

রেস্ট ইন ক্রিজ
‘…আম্পায়ারের পেশার অধঃপতনের জন্য প্রাথমিক ভাবে প্রযুক্তিকে দায়ী ধরলেও মজার কথা এটাই যে, সাধারণত ক্রিকেটারদের যে ভদ্র ব্যবহার দেখা যায়, সেই ভদ্রতাই এই পেশার কফিনে পুঁতল শেষ পেরেক।’ আম্পায়ারের সময় শেষ।
‘…আম্পায়ারের পেশার অধঃপতনের জন্য প্রাথমিক ভাবে প্রযুক্তিকে দায়ী ধরলেও মজার কথা এটাই যে, সাধারণত ক্রিকেটারদের যে ভদ্র ব্যবহার দেখা যায়, সেই ভদ্রতাই এই পেশার কফিনে পুঁতল শেষ পেরেক।’ আম্পায়ারের সময় শেষ।
‘…নতুনতর নর্মাল-এ, প্রায় সকলেই যখন হয়ে উঠবে নির্বিবাদী ক্লিশেপন্থী নরম নকুলদানা, সব ‘না না’ ঘুচে ফুটে থাকবে কানা খানা গানা ঘানা, সার্বিক সামগ্রিক সামূহিক নজরদারিকে তারপর এক সময় মনে হবে অক্সিজেনের মতোই প্রয়োজনীয়, ভ্যাকসিনের মতোই জরুরি।’ নাগরিক নজরদারির অনুপ্রবেশ।
‘ঘাড়ের কাছে দুটো ঠোঁটের স্পর্শ অনুভব করল রিয়া। সাহারা মরুভূমিতে জল! হোক না এক রাতের মরীচিকা! রিয়ার আর কিছু মনে রইল না। পরের পাঁচ মিনিটে সায়ন মুচকি হেসে শুধু একটাই কথা বলল— ‘জিন্স আর টপ-এর মধ্যে এত স্যানিটাইজার স্প্রে…’’ কোভিড-কালের যৌনতা।
‘If technology is the primary reason for the demise of the umpire, rather curiously, it is the generally peaceful conduct of cricketers that might drive the final nail into his coffin.’ The end of the road for the cricket umpire.
‘…সত্যজিৎ রায় আধুনিকমনস্ক চলচ্চিত্র-নির্মাতা হলেও, ওঁর ছবিতে সম্পাদনার তাত্ত্বিক প্রয়োগ বা প্যাঁচ-পয়জার কখনওই চোখে পড়ে না। সরল cause and effect সম্পাদনার প্রয়োগই মূলত লক্ষণীয়। উনি বিশ্বাস করতেন দর্শক-অনুকূল চলচ্চিত্রে।’ সম্পাদকের চোখে সত্যজিৎ।
এই কবিতাগুচ্ছের মধ্যে দিয়ে আসলে নিজের মৃত্যু এবং মৃত্যু-পরবর্তী পৃথিবীকে দেখতে পাওয়া যায়। কখনও স্বপ্নে, কখনও কল্পনায়, কখনও বাস্তবে। আশা-উজ্জ্বলতার কথা ছেড়ে আচমকা মৃত্যুর কথা কেন? আসলে চারপাশটা বর্তমানে এমনই হয়ে উঠেছে, মৃত্যুকে কিছুতেই আর অস্বীকার করা যাচ্ছে না।
‘আয়ুকে বিশ্বাস করে পোস্টাপিসে টাকা রাখলেন, ১০ বছর বাদে ডবল হবে আর আপনি উদযাপন-বিরিয়ানি সাঁটাবেন রায়তা সহ, ও হরি, হার্ট-বাবাজি পরের মঙ্গলবারেই চকিত ডিগবাজি খেয়ে চাকরি ছেড়ে দেশে চলে গেল, শত ভেন্টিলেটর বাগিয়েও ঘুলঘুলিবাচক রশ্মি এসে পড়ল না লাস্ট সিনে।’ বিশ্বাসের স্বরূপ।
‘আপনার মতাদর্শ ছিল, ভারতের অন্তরাত্মা সনাতন এবং অবিনশ্বর, ধর্মের রূপেই তাকে চিনতে হবে। অথচ ধর্মীয় আচার-ব্যবহারের থেকেই যখন উপদ্রব উপস্থিত হয়েছে, আপনি ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার, এই ব্যবহার উচিত নয়’ বলেই খানিক পাশ কাটিয়ে কঁহা কঁহা মুল্লুকে চলে গিয়েছেন।’ ভারতের অন্তরাত্মা ও গান্ধী।
জানো, ফাঙ্গাসের ভয়ে আমি ঘুমাতে পারি না,
খিদে পাক আর না পাক
তোমার শরীর হাতড়ে হাতড়ে খুঁজতে চাই
বয়সের দাগ,
ছুঁয়ে-ছেনে দেখতে চাই, জানতে চাই
পরখ করতে চাই আমার খিদে;
তখন দাম্পত্যের ঘন আঁচে সেঁকে তুমি ক্রমশ
টানটান হয়ে ওঠো
কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।
‘… মানুষের কথায়-কথায় রাগ হয়। রেগে গেলে মানুষের মাথার ঠিক থাকে না। চেঁচিয়ে ওঠে, খারাপ ব্যবহার করে, জিনিসপত্র ভাঙে, তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে, গা রি-রি করে আবার কেউ কেউ মার্ডারও করে ফেলে!’ আদিম রিপু।
যে নাটক মূলস্রোতের মঞ্চ-বিরোধী বিকল্প থিয়েটার, যে নাটক একক ভাবে বহু সময়ই লিখিত হয়নি কেবল একজনের কলমে— বস্তুত যে নাটক কেবল লিখিত হয়েই মহড়ায় আসেনি, বরং মহড়ার মাধ্যমেও জায়গায় জায়গায় লিখিত হয়েছে। মূলধারার ছায়া ত্যাগ করে বিকল্প।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.