পত্রিকা

নবপত্রিকা কেন গৌণ!

‘পুজো ও পুরস্কারের সমীকরণে আরাধনা ব্যাপারটাই কি গৌণ হয়ে পড়ছে না? ঘরে বাইরে যে হিংসার প্রকাশ এবং মানুষে মানুষে বা দেশে দেশে যে ভয়ানক যুদ্ধ চলছে, সেখানে কে-ই বা দুর্গা আর কে-ই বা মহিষাসুর!’

রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

আল্টিমেট মা-হীন যোদ্ধা

‘যতদূর মনে পড়ছে ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণে কার্তিকের জন্মের ব্যাপারটা আছে। বেশ বেয়াড়াভাবেই আছে। ভারতের প্রাচীন পুরাণে প্রেম বলে কোনও ‘আবেগ’ আছে বলে মনে হয় না। নারী-পুরুষ, কেউই প্রেমে পড়ে না। পড়ে কামে!’

শুভময় মিত্র

আসা-যাওয়ার লজিস্টিক সাপোর্ট

‘প্যাশন, সেন্টিমেন্টের জায়গায় ফ্যাশন স্টেটমেন্ট প্রাধান্য পাচ্ছে। এই পরের দুটি শব্দ একদা ঘোড়াকে এগিয়ে রাখত অন্যদের তুলনায়। একবার ভাবুন, ছত্রপতি শিবাজী একটা জেব্রা চেপে জিব্রাল্টার পেরোচ্ছেন। হয় না।’

এক শালিক : পর্ব ৪৬

সময়ের জাদু এমনই যে কাল অব্দিও যা ছিল অস্পৃশ্য, আজ সেটাই হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক; আবার আজ যেটা প্রথাবিরোধী, আগামীতে সেটাই হয়ে উঠবে সর্বজনগ্রাহ্য। আসা-যাওয়ার এই স্রোত বলে যায়— কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়।

সুস্নাত চৌধুরী

মেগা ম্যাগাজিন : পর্ব ২

‘লক্ষ্যে অবিচল না থাকতে পারার ধারণাটি সাধারণত আমরা হীনার্থেই ব্যবহার করি। কিন্তু, ‘সাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ বার বার তার লক্ষ্য বদলেছে, প্রকাশভঙ্গি বদলেছে, দৃশ্যতও এক থাকেনি। তার নয় দশকের দীর্ঘ অতীতের দিকে তাকালে মনে হয়— এই ইতিহাস, পরিবর্তনের ইতিহাস।’

জন ফসে এবং ‘সেপ্টোলজি’

‘জন ফসে নরওয়ের মানুষ। ইউরোপীয় সাহিত্যে তিনি এক বিশিষ্ট নাম— যদিও গতকাল নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবরের পর বুঝলাম, এ পাড়ায়, এমনকী সিরিয়াস পাঠকদের মধ্যেও তাঁর নামটি বেশ অপরিচিত।’

চিন্ময় গুহ

এক পশলা হাইকু

হাইকু কবিতা যেন এক-একটি দীপমালা, যা ফুটিয়ে তোলে দার্শনিকের বিস্ময়! অসীম সম্ভাবনাময় এই তিনটি করে পংক্তি যেন অমোঘ তুলিটানে আমাদের সীমাবদ্ধ জীবনকে প্রসারিত করে! এতে ফুটে ওঠে কতগুলি অপরূপ ছবি, যা রঙিন ও বাঙ্ময়।

কবির সঙ্গে দেখা : পর্ব ৩১

‘কবির সঙ্গে দেখা’ আদতে কবির লেখার ভিতর দিয়ে তাঁকে চেনা, তাঁরই চোখ দিয়ে এই জীবনকে নতুন করে পাওয়া। কিছুটা নির্জনতা, কিছুটা শ্লেষ আর কিছু বিষাদ ছুঁয়ে থাকে প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত-র কলম, যার মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে তাঁর সমাজচেতনা, তাঁর গভীর জীবনবোধ।

পাটকেল

‘বিয়েটা প্রায় পাকা হয়ে এসেছিল। কথাবার্তা ঠিক, দেনাপাওনা নিয়ে সামান্য দর কষাকষি চলছে, ঠিক এমন সময়ে একটা উড়ো খবরে সবকিছু থমকে গিয়েছিল। এতদিনে বুঝেছে, সুন্দরী মেয়ের নামে অমন দু’একটা কথা রটতেই পারে।’

কয়েকটি কবিতা

‘একটা সোনার তাঁবু বসে আছে দূর মাঠজুড়ে/
আমাদের অন্তরীণ নেই/
আশ্চর্য আশ্রয়ের টোপে/
একটা সোনার হরিণ ঘুরে-ঘুরে গেছে/ বধূটির গায়ে-গায়ে’

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩০

‘বিরহের কারখানা, আদরের ক্ষেত/
তোমার শরীর, যেন চিরসোভিয়েত।/
আমি দূরাগতপ্রাণ, রুটিপ্রিয়পাখি/
অলীকের প্রত্যাশায় বুঁদ হয়ে থাকি।’

ছায়াবাজি : পর্ব ১৮

‘একটা দেশের লোকজন যখন শুধু ভাল করে সাবান ঘষে ঘষে চান করতে আর ‘আমি বাবা কোনওকিছুতে শামিল হব না’ ভাবতে ও দায় এড়াতে ব্যস্ত থাকে, তখনই কি সেই দেশে স্বৈরাচার গজিয়ে ওঠে ও থিতু হয়?’