পত্রিকা

অর্ক দাশ (Arka Das)

খুচরো খাবার: পর্ব ৬

‘এই শহরের হারিয়ে-যাওয়া আরও বহু, বহু ধরণের ভ্রাম্যমাণ খাদ্যপণ্যবিক্রেতাদের মতোই, এক সময়ে ছোলা-চ্যাপটা ফেরিওয়ালাদের ফেরির একটা বড় অংশ ছিল তাঁদের রঙ্গ-তামাশার গান। ছোট্ট-ছোট্ট দু-চার লাইনে ছন্দে বাঁধা তাঁদের গানগুলোর বিষয় দিনের রাজনৈতিক ঘটনাবলি থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ আদিরসাত্মক হয়ে উঠতে পারত, আর সব গানের শেষেই ফিরে-ফিরে আসত ‘ম্যয় লাহুঁ মজেদার, চানাচো-র গরম্‌’-এর মতো ধুয়া…’

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১২

পড়তে-পড়তে তাদের রুটির আশ্চর্য গন্ধ এসে নাকে লাগছে, তাদের কেকে-র মিঠে ভাপে ভরে উঠছে আমার শীতকাল। যেন আমাদের ভাতের হাঁড়ি এসবের চেয়ে খুব বেশি দূরে নয়। তাই দেব সাহিত্য কুটিরের পাশাপাশি রাদুগা ছিল আমাদের ভরসা, ইন্দ্রজাল কমিকস-এর কাছাকাছি ভস্তককে চিনতাম।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

বাপ্পিদা, ডিস্কো আর ‘সেই’ সময়

তবু বাপ্পি লাহিড়ী জিতে গেলেন। কেন? কারণ তিনি পরোয়া করলেন না। না পরোয়া করলেন তাঁর প্রতি বিদ্রূপের, না পরোয়া করলেন তাঁর গলা নিয়ে নিন্দুকের মন্তব্যের আর না পরোয়া করলেন তাঁর জীবনযাপনের দিকে ধেয়ে আসা বাক্যবাণের। তিনি নিজের স্বগর্ব উপস্থিতি ঘোষণা করলেন নিজের যাপনের মধ্যে দিয়ে। বাপ্পীদা, থোরা অলগ সবসে!

সুদেষ্ণা রায়

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ১১

ঋতু এল, এসে ওকে দেখে বলল, কাজল তোলো, চোখের কোলে কালি চাই, যদি না থাকে দাও, আর বলেই টিস্যু নিয়ে ওর ঠোঁট আর গাল ঘষে দিল । চলবে না, কোনো প্রসাধন চাই না, তুমি এমনিই সুন্দরী, একেবারে রাশিয়ার সাদা ক্রেন প্রজাতির এলিগ্যান্ট পাখি। আমি সেটাই চাই। ঋতু চলে যাওয়ার পর ও জিজ্ঞেস করল,’ ও কি আমার প্রশংসা করল না কি…অথ ঐশ্বর্য কথা।

রাস্‌কিন বন্ড (Ruskin Bond)

The Firefly

‘To write a poem upon a grassy knoll, with a zephyr, a gentle breeze, playing in the branches of pine, is to live the poem even as you write it. And today, looking back over the years, I can hear the breeze and feel it, and listen to the sound of the system, and the song of the forest, and it is the poem of all my days.’

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৪

নব্বইয়ের দশকের নতুন সাউন্ড, ‘গ্রাঞ্জ’-এর সমার্থক ব্যান্ড নির্ভানা। আশির দশকের শেষ অবধি মূলশ্রোতের পশ্চিমি জনপ্রিয় গানে যা-যা ঘটেছে, তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটা ঘরানা তৈরি হল ওয়াশিংটন স্টেটের সিয়্যাট্ল‌ শহরে, এবং সেই ঘরানার (কিছুটা কি অনিচ্ছাকৃত?) পোস্টার-বয় হয়ে উঠলেন কার্ট কোবেন এবং তাঁর ব্যান্ড নির্ভানা। অনির্বাণ কার্ট এবং নির্ভানা-কথা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৫১

‘একদিন কে যেন বলেছিলেন— বলছ কি হে? বখে যাওয়া কি অত সহজ? সংসারে বুদ্ধদেবের মতো রাজ্য ছেড়ে অরণ্যে যাওয়াও যেমন শক্ত, লজ্জা-সঙ্কোচ ট্যাগ করে বখে যাওয়াও ঠিক তেমনি শক্ত। কিন্তু সংসারে বাস করে পুরোপুরি নিরাসক্ত হওয়াও সহজ নয়, তাই মাঝে মাঝে ইনকামট্যাক্স নিয়ে, উকিল-অ্যাটর্নি নিয়ে বিব্রতও হত খুব।’ সংসার সীমান্তে গুরু দত্ত।

