকে।
নবারুণ ওঁর লেখায়-কথায় বার বার ঘোষণা করে বলে গেছেন তিনি অতিবামপন্থী রাজনৈতিক বিশ্বাসে বিশ্বাসী এক অ্যাকটিভিস্ট। তাঁর লেখার মূল জোরের জায়গাই এই বিশ্বাসের জোর। মিথ্যে বিশ্বাস নয়, খাঁটি বিশ্বাস। বিশ্বাসের জোরেও কবিতা অনেক দূর উড়ে যেতে পারে।
‘তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি থাকবেন না, কিন্তু আপনার ছবিগুলি অমর হয়ে থাকবে, আপনার অভিমত কী। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ছবিগুলো না থাকলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু আমি থাকতে চাই। একমাত্র তিনিই পারেন, অমরত্বকে তুচ্ছ করে জাগতিক অস্ত্বিত্বের জয়গান করতে।’
‘প্রফুল্ল রায়ের জীবন দর্শন ছিল, যে লেখায়, ‘মানুষ-মাটি-সময়’ থাকে না, সে-লেখা আর যাই হোক সাহিত্য নয়। সে-লেখাও থাকবে না। এটা উনি শুধু বলতেন না, নিজের লেখায় তা পালন করতেন।’
গল্প শুনতাম, এই রেল ইয়ার্ডের সব জমিই ছিল কালীপ্রসন্ন সিংহের,এই বাড়িটা ছিল কাছারিবাড়ি। কালীপ্রসন্নর কাছারিবাড়িতে যাতায়াত করছি, এটা ছোটবেলার অন্যতম রোমাঞ্চকর ঘটনা ছিল,। খুব সম্ভবত এই বাড়ি থেকেই প্রকাশ করেছিলেন, অষ্টাদশপর্ব মহাভারতের অনুবাদ।
‘এই যে পৃথিবী থেকে পৃথিবীর জল অনন্ত ও আদিম, এই যে আমার বন্ধুপ্রিয় আলোমধুভ্রমর গান তোমার সামনে তখন আমি থাকি, তুমি দেখতে পাও। তুমি যখন দেখতে পাও না, তখনও আমি থাকি।’
‘আপনার ফুল ভাল লাগে— এই যুক্তিতে যদি আমি, গাঁদাফুলের বিরিয়ানি আর রজনীগন্ধার রেজালা আপনাকে খাওয়াতে চাই, আপনি কি মেনে নেবেন?
ঠিক তেমনই, গান কখন যে এসে গুঁতিয়ে দেবে, তার ঠিক নেই।’
পথে, পথের প্রান্তে— সুর ছড়িয়ে থাকে। হয়তো সারা বিশ্বের ক্ষেত্রেই এ-কথা প্রযোজ্য। কিছু মানুষ সেই সুরে আশ্রয় করে জীবনযাপন করেন। তাঁরা হয়তো ‘well-celebrated’ নন, কিন্তু নিজের গানের কাছে, ১০০ শতাংশ সৎ। তাঁরা গানকেই বেছে নিয়েছেন দু’মুঠো অন্ন জোগাড়ের আঁচল হিসেবে।
‘কিন্তু এখানে মনে রাখতে হবে, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে, ইংলিশ ব্যান্ডের শ্রোতা এবং ভোক্তা কারা? তারাও কি রবীন্দ্রনাথকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত? একটাও বাঙালি সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠানে কি এখন ইংলিশ ব্যান্ডকে ডাকা হয়?’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.