

ছায়াবাজি: পর্ব ৮
‘উপন্যাসের পিনোকিও অবাধ্য থেকে বাধ্য হয়, আর সিনেমার পিনোকিও অবাধ্যতাকেই তার মূলধন করে রাখে, এবং পরিচালক বলেন, অবাধ্যতার মূল্য অসীম, আর একটা ইন্টারভিউতে এও বলেন, তাঁর সিনেমায় ‘সকলেই পুতুল, একমাত্র পুতুলটা একেবারেই পুতুল নয়।’
‘উপন্যাসের পিনোকিও অবাধ্য থেকে বাধ্য হয়, আর সিনেমার পিনোকিও অবাধ্যতাকেই তার মূলধন করে রাখে, এবং পরিচালক বলেন, অবাধ্যতার মূল্য অসীম, আর একটা ইন্টারভিউতে এও বলেন, তাঁর সিনেমায় ‘সকলেই পুতুল, একমাত্র পুতুলটা একেবারেই পুতুল নয়।’
‘যা কিছু ছেড়ে আসি ইতিউতি জমি রাস্তা ন্যাড়াবাগান বোজানো ডোবা মাংস চর্বি তারা পুরনো প্রেমগুলোর হাত ধরে ফিরে আসে ভোর ভোর। কেন অহেতুর যাপন, হরিণচক্ষু প্রেম? বলো?’ নতুন কবিতা।
‘কিছুক্ষণ পর সুদীপ হাঁপিয়ে যায়। গোটা শরীর কাঁপতে থাকে। রক্তচাপ বাড়ে। শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুতগামী হয়। মাথার শিরা ফুলে ওঠে। কিন্তু এত দৌড়ঝাঁপ করেও প্রজাপতির নাগাল সে পায় না। তখন সে বিছানার ওপর ধপ করে বসে।’ বিফল চেষ্টা।
সান্তা ক্লজ নিয়ে মাতামাতির মধ্যে কিছু লোক বলেন, বাচ্চাদের বলে দেওয়া হোক, সান্তা ক্লজ আসলে নেই। বাকিরা রুখে দাঁড়িযে বলেন, শুধু শুধু কঠোর সত্যি আউড়ে ঘোর ভেঙে দেওয়া নিতান্ত বেরসিকের কাজ।
‘লেক, অর্থাৎ রবীন্দ্র সরোবর, পাখি ও পাখিপ্রেমীদের স্বর্গ। ভারতবর্ষে দেখা যায় ১৩০০-র থেকে কিছু বেশি সংখ্যক প্রজাতি। বিশ্বাস করা কঠিন, শুধু লেকেই খোঁজ মিলেছে ১৩০-১৩৫ ধরনের। গোটা দেশে দৃশ্যমান প্রজাতির প্রায় ১০%!
‘তৃণা যে অপয়া তা সুদীপ বুঝেছিল বিয়ের দিনই। পানপাতা দু’দিকে সরিয়ে যখন শুভদৃষ্টি সম্পন্ন হল তখন তার দুটো চোখ কটকট করছিল খালি। প্রথমে সে ভেবেছিল তৃণার রূপ তার অনভিজ্ঞ বালক চোখে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
‘লতিকাদেবীর হাতে ধরা আলোকচিত্রের উপর দৃষ্টিনিবদ্ধ উপস্থিত সবার। বেশ পুরনো একটা সাদা কালো ফটোগ্রাফ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে— তিনকোণা উলটো ত্রিভুজের মতো গাছের ডালে বাঁধা তিনজোড়া ডাবের অদ্ভুত এক ফর্মেশন।’
সিঁড়ি ভেঙে উঠে প্রথমবার মাঠের সামনে দাঁড়ানো! এই অভিজ্ঞতাটার তুলনা হয় না! আমি বার বার দাঁড়াতে চাই, ওই বৃহতের সামনে, যেখানে আমার নিজের কোনও স্বার্থ নেই, কোনও ম্যাচের হারাজেতার ওপর আমার কিচ্ছু নির্ভর করে না।
কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।
আমাদের পিছনে কিছু ইংলিশ ফ্যানেরা বসে ছিল। বিশাল তাদের গলার জোর, এমন জোর চিৎকার করছে যে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাওয়ার জোগাড়! অমন গলা পেলে আমি সত্যিই মাইক ছাড়া গাইতে পারতাম। তার ওপর যা গালাগালি করল ফ্রান্সের গোলকিপারকে!
খেলা দেখতে আসা দর্শকের এ রকম উন্মাদনা আগে সত্যি দেখিনি। আর এই উন্মাদনার একটা কারেন্ট যেন সবার মধ্যে ছড়িয়ে যায়। নিজের উত্তেজনা সব সময় নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। চারদিকে দেখলে মনে হয় একটা বিশাল উন্মাদনার যজ্ঞে আমিও একজন কনট্রিবিউটার।
‘তখনও সে মৃত নয়, তার নামে চিঠি যদি আসে/ কোথাও আড্ডায় যদি নাম ওঠে, তাহলে জীবিত।/ সকলের কথা জমে পৃথিবীর কোনও শেষ মাসে/ সময় পিওনমাত্র, যে পুরনো চিঠি এনে দিত।’ নতুন কবিতা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.