‘অতিমারীর সময়কালে সম্পন্ন গবেষণা দেখাচ্ছে পৃথিবীজুড়ে বহু মানুষ বারংবার স্বার্থপরের মতন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে নিজের বাড়িতে গাদা-গাদা অক্সিজেন সিলিন্ডার জড়ো করেই হোক বা সুপারমার্কেট থেকে সমস্ত টয়লেট টিস্যু তুলে নিয়ে গিয়েই হোক বা সামাজিক দূরত্ববিধি না মেনেই হোক, উদাহরণের কোনও অভাব আমরা রাখিনি। কিছু গবেষক বলছেন দীর্ঘদিনের একাকিত্ব আমাদের বেশি স্বার্থপর করে তুলেছে; কেউ-বা আবার বলছেন এ আমাদের ‘Original Sin’, সামান্যতম বিপদের আশঙ্কা দেখলেই আমাদের এক জান্তব প্রবৃত্তি বেরিয়ে পড়ে।’
৩ জুন, বিশ্ব সাইকেল দিবসে আমরা কথা বলেছিলাম জ্যোতিষ্ক বিশ্বাসের সঙ্গে, যিনি তাঁর প্রথম সাইকেল অভিযান করেছেন হিমালয়ের পশ্চিম থেকে পূর্বে, যাকে সাইকেল অভিযাত্রীদের ভাষায় বলা হয় ট্রান্স-হিমালয়ান ট্রেক। জ্যোতিষ্ক ২০০ দিনে ৮,০০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে এই অভিযান শেষ করেছেন। এবং এমন এমন জায়গায় সাইকেল নিয়ে পৌঁছেছেন যেখানে বাঙালি হিসাবে তিনিই প্রথম।
দর্শকের সামনে গিয়ে যদি অঙ্ক না মেলে? যদি না মেলে বাহবা, হাততালি, প্রশংসা? প্রত্যাশাকে সরিয়ে রেখে অভিনেতা যখন শুধু কাজে ডুবে যান, প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় যখন তৈরি হয় না শিল্প, সেই মায়াবী প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, আবশ্যক-অনাবশ্যকের কথা।
‘এই একটা পুরস্কার আর আমাদের অনুবাদ সাহিত্য পড়ার উৎসাহকে কত দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, সে বিষয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যায়। যদিও আমি এ ব্যাপারে সত্যি খুব আশাবাদী। কারণ এখন বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুদিত বইয়ের চাহিদা বাড়ছে। আর সবথেকে বড় ব্যাপার হল, যারা ইংরেজিতেই লেখেন আর যাঁরা আঞ্চলিক ভাষায় লেখেন, তাঁদের মূল কনটেন্ট-এ অনেক পার্থক্য থাকে।’ গীতাঞ্জলী শ্রী-র ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজ জয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অনুবাদ-সাহিত্য।
‘যে আছে সে দূরে আছে, কাছের পাড়ার খুঁটিনাটি/ টানে না তোমাকে আর। গোপন ডানায় বেঁধে কাঁধ/ তুমি তাই উড়ে চলো বেশহর, বন্দরের ঘাঁটি/ মরমে মরে না প্রেম, অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ।’ নতুন কবিতা।
‘অনেক ঘটনাই আমাদের জানা হয়তো, তবু হাজারও তথ্যের ভিড়ে পর পর প্রয়োজনীয় ঘটনাগুলোকে সাজানো এবং তার ভিত্তিতে কোনো চরিত্রলক্ষণকে চিহ্নিত করা চাট্টিখানি কথা নয়! বরুণবাবু সেই আশ্চর্য ডুবুরি, যিনি সত্যজিৎ-সমুদ্রে ডুব দিয়ে এমন সব রত্নরাজি তুলে এনেছেন, যার মূল্য চিরস্থায়ী!’ সত্যজিৎচর্চায় নতুন সংযোজন।
কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।
‘ছেলেপক্ষের হয়ে আমি প্রতিনিধিত্ব করি প্রাথমিক ভাবে। দু’পক্ষ রাজি হয়ে গেলে আমার কাজ শেষ। নিজেরা দেখার আগে এই বাফারটা এখন অনেকের কাছে সুবিধেজনক। আমার ঘটকালিতে হওয়া দুটো বিয়ে দিব্বি টিকে আছে এখনও। তাই, এই কাজ করি এমন খবর বাজারে ছেড়ে দেওয়ায় ভালই ফল পাচ্ছি।’ সফল ঘটক।
‘কিছু মানুষের যদি তৃতীয় মানুষকে অপছন্দ হয়, তাহলে সলিড গসিপ তৈরি হয়। এই একদল মানুষ অন্য মানুষটির গুষ্টির পিণ্ডি চটকে নিজেরা আরও কাছাকাছি আসে। এদের বন্ধুত্ব বাড়ে। এভাবে গসিপের মাধ্যমে কারোর চোদ্দো গুষ্টি উদ্ধার হয়ে গেলেও এই একদল প্রাণ খুবই একাত্ম বোধ করে এবং তৃপ্ত হয়।’ গসিপের ধরন।
‘মগজগুলো ফেটে ছড়িয়ে যায় ছত্রভঙ্গ রাস্তার মোড়ে/ সমুদ্রগন্ধ আর বুনো তামাক জড়িয়ে থাকে পেন্টব্রাশে/ আমার প্রপিতামহ অবয়ব পাশে বসে থাকে/ ফ্লাইওভারে দৌড়ে ঝুলে থাকে একতাল সুতো ঘুড়ি স্ফটিককম্পাস’ নতুন কবিতা।
‘এখানে বর্ণিত আছে কীভাবে বিষ্ণু একদিন শিবের কাছে আসে এবং একটি মহামন্ত্রের সন্ধান করে। বিষ্ণু সেই মহামন্ত্র পেয়ে কাশীতে জপ করতে শুরু করেন, কিন্তু কাজ হয় না। তাই, তিনি কৈলাসে ফিরে যান। শিব অনুপস্থিত থাকায় এই সময় দেবীই তাঁর সামনে আবির্ভূত হন।’ ‘রাধাতন্ত্র’-এর বর্ণনা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.