সংখ্যা ৯৪: অগ্রহায়ণ ১৪২৯/ ডিসেম্বর ২ ২০২২ —

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২১

বিনয় মজুমদার, কেবল বাংলা কবিতা জগতে নন বরং বাংলা ভাষা গঠনের ক্ষেত্রেও এক অনন্য স্তম্ভ। তাঁর রচিত দৃশ্যকল্প দৃঢ় অথচ মর্মস্পর্শী। এ কবির রচনায় উপস্থিত দার্শনিক ও জৈবনিক তত্ত্ব। তাঁর মায়াময় কিন্তু অপার বিস্তৃত লেখার কাছে বার বার নতজানু হতে হয় আমাদের।

অনুপম রায়

ম্যাকি : পর্ব ২২

‘গায়ক-গায়িকারা পারলে মাসে তিরিশ দিনে চল্লিশটা অনুষ্ঠান করতে রাজি শুধুমাত্র টাকার লোভে। কেউ একবারও ভাবে না, গলাটার বিশ্রামের প্রয়োজন। পর পর দু-দিন গান গাইলেই গলার উপর যা প্রেশার পড়ে, লাগাতার করলে পার্মানেন্ট ড্যামেজের কথা কারও মাথায় আসে না।’ লোভ-নিয়ন্ত্রিত জীবন।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ২৫

বিশ্বকাপ দেখার প্রথম সমস্যা হল, রাত জাগতে হয়। দ্বিতীয় সমস্যা, চোরামি করে বড় টিমেরা পেনাল্টি চায় ও মাঝেমাঝেই VAR নামে এক উদ্ভট ভিলেন তাদের সাহায্য করে। তিন নম্বর, খেলা দেখার সময় অপ্রিয় দেশের ফুটবল-শৈলীর সমাদর করব কি না, সে দ্বিধা বড় হয়ে দাঁড়ায়। আর এত ঝঞ্ঝাটে পড়ে যদি কেউ বিশ্বকাপই না দ্যাখে, তাকে কেউ খেলায় নেবে না।

‘আপ কে আ যানে সে’

ছাপোষা মধ্যবিত্ত নিপাট ভালোমানুষ শাড়ির দোকানের কর্মচারী (এবং মোবাইল দৌরাত্মে বিরক্ত) রাম্মোবাবু হঠাৎ বিয়েবাড়িতে তাঁর নাচের ভিডিওর দৌলতে ভাইরাল হয়ে যান। বেড়ে যায় সাংসারিক আর সামাজিক মান। কিন্তু তারপর? ছোট্ট, মিষ্টি ছবি ‘আপ কে আ যানে সে’।

বন্ধু প্রজাপতির জীবনচক্র

‘বাংলার বহুত্ববাদী অতীতের সুতোয় টান মেরে সংস্কৃতির ভাঙা সেতু চিনিয়ে দিলেন প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। এই সেতুর মেরামতি যে আমাদের মতো দেশে যে-কোনও শিল্পের আদত কর্তব্য এবং বুকে-পিঠে গজাল না ঠুকেও যে তা করে ফেলা যায় ‘দোস্তজী’ তারও বিজ্ঞাপন।’ সমন্বয়ের সংকেত।

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম: পর্ব ৫

বাংলা ছবির ট্রেন্ডসেটিং পরিচালক ভবতোষ লাহিড়ী পরে আছেন একটা হাঁ করা হিংস্র ভাল্লুকের মুখোশ। এর আগে নিজেরই পরিচালিত ‘পলাতক’ ছবিতে তিনি অতিথি-অভিনেতা হিসেবে ভাল্লুকের মুখোশ পরেছিলেন।

খুচরো খাবার: পর্ব ১৫

‘ দিল্লিতে খুচরো খাবার বলতে যা বোঝায়, সেটা এই দুটো জায়গা ছাড়া মেলা ভার। দক্ষিণ দিল্লি অগ্নিমূল্য। কিছু-কিছু ‘খুচরো’ খাবারের যা দাম, তা দিয়ে কলকাতায় মোটামুটি দু-বেলা খাওয়া হয়ে যাবে।

দেখিল সে কোন ভূত

এমন খবর পাবার পর আমরা কি আর বসে থাকতে পারি? সতীর্থের এমন দুঃসময় চাক্ষুষ করতে আমি-তৌফিক-সানোয়ার-বেলায়েত পাঁচবিবি চললাম। শ্রীপ্রমথনাথ বিশী নাকি লিখেছিলেন, ‘অন্বেষণেই তো মৃগয়ার আনন্দ।’ চললাম মৃগয়ায়।

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৮৯

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।