পত্রিকা

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ২

‘চললাম পেছন-পেছন, দূরত্ব রেখে। একটা গলিতে ঢুকে তৃতীয় বাড়ির দরজায় কড়া নেড়ে হাঁক পাড়ল, ‘এই যে’। দরজা খুলল। একটা বেড়াল বেরিয়ে দৌড় লাগাল একদিকে। এক মহিলা বেরিয়ে এসে আমাকে দেখতে পেয়ে একগাল হেসে বললেন, ‘আজ আপনাকে ধরেছে বুঝি?’’ অপরিচিতের পিছু ধাওয়া।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ৫

‘সিট-কমের মূল বৈশিষ্ট্য হল তার হালকা মেজাজের কাহিনি, সহজ সরল গল্পের চলন, মার-প্যাঁচহীন প্লট ও সোজাসাপ্টা চরিত্র। মুখ্য চরিত্রদের জীবনের প্রেম-ভালবাসা-বন্ধুত্ব-জীবনযাপন নিয়েই গড়া সিরিজে, বেশ মজার কিছু সংলাপ লিখলেই হৈ-হৈ রব।’ সিট-কম-এর দুনিয়া।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ১২

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

Uttarbanga Diary: Part 3

‘Poems arrive in the second section almost all on a sudden, like the scene changes in a train window every second as it moves through the hills. Abanindranath calls them ‘Godyochhando’ – he draws two slim conifers; embracing them are a blur of clouds. There’s something about this drawing that makes me feel cold as I show it to my nephew in the early summer heat of Siliguri.’ The mountains, as witnessed by Abanindranath.

সাত্যকি ঘোষ

মানিকজেঠু

‘একদিন হল কী, দুপুরের দিকে মা’কে ফোন করে উনি জিজ্ঞেস করেন, ‘সাত্যকি কোথায়?’, মা যথারীতি বলে দিয়েছে আমি ইমেজ-এ গেছি। তখন বলেছেন, ‘আমায় ইমেজ-এর নম্বরটা দিতে পারবে?’ মা দিয়ে দিয়েছেন। এর মানে হল, নিজের তাগিদে কথা বলতে চান।’ মানিকজেঠুর গল্প।

পিনাকী দে (Pinaki De)

সত্যজিৎ রায় এবং বাউহাউস

‘তাঁর ভিতরের শিল্পী সবসময় বিশুদ্ধ উপযোগবাদকে হারিয়ে দিয়ে, সৃষ্টি করতে চাইত এক নতুন বাগধারার, যার সঙ্গে তাঁর নিজস্ব শিল্পদর্শনের এক আত্মিক যোগ ছিল। আমার মনে হয় সত্যজিৎ এক ভারসাম্যের খেলায় এই শিল্পসৃষ্টি করতেন।’ নতুন দৃষ্টিকোণে সত্যজিৎ রায়।

গৌতম ঘোষ

সত্যজিৎ, এক অপার বিস্ময়!

‘সত্যজিতের সিনেমাযাত্রা ছিল অনায়াস ও অনাবিল। অথচ নতুন কিছু শেখার তাগিদ ছিল জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। ‘অসম্ভব’ শব্দটা ওঁর অভিধানে ছিল না। শিখে, জেনে, অধ্যয়ন করে সৃষ্টিশীল কাজকে সম্ভব করতে হবে, এই ছিল তাঁর জীবনের মূলমন্ত্র।’ সত্যজিতের মূল্যায়ন।

সুপ্রিয়া চৌধুরী (Supriya Chaudhuri)

ঘরে ও বাইরে সত্যজিতের সিনেমা

‘তাঁর সিনেমার ঘনবদ্ধতা, ইঙ্গিতময়তা, ছবির মধ্যে প্রচুর সাংস্কৃতিক প্রসঙ্গের পরোক্ষ উল্লেখ, তাঁর ছবির মন্থর গতি, নাগরিক পটভূমির পাঁচমেশালি বিশ্বজনীনতা, বা ফিরে ফিরে আসা মোটিফ— এই সব বৈশিষ্ট্যই সত্যজিতের ছবিকে সাংস্কৃতিক ভাবে দুরূহ করে তোলে।’ সত্যজিতের সিনেমা।

জুহি চতুর্বেদী (Juhi Chaturvedi)

সবার মধ্যে সত্যজিৎ

‘বেকার স্বামীর গ্লানির রং চাকুরে স্ত্রীর লিপস্টিকের চেয়েও গাঢ়।/ প্রতিটি সফল শ্যামলেন্দু আসলে ব্যর্থতায় সফল, কারণ সে চরম নীচে নামতে রাজি উঁচুতে ওঠার লোভে।/ আর মহানায়কের লোভনীয় জীবন, সৎ বন্ধুর সম্পদ থেকে বঞ্চিত।’ একটি কবিতা।

শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)

‘দেবী’ ছবির অভিজ্ঞতা

‘শুটিং-এর সময়েই, ছবিটির প্রেক্ষাপট এবং আমার চরিত্রের প্রভাব আমার উপর পড়েছিল। আমার মনে হত আমি যেন একটা ভার বয়ে চলেছি, যেন আমার বুকে কী একটা ওজন চেপে বসে আছে, যেন একটা কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।’ ‘দেবী’-র গল্প।

সুমন মুখোপাধ্যায়

আমার ব্যক্তিগত সত্যজিৎ রায়

‘সেই যে শৈশবে উনি হৃদয়ে-বুদ্ধিতে বীজ হয়ে ঢুকে পড়লেন, এখন সেটা সারা শরীর জুড়ে বটবৃক্ষের আকার পেয়েছে। সারা জীবনে এখনও পর্যন্ত নাট্যে এবং চলচ্চিত্রে যা কাজ করেছি, নেপথ্যে নানাভাবে কাজ করে গেছে তাঁর অভিভাবকত্ব।’ ব্যক্তিগত সত্যজিৎ।

অগ্নিজিৎ সেন

সত্যজিতের স্কুল

‘স্কুল তো হল। এবার দরকার ম্যানেজিং কমিটি বা পরিচালনা সমিতি। সত্যজিৎ রায় এগিয়ে এলেন। বললেন, আমি থাকব। এঁকে দিলেন পাঠ ভবনের লোগো। জ্বলন্ত মশাল। যে মশালের আলোয় দূর হয়ে যায় অশিক্ষা ও অজ্ঞানতার অন্ধকার।’ সত্যজিৎ ও পাঠ ভবন।