পত্রিকা

রূপম ইসলাম

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম : পর্ব ১৯

‘কিশিমোতো খানিকক্ষণ সমুদ্রের পাড়টা ধরে ডানদিক-বাঁদিকে অনির্দিষ্ট হাঁটাহাঁটি করলেন। তাঁর চোখ কিন্তু খুঁজছে একজন বিশেষ কাউকে। তাঁর পিছু নেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত খয়েরি রঙের জ্যাকেট আর লাল বেসবল ক্যাপ পরা লোকটা এখন কোথায়?’

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২৬

রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আমাদের যাদের দেখা হয়নি, তারা প্রায় প্রত্যেকেই জানি যে তাঁর সঙ্গে আমাদের রোজ দেখা হয়। তিনি আমাদের সাক্ষাৎ চেনেন না, কিন্তু তাঁর মতো করে আমাদের আর ক’জন চেনে? তাঁর লেখার মতো আমাদের কে-ই বা স্পর্শ করতে পারে?

অরুণ কর

হিজলা মল্লবর্মণ, আমার দিদি

‘হঠাৎ খবর এল, হিজলার বড়ভাইকে বাঘে নিয়ে গেছে। তখন সে আমাদের বাড়িতে এসে আস্তানা গেড়েছে। ওর ভাই মউলিদের সঙ্গে জঙ্গলে গিয়েছিল মধু ভাঙতে। সঙ্গীরা তাকে বাঁচাবার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দক্ষিণরায়ের সঙ্গে পেরে ওঠে, সাধ্য কার!’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৩৬

ভারত চিনকে টপকে জনসংখ্যায় প্রথম হওয়ার পর জার্মানির এক পত্রিকায় একটি কার্টুন বেরিয়েছিল। তাতে ভারতকে উন্নত দেশ দেখানো হয়নি। সেই নিয়ে গোঁসা ভারতের। অথচ জার্মানি কিন্তু নাৎসি চিহ্ন নিজের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলেনি। সমালোচনা গ্রহণ করতে শিখতে হবে।

রূপম ইসলাম

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম : পর্ব ১৮

‘গান গাইতে গাইতেই তিনি চোখ বুলিয়ে নিতে থাকলেন ঘরটায় জড়ো করে রাখা আণবিক সংশ্লেষণে ব্যবহার করবার উপকরণসামগ্রীর উপর। একটা বিশেষ কন্টেনারের দিকে চোখ পড়ায় একনিমেষ অবাকও হলেন তিনি।’

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

হিন্দু থালায় কি দলিত খাবারের জায়গা আছে?

‘খাওয়া-দাওয়া নিয়ে এই সব সম্প্রদায়ের যে সব গান রয়েছে, তা মূল ধারার সাহিত্যে পাওয়া যায় না। সেসব গান প্রাণীদের আলজিভ, শ্বাসনালী, বা মেদচ্ছ্বদের (ওমেন্টাম) কথা বলে, যে সব শরীরের অংশ ‘উঁচু’ জাতের লোকেরা খায় না।’ খাদ্যাভ্যাসের উঁচু-নিচু।

কবীর চট্টোপাধ্যায়

কোন গানে কে ‘রিলেট’ করে

‘কে কোন গানের সঙ্গে কেন ‘রিলেট’ করে থাকেন, তার হিসেব করার আগে মেপে নেওয়া ভাল, আমরা ঠিক প্রশ্নগুলো করছি কি না… গান কি তার সমসাময়িক পৃথিবীর কথা বলতে পারছে? গান কি যথাযথ ভাষ্যে নিজেকে বোঝাতে পারছে?’ লিরিক-বৃত্তান্ত।

রূপম ইসলাম

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম: পর্ব ১৭

“বিলি গিলচারের মুখটা এখন দেখবার মতো একটা রূপ নিয়েছে। তিনি বুঝতে পারছেন না এই আলোচনাটা চলতে দেওয়া উচিত, নাকি থামালেই ভাল। তবুও যতটা পারেন মনের জোর জড়ো করে বিলি বলে উঠলেন— বাড়াবাড়ি কোরো না টেগোর, সম্পূর্ণ আষাঢ়ে গল্প বানাচ্ছ তুমি…”

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল : পর্ব ২৫

‘তারপরেই ঝোলা থেকে বেরোত যার-যার ডাইরি। কৌশিক আর আমি কবিতা লেখার চেষ্টা করছি তখন, সোমনাথ লিখছে অ্যানথ্রোপলজি বিষয়ক প্রবন্ধ, গম্ভীর আর চোস্ত ইংরেজিতে। পালা করে সেইসব পড়া হত।’ কৈশোরের লেখালেখি।

অনুপম রায়

সং স্টোরি শর্ট: পর্ব ৪

‘আহারে মন’ গানটা আমি নিজের খেয়ালেই বানিয়েছিলাম। নিজের মতো এক ভীরু প্রেমিককে কল্পনা করে। তারপর নতুন গান বানানোর উৎসাহে আমি চিত্রপরিচালককে শোনাই গানটা। আর তারপর তাদের মধ্যে গানটা কে নেবে, এই নিয়ে বেধে যায় গোর গন্ডগোল!

সিদ্ধার্থ দে

আত্মানুসন্ধানের এক ব্যতিক্রমী স্বর : অ্যানি এরনো

১৯৪১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তাঁর জীবনের ৬৬ বছরের আত্মকথা লিখতে বসেছেন নোবেলজয়ী এরনো, কিন্তু সে লেখা নিজের কথা ছাপিয়ে হয়ে উঠছে সময়ের কথা, একটা আস্ত প্রজন্মের কথা! নিজের সত্তাকে সময় আখ্যান দিয়ে অনবরত নিজেকেই অনুসন্ধানের প্রয়াস।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং : পর্ব ৪২

‘শিল্পী যদি বলেন আমার লেখাটা অন্যে লিখে দিলে বা গানটা অন্যে গেয়ে দিলে আপত্তি নেই, তাহলে তা শিল্পের অপমান, শিল্পীর আত্মমর্যাদার অপমান, কারণ তা শিল্পের গোড়ার প্রবৃত্তি ধ’রে এবং শিল্পবৃত্তিটার গোড়া ধ’রে টান মারে।’ অনৈতিক প্রস্তাব।