পত্রিকা

দেব রায়

রাখি কি সৌগন্ধ

আসলে ফিল্মে পাড়াতুতো মাস্তান দাদা সংক্রান্ত ট্রোপ টেমপ্লেট মোটের ওপর এর আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে। বিপথগামী যুবক, উদ্ধত, বেপরোয়া। কিন্তু পাতানো বোনের রাখি কি সৌগন্ধ অথবা ভাইফোঁটার দিব্যি, জান লড়িয়ে দেবে। কোমল-হৃদয় পাড়ার মাস্তান দাদা।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৯

অসহায়তা যখন অক্ষম আক্রোশে ফেটে পড়ে, জন্ম নেয় কবিতা। সর্বনাশের পরেও সাহসের কুঁড়ি ফোটে, জন্ম নেয় কবিতা। বিদীর্ণ মন কুঁকড়ে যখন ছোট্ট হয়ে আসে, জন্ম নেয় কবিতা। সে কবিতায় স্ফূরণ থাকলেও ফূর্তি থাকে না। ধ্বংস কাব্যগ্রন্থে তাই বিদীর্ণতার সমাহার।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৩৭

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৭

‘…বহু দিন হল সারা দেশে একটা ধারণা হয়েছে, দিল্লির কলেজে না পড়তে পারলে জীবন বৃথা। যদিও প্রত্যেক বছর যে শ্রেষ্ঠ কলেজের তালিকা বেরোয়, তাতে অন্যান্য শহরের বহু কলেজ আছে।’ রাজধানীর আডমিশন-পাগলামি।

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ৯

‘কোন কেমিক্যাল ইম্ব্যালেন্সের জন্য মানুষ দুঃখ পায় আমরা এখনও জানি না, সেটা বুঝে গেলে আমরাও দুঃখ সিমুলেট করে দেখিয়ে দেব। দু’দিন মেশিন অন করতে পারবেন না। ম্যাকির দুঃখ হয়েছে। সকালে উঠে হঠাৎ দেখবেন এসি থেকে জল ঝরে ঘর ভেসে যাচ্ছে। সারারাত এসি কেঁদেছে।’ যন্ত্রের দুঃখ।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৩৬

‘…যারা একটু বেশি আত্মসচেতন তারাই গুরুর মতন ছটফট করে। ঘুমের মধ্যেও তারা অশান্তির স্বপ্ন দেখে, শান্তির মধ্যেও তারা ভবিষ্যতের অশান্তির আভাস কল্পনা করে নিয়ে আঁতকে ওঠে। তাই সে বিনিদ্র।’ নিদ্রাহীন রাতের কথা।

জয় অর্জুন সিংহ (Jay Arjun Singh)

‘ম্যান ফ্রম ইন্ডিয়া’ থেকে ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’

‘জন্ম হয় ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’ নামে স্কিৎজোফ্রেনিক একটি সিনেমার, যার নির্মাণ ১৯৭৭ সালে সম্পূর্ণ হলেও বিভিন্ন বাধাবিঘ্নের কারণে তা মুক্তি পায় ১৯৮৭ সালে— এবং বিনোদ খান্নার রুপোলি পর্দায় প্রত্যাবর্তন নিয়ে আগ্রহ তৈরি হওয়া সত্ত্বেও, এই সিনেমা দ্রুত লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যায়।’ সিনেমার গল্প।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৯

এবারের টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপে প্রত্যেকটা দল, কোনও-না-কোনও ইঙ্গিতের মাধ্যমে কৃষ্ণাঙ্গদের পক্ষে অধিকারের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। কেউ এক হাঁটু গেড়ে বসছেন, কেউ আবার মুষ্টিবদ্ধ একটা হাত ওপরে তুলছেন! কিন্তু আশ্চর্যের, কুইন্টন ডিককের মতো খেলোয়াড় আবার এই প্রতিবাদে অংশই নিলেন না!

খুচরো খাবার: পর্ব ২

‘…ইউটিউবে কয়েকশো চ্যানেলে যতই ‘ঘরোয়া’ রেসিপি শেখানো হোক, বা সোহো বা ম্যানহাটানে আফটার-পার্টি জলখাবার হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করুক না কেন, নিজের দেশে এগ রোল ছাপোষা মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবিদের ত্রাণখাদ্য, দশকের পর দশক তা-ই হয়ে এসেছে।’ এগ রোল, যুগ-যুগ জিও!

সুদেষ্ণা রায়

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ৮

‘গেলাম ওঁর ডেস্কে, লেখাটা দিলাম। অনেকে ছিলেন ওঁর দপ্তরে। আমাকে তেমন ভাবে চিনলেনও না। পেশাদারি ভঙ্গিতে বললেন, ‘নাও, পড়ো কী লিখেছ।’ অত অজানা মানুষের সামনে পড়তে লজ্জা করছিল। সুনীলদা বুঝতে পেরেছিলেন, বললেন, ‘সাংবাদিকদের ভূষণ লজ্জা নয়, সাহস।’’ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মৃতি।

পৃথ্বী বসু

তোমারে বধিবে যে

‘… সুজিত দেখাতে চেয়েছেন, একজন দেশপ্রেমিকের আত্মত্যাগ, তাঁর লড়াই, তাঁর অসহায়তা এবং তাঁর ভেতরে যে প্রতিশোধের আগুন ছিল, সেই আগুনটুকু। এই ছবিতে এটাই মুখ্য, বাকি সব গৌণ।’ সুজিত সরকারের ‘সর্দার উধম’।

অংশুমান ভৌমিক

হারানো প্রাপ্তি নিরুদ্দেশের খসড়া

‘…দার্জিলিঙের ওপর সত্যজিতের পক্ষপাত যাবার নয়। কলকাতা বাদ দিলে এই একটিমাত্র জায়গাতেই দুটো উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ছকেছিলেন সত্যজিৎ। আসলে এই শৈলশহরের প্রতি তাঁর নাড়ির টান। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার, সত্যজিৎ।’ সত্যজিতের দার্জিলিং।