ডাকবাংলা.কম

দুই হুজুরের গপ্পো: পর্ব ১

ময়দানের সবুজ ঘাস তখন ঘন-ঘন বিস্ফোরণে অভ্যস্ত ছিল। দুই স্টপার দুই দলের জার্সি পরে মাতিয়ে দিত মাঠ আর গ্যালারি। সুব্রত-মনোরঞ্জন মাঠে নামত আর খেলত উত্তেজিত গোটা বাংলা। ফের মুখোমুখি সেই দুজন, অভিজ্ঞতার ঝাঁপি নিয়ে।

শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)

সীমাবদ্ধ

‘সুদর্শনা চরিত্রটির জটিলতা, বিভিন্ন সূক্ষ্ম এক্সপ্রেশনের কথা বিবেচনা করে সেই সময় আমার উপর ভরসা রেখেছিলেন মানিকদা। তাছাড়া চরিত্রটির সঙ্গে আমার অভিনীত ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং বিশেষ করে ‘নায়ক’ ছবিতে অভিনীত চরিত্রটির মূল সুর, যেন কোথাও একটা বাঁধা ছিল।’ সুদর্শনা চরিত্রের আত্মবিশ্লেষণ।

আবুল বাশার

ব্যান্ডিকুট কিংবা ধেড়ে ইঁদুরের গল্প

‘দরদর করে নিঃশব্দে অশ্রু নামছে চোখ থেকে গাল বেয়ে। সে আনন্দে লাফাচ্ছে এবং জাতি-অপমানে কাঁদছে; চাঁদের রোশনি ঈশ্বর-কৃপায় টলটল করছে চারিদিকে; চারটি রাতচরা বক আকাশের সারা তল্লাটে ছড়িয়ে দিচ্ছে তার অক-অক ডাক; কাঁসি বাজছে আহ্লাদে। নাচছে বাবুলাল।’ নতুন গল্প।

মালবিকা ব্যানার্জি (Malavika Banerjee)

জুম-এ জন্মদিন

‘ভারতে এই জুম-পার্টির একেবারে বাঁকবদলের ঘটনা হল, ২০২০ সালে কোনও এক ঋদ্ধিমা সাহনির ৪০-তম জন্মদিনে, তাঁর স্বামী ঠিক করলেন, আত্মীয়রা ‘আপ য্যায়সা কোই’ গানটার সঙ্গে নাচবেন, যেটা ১৯৮০-র একটা সুপারহিট গান। এই জুম-পার্টির ভিডিওটা ভাইরাল হল, আর অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এটার নকল করতে লাগলেন। একটাই মুশকিল, ঋদ্ধিমার সব আত্মীয়ই দিব্যি সুন্দর দেখতে আর তাঁদের চালচলনও বেশ ধোপদুরস্ত। ঋদ্ধিমার ভাই হচ্ছেন রণবীর কাপুর, তাঁর মা নীতু কাপুর (যাঁর বয়স বাড়ে না), আর তাঁর তুতো-বোনেরা হলেন করিনা কাপুর ও করিশ্মা কাপুর।’

ঋদ্ধি সেন

অমলকে লেখা চিঠি

‘‘ডাকঘর’-এর অনেকগুলি প্রযোজনার মধ্যে সবথেকে মন ছুঁয়ে গিয়েছিল বিখ্যাত মণিপুরি নাট্যপরিচালক কানহাইয়ালাল-এর প্রযোজনাটি। সেখানে আমার দেখা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (পরিচালকের স্ত্রী) সাবিত্রী হাইসাম অভিনয় করেছিলেন অমলের চরিত্রে, তাঁর বয়স তখন ৬০-এর ঘরে। অবাক হয়ে দেখেছিলাম, ছোট্ট অমলকে তিনি কীভাবে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন নিজের ভেতরে! এই লকডাউনের সময়টা আমাদের দেখাল এক নতুন সমাজের চেহারা। রবীন্দ্রনাথের নাটকে ‘রাজা’র অর্থ ভীষণ আলাদা, ডাকঘর বা বিসর্জনের রাজা আমরা কখনও পাব কি না জানি না, তবে এই সময় অমলকে নিজেদের ভেতর বাঁচিয়ে রাখাটা বড্ড জরুরি।’