পত্রিকা

সৈকত ভট্টাচার্য

ধাঁধিয়ে যাওয়া ধাঁধা

‘যদি সুদোকু খেলার নেশা থাকে, তাহলে এই ধাঁধার মানে বোঝা সহজ হবে। সুদোকুতে যেমন প্রতি সারিতে একই সংখ্যা দু’বার আসা না-মুমকিন, তেমনি এই বর্গক্ষেত্রের বেলাতেও। আপাত ভাবে এই ধাঁধাকে রোববারের খবরের কাগজের ব্রেন-টুইস্টারের থেকে আলাদা কিছু মনে হয় না। কিন্তু অয়লার অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও নিজের ধাঁধায় নিজেই ধাঁধিয়ে গেলেন।’ আড়াইশো বছর পর লিওনার্ড অয়লার-এর ধাঁধার সমাধান।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৫৪

‘লোকে বলে গুরু দত্তর জীবনে সব চেয়ে বড় অভিশাপ তার গীতার সঙ্গে বিয়েটা! কিন্তু সেটা যে কত বড় ভুল, তা আমি কেমন করে বোঝাব। আসলে ওয়াহিদা রেহমান কেবল একটা উপলক্ষ্য। গীতা যদি আর একটু হিসেবী হত, আর একটু কড়া হাতে গুরুর জীবনের রাশ টেনে ধরত, তাহলে হয়তো আর আমাকে এই রাত জেগে ‘বিনিদ্র’ লিখতে হত না।’ ছন্নছাড়া জীবন।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৬

যাঁরা সংস্কৃতির মানচিত্রের ভগবান, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নির্ঘাত পিওর-প্রণম্য, এবং সুদীর্ঘ ও যুগ-যুগব্যাপী বিস্ময়ের যোগ্য, তাঁদের অনুরাগী ও ভক্ত হওয়া দিব্যি চমৎকার ঘটনা, জীবনের কেন্দ্রে তাঁদের অধিষ্ঠিত রেখে নিত্য জাগরণ এক শুদ্ধ ব্রত, কিন্তু তার সঙ্গে যেন এই বোধ থাকে: আমার দেবতাকেও কেউ এসে গাল দিতে পারে, সেই গালে যদি যাথার্থ্য থাকে আমি তা অনুধাবনের চেষ্টা করব। একরৈখিক ব্যক্তিপুজো।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৩

“যে তোমার মার্চ মাস, ছুটি নিয়ে জুলাই সেজেছে/তার টুপি পড়ে আছে বালিতে, সে সমুদ্রে উদাস/তুমি কী আশ্চর্য লোক/ভাঙা সময়ের মধ্যে বেঁচে/বৃষ্টির সুতোয় বুনে বসে আছ বসন্তের মাস”। নতুন কবিতা

ডাকবাংলা.কম

দুই হুজুরের গপ্পো: পর্ব ৩

বড় ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলের শরীরী ভাষা অনেক আগ্রাসী, আত্মবিশ্বাসী। সেদিক থেকে ইস্টবেঙ্গল হয়তো এগিয়ে। তবুও, মনোরঞ্জন কেন শেষ দু-বছর খেললেন মোহবাগানে? মাঠের দুই ওস্তাদ মুখোমুখি।

সুমন্ত মুখোপাধ্যায়

গপ্পো তর্ক যুক্তি: সত্যজিতের খুদে জগৎ

‘শিবু-রা পেয়ে যায় রাক্ষসদের প্রাণভোমরা, ছোট্ট এক পাথর, মাছের পেট থেকে। পাগলা ফটিক নয়, স্বয়ং মানিকবাবুই শিখিয়ে দেন অঙ্ক স্যারদের ঘায়েল করার মন্ত্র। ছোটদের সঙ্গে অনেক বড়রাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। একটু সুন্দর হয়ে ওঠে পৃথিবীটা।’ মধ্যবিত্ত রোজনামচা বনাম সত্যজিতের আদর্শ।

সর্বজিৎ মিত্র

অন্য বইমেলা

১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজিত এই বিশেষ বইমেলা ও প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন স্বয়ং সত্যজিৎ রায়, বিশ্বভারতীর স্টল থেকে তাঁরই এক সময়ের শিক্ষক বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় রচিত ‘শিল্পশিক্ষা’ বইটি কিনে। সে-বছর গিল্ড আয়োজিত বইমেলার কয়েকদিন পরেই এই বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল এক ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে – ১৭৭৮-এ প্রকাশিত প্রথম ছাপা বাংলা বইয়ের দ্বিশতবার্ষিকীকে।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ১৩

‘আমার দেখা মেলার ১৮ বছরও কম নয়। প্রথম যখন অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসি, তখন মেলা হত শুধু বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। মাত্র একটা প্রবেশ পথ, বেরোবার একটা পথ। মেলায় ঢোকা— সেটা যদি শুক্র শনিবার বা অন্য ছুটির দিন হত— তাহলে সে এক মহাপ্রস্থানের পথ। প্রায় দেড়’দুই কিমি লাইন, সেই শাহবাগ মোড় থেকে শামুকের মতো ঠেলে-ঠেলে মেলায় ঢোকার অভিজ্ঞতা, তখনকার লোকেরা জানেন। ‘

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ১৩

‘যে প্রজ্ঞাসুন্দরী রান্না শিখেছেন এপার বাংলার ঠাকুরবাড়িতে, তাঁর নিরামিষ খণ্ডের পোস্ত চচ্চড়িতে কিন্তু টিপিক্যাল পশ্চিমবঙ্গ-স্টাইল পাঁচফোড়ন নেই, আছে তিন ফোড়ন। অথচ ‘বাঙালবালা’ রেণুকা দেবী চৌধুরানীর বইতেই দেখছি পাঁচফোড়ন সহযোগে আলুপোস্তই শুধু নয়, রয়েছে ঝিঙেপোস্ত, পটলপোস্ত-সহ পোস্তর পাঁচমিশেলি প্রসার।’ বাঙাল-ঘটির রান্না।

যুদ্ধ কীসে হয়

‘দুষ্ট রাশিয়াই ছলে-বলে-কৌশলে নানা অসহায় দেশ দখল করে বসে আছে, আর সেই সব বেচারা দেশ অসহায় প্রজার মতো নেটোর দরবারে ধর্না দিলেও নেটো কিছু করেনি। অতএব এই যুদ্ধ আসলে একটি ‘সবল বনাম দুর্বল’ বাইনারি। এঁরা ইঙ্গিত দিচ্ছেন, পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ, লুহানস্ক, দনেতস্ক অঞ্চলে রুশ-সমর্থক গোষ্ঠীরা যেন আচমকাই সক্রিয় হয়ে উঠল, যেন রুশদেশের সাম্রাজ্যবিস্তার ছাড়া তাদের ক্রোধের কোনও ইতিহাস নেই।’ এই যুদ্ধের ছোট্ট ইতিহাস।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৫৩

‘অসুখের মধ্যে কেমন একটা অসহায়তা আছে। সেই অসহায়তা অন্যের সামনে লজ্জা পায়। বিশেষ করে সুস্থ লোকের সামনে। অথচ সেই সুস্থ লোকের সাহায্যও দরকার। কিন্তু তখন মনে হয় আমার দুর্বলতা যেন কারো নজরে না পড়ে। আমি যে অসমর্থ, এটা যেন কেউ জানতে না পারে।’ অসুস্থ গুরু।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৫৩

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।