পত্রিকা

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি : পর্ব ২৮

‘পাঁচজনের মধ্যে কোনও সমীকরণ, প্রণয় বা বিচ্ছেদ বা যৌন আকর্ষণ, বা একটা মেয়ের প্রেমে দুজন, দুটো মেয়ের প্রেমে একজন— যার বিভিন্ন কম্বিনেশন প্রায় যে-কোনও চিত্রনাট্যকার আবশ্যিক মনে করতেন ছবিটা লিখতে গেলে— তার ধারই মাড়ানো হয় না।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৩১

‘নিজের স্বাধীনতা না হারিয়ে, পরিকল্পনা মাফিক এমন একটা ব্যবস্থা ফেঁদে ফেলায় বেশ আত্মপ্রসাদ অনুভব করল ভূতেশ। মনে মনে সে এটাও ধরে নিল যে, তার জীবন বারে বারেই বদলে যাবে; তবে সবটাই হবে তার বাস্তববুদ্ধির নিয়ম মেনে।’

শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য

ফ্রানজ কাফকার পূর্বাপর

‘একটা অফিসের জনৈক কর্মচারী যেভাবে ভয়ের পরিবেশে বাস করতে করতে নিজের কর্মক্ষেত্রে এক অর্থহীন নৈরাজ্যে ঢুকে পড়ে, তার ভয়াবহতা জন্মই নিত না যদি না একশো বছর আগে কাফকা ‘দ্য ট্রায়াল’ লিখে যেতেন।’

এক শালিক: পর্ব ৬৫

সময় বদলায়, সঙ্গে সঙ্গে মানবসভ্যতাও উন্নত থেকে উন্নততর হয়- এই ধারণা কি ঠিক? গণপিটুনির সাম্প্রতিক ঘটনাবলি কিন্তু এই ইঙ্গিত দেয় যে, সময় আদৌ বদলায় না; বাস্তবে সে একরৈখিক নয়। মানুষের হিংস্র প্রবৃত্তির কোনও ইতি নেই বলেই হয়তো ইতিহাস বার বার ফিরে ফিরে আসে।

সুস্নাত চৌধুরী

মেগা ম্যাগাজিন : পর্ব ৮

‘কখনও ১৯৩৭-এর ফ্রিডা কাহলো-র দাপুটে উপস্থিতি দিয়েছে স্বাধীনতার সন্ধান, কখনও ১৯৭৪-এর জেরি হল তাঁর রঙিন ওষ্ঠের পাউটে জাগিয়েছেন যৌনতার বোধ। পাঠকের স্মৃতি একাকার হয়ে গিয়েছে পত্রিকার ইতিহাসের সঙ্গে।’

লুইজি পিরানদেল্লো

গত ২৮ জুন জন্মদিন গেল তাঁর― লুইজি পিরানদেল্লো। ডাকবাংলা.কম-এ নোবেলজয়ী নাট্যকারের জীবন, মতাদর্শ, সাহিত্যকে ফিরে দেখলেন সুমন মুখোপাধ্যায়।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩৯

‘তুমি হাঁটো ব’লে/ জীবন গল্প বলে।/
পথিকেরা চেনে,/ দুঃখের আলাপন।/
মনে করে দ্যাখো,/ কান্না রয়েছে পাশে।/
কোনও ছবিতেই/ চ্যাপলিন একা নন।/
এ-শহর/ বাজি হেরে যেতে বলে রোজ/
কাগজে হেডিং/ রুটি মুড়ে আনে রাতে/
ঠান্ডা খাবার/ খেতে খেতে মেনে নাও,/
তুমি যে পারোনি/ কিচ্ছুটি বদলাতে।/’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৩০

‘পাকা রাস্তার ওপারে মিলিয়ে গেল রাণীর স্বামী এবং সংসার; সেজোমাসিমার কোলে মাথা রেখে, ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়তে লাগল রাণী। কিন্তু সেই মুহূর্ত থেকেই যেন ঘুম চলে গেল তরঙ্গনাথের। বুঝলেন যে, রাণী ফিরে এল চিরদিনের মতো এবং সর্বস্ব খুইয়েই।’

পৃথ্বী বসু

আউট অফ প্রিন্ট : পর্ব ৩

‘পাঠকের কাছে ‘উলুখড়’ তো কেবলমাত্র হারিয়ে-যাওয়া গল্প নয়, সন্দীপনের জীবনের প্রথম বইও বটে (যদি-না পরবর্তীতে এরকম আরও কোনও বই আচমকা বেরিয়ে পড়ে)! ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে এক নতুন সাহিত্যের ইতিহাস তৈরি হতে দেখা, এ কি কম সৌভাগ্যের!’

শুভময় মিত্র

ড্যানিয়েলস ইন কলকাতা

‘১৭৯৮ থেকে ১৮০৫, এই সময়ের মধ্যে ড্যানিয়েলদের ১৪৪টি ছবি প্রকাশিত হয় ইংল্যান্ডে। ২৪ জুন ২০২৪, কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের দরবার হলে শুরু হয়েছে ওই সংগ্রহের একটি বড় অংশ নিয়ে চিত্র-প্রদর্শনী: India: In the eyes of Thomas and William Daniell.’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং : পর্ব ৫৭

‘কেউ কি ভাবতে পারে, দাবায় প্রতিপক্ষের চালে মাত হতে-হতে আমি মরিয়া হয়ে তার ঘাড়ে রদ্দা হাঁকিয়ে চেয়ার থেকে ফেলে দিচ্ছি? ফুটবলে লোকটা যদি আমাকে কাটিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে… কেন আচমকা জোরে জুতো দিয়ে মেরে তার দৌড়কে ব্যাহত করব?’

ঋভু চট্টোপাধ্যায়

ছোট মানে কেন্নো

‘আজ কিন্তু এক্কেবারে আলাদা, বেশ বুঝতে পারলাম আমার হাত চায়ের কাপ পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না, তার আগেই ছোট হয়ে এক্কেবারে গর্তে ঢুকে যাচ্ছে। আচ্ছা গর্ত মানে কি পকেট হতে পারে, মানে বলতে পারি আমি গর্ত থেকে টাকা বের করলাম, অথবা এক প্যাকেট সিগারেট কিনে গর্তে ঢুকিয়ে নিলাম!’