

খুঁজে বেড়াই সুপারহিরো
‘…অন্নদাতা কৃষক, কারখানার শ্রমিক থেকে শুরু করে আজকের সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বা আমাজন-সুইগি-জোমাটোর ডেলিভারি বয় ইত্যাদি মেহনতি মানুষেরা নয়, ইতিহাসের চালিকাশক্তি হল অতিমানবীয় ব্যক্তি-কাল্ট।’
‘…অন্নদাতা কৃষক, কারখানার শ্রমিক থেকে শুরু করে আজকের সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বা আমাজন-সুইগি-জোমাটোর ডেলিভারি বয় ইত্যাদি মেহনতি মানুষেরা নয়, ইতিহাসের চালিকাশক্তি হল অতিমানবীয় ব্যক্তি-কাল্ট।’
‘এই ফ্ল্যাটের প্রতিটা জিনিস কীভাবে ওরা কিনেছে, সাজিয়েছে— সব মনে পড়ে যায়। এক মুহূর্তে সব বৃথা হয়ে যাবে? কোনও কি উপায় নেই? উপায় নেই বলেই তো আজকের এই দিনটা, তাই না?’
‘পাওয়ার লুমের সঙ্গে যুদ্ধে জিততে হলে দেশজ তাঁতের দামকে এভাবে আকাশছোঁয়া করলে নতুন-নতুন মুনাফার পকেট শুরু হবে ফের, কারণ প্যান্ডেমিক দেখিয়ে দিয়েছে ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা এখন কত দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যায়।’
‘যার তাকানোর মধ্যে কামনা আছে, একটু পরেই সেখানে ক্রোধ এসে বসে। বা হতাশা। ছবিটা যেন মারা-র সেই পিডিএফ-এর ভুলের মতোই বলতে চায়, অর্থবোধক শব্দ সবটা প্রকাশ করে না। বা এমনকী ভাবনার উল্টোটাও প্রকাশ করে।’
‘যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির বাস, যেখানে বিধবাবিবাহের বা নারীশিক্ষার বা বহুবিবাহ বন্ধের দায় ছিল না, সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ নমঃশূদ্র আর আদিবাসী আর মুসলমান সমাজের মাঝে দেখতে পাব অন্য এক ঈশ্বরচন্দ্রকে।’
‘এক মাস আগে দেবুর জ্বর হয়। রক্ত পরীক্ষায় দেবুর শরীরে এক মারাত্মক রোগ ধরা পড়ে। ডাক্তার দেবু-কে জানিয়ে দেয়, খুব বেশি হলে আর দু-মাস। এই কিছুদিন আগেও ওরা সিকিম থেকে ঘুরে এলো, একদম সুস্থ। হঠাৎ কী হয়ে গেল?’
‘জার্মানি থেকে আসা লোককে কলকাতার লোক লিফ্ট দিতেই পারে। সুভাষকে কি হিটলার দেননি? আশেপাশে টুকটাক আরও কীসব কিনলেন। কেকের দোকানে ফিরে, পেমেন্ট মিটিয়ে, বাক্সটা নিয়ে ট্যাক্সি ধরলাম। ওঁর হাতে একটা বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ।’
‘প্রখর পৌরুষের শ্রেষ্ঠত্বের কলোনিয়াল ধারণায় প্রথম আঘাত করলেন— যথারীতি— মহাত্মা গান্ধি। লিঙ্গসাম্যের ধারনা সমাজে চারিয়ে দিতে গান্ধি নিজেকে বললেন God’s Eunuch— ঈশ্বরের হিজড়ে। অর্থাৎ তিনি লিঙ্গহীন। বা এক শরীরে একাধারে সমস্ত লিঙ্গের প্রতিনিধি।’
‘কত নেকড়ে ডেকে উঠল টিলার উপরে/ সেসবের কোনও চিহ্ন তোমার হাতে নেই।/ আছে কেবল বিয়ের নিমন্ত্রণ, সন্ধেবেলা মৃদু আড্ডা/ আর থিয়েটারের বিজলি আলো।/ আমি, বোকা লোক, তোমার হাত ধরতে এসে কেবল একা হয়ে যাই’ নতুন কবিতা।
‘সেই বলশেভিক বিপ্লবের সময় থেকেই আমেরিকা কমিউনিজমের ভূত দেখত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সোভিয়েত ইউনিয়ন-এর সঙ্গে ‘ঠান্ডা যুদ্ধের’ সময় তা আরও প্রকট হয়।’
‘গোটা সিরিজটি জুড়ে রয়েছে এক আশ্চর্য শূন্যতা। চরিত্ররা নিজেরাও হয়তো জানে না, তারা এক দিশাহীন শূন্যতার ঘূর্ণির মধ্যেই নিত্যকার জীবন কাটাচ্ছে। ‘কোহ্রা’ শুধু ঝাপসা হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কান্না দেখায় না। সুযোগ এনে দেয় উপলব্ধির আর প্রায়শ্চিত্তেরও।’
‘মজার জন্যই হয়তো নারী-নিগ্রহের কিংবা দলিতের মুখে প্রস্রাবের ছবি মোবাইলে হুবহু তুলে রাখা হয়, কিন্তু তা বেরিয়ে পড়লে ছড়িয়ে পড়লে দেশের নগ্ন চিত্রও সামনে আসে। এইদিক থেকে সর্বস্ব নথিবদ্ধ করে রাখার উৎকট স্বভাব, ন্যায়ের কাজে লেগে যাচ্ছে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.