
চিরকুট
‘ছোট তো ওরা। চিরকুটকে নিয়ে খিল্লি করে যারা। পাড়ার মোড়ে সিগারেট ধরায়। সময় হলে পেটায়। কুত্তার মতো পিটিয়ে-পিটিয়ে থেঁতলে দেয়। রক্ত বেরোয়। কখনও বেরোয় না। মানুষ মরে। বেড়ালও। গাছও। গাছের কাছে গিয়ে দাঁড়াও, দেখবে কত ছোট।’ নতুন গল্প।

‘ছোট তো ওরা। চিরকুটকে নিয়ে খিল্লি করে যারা। পাড়ার মোড়ে সিগারেট ধরায়। সময় হলে পেটায়। কুত্তার মতো পিটিয়ে-পিটিয়ে থেঁতলে দেয়। রক্ত বেরোয়। কখনও বেরোয় না। মানুষ মরে। বেড়ালও। গাছও। গাছের কাছে গিয়ে দাঁড়াও, দেখবে কত ছোট।’ নতুন গল্প।

‘আজ কিন্তু এক্কেবারে আলাদা, বেশ বুঝতে পারলাম আমার হাত চায়ের কাপ পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না, তার আগেই ছোট হয়ে এক্কেবারে গর্তে ঢুকে যাচ্ছে। আচ্ছা গর্ত মানে কি পকেট হতে পারে, মানে বলতে পারি আমি গর্ত থেকে টাকা বের করলাম, অথবা এক প্যাকেট সিগারেট কিনে গর্তে ঢুকিয়ে নিলাম!’

‘পাড়ার দোকানপাট বন্ধ। সোমবার। আরেকটু এগিয়ে পৌঁছতে হবে চার মাথার মোড়ে। তারার ডানদিকে অন্ধকার একটা গলি। গলিতে নানা বয়সি প্রেম। নানা ছুতোয় হাতধরা। নানা রকমের যৌনতা। যে-গলির বাইরে দাঁড়িয়ে, একা, তার হৃদয় ঝরছে। নক্ষত্রের মতো।’

‘মানুষদের সীমিত খাবারে মূষিকরাও লুকিয়ে-চুরিয়ে, কখনও-বা সগর্বে প্রকাশ্যে ভাগ বসানোর সংগ্রাম শুরু করে দেওয়ার ফলাফল হিসেবে স্বাভাবিক ভাবেই নিম্নবিত্তরা বিষাদগ্রস্ত ও ক্ষিপ্ত হতে আরম্ভ করেছে।’

‘সারারাত বিছানায় শুয়ে ছটফট করেছে সে। তারপর ভোরের শুকতারাকে সাক্ষী রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে— এই শেষ, কালকের ধর্মঘটই তার রাজনৈতিক জীবনের শেষ অনুষ্ঠান, রাজনীতি আর নয়!’

‘সুহাস তখন নিছক একটা ডেডবডি। পুলিশ মেরেছে, পুলিশই তুলবে। পুলিশ মেরে চলে যেত, বা পুলিশের হয়ে অন্য কেউ। রটে যেত অন্য কোনও গল্প। পাড়া থমথম করত। দু-চারদিন সব চুপচাপ। ফিসফাস। আবার সব স্বাভাবিক। যেন কোথাও হয়নি কিছু।’

‘সিমুই মুখ ফুটে বলেনি কিছু। অথচ সুনন্দ শুনতে পেত। সকলে ভাবে ছেলেরা মেয়েদের মনের কথা বোঝে না। কে বলেছে বোঝে না! ঘাসেরা দিব্যি বোঝে শিশিরের শব্দ। শিশির বোঝে শিউলির টুপটাপ। কখন কেন ঝরে পড়ে। সেইরকম সুনন্দ বুঝত।’
‘ছেলেরাও বাপকে বউয়ের ভাই সম্বোধন করতে করতে তেড়ে এসে ঝাপিয়ে পড়ে। অতঃপর বাপ-ছেলের হাতাহাতি, ঘুসোঘুসি এবং কুৎসিত গালাগালিতে পরিস্থিতি এমন কদর্য হয়ে ওঠে যে পাওনাদার প্রাণ নিয়ে পালাতে পথ পায় না।’
‘সাধুজ্যাঠার দেখিয়ে দেওয়া দরজার পাল্লা ঠেলে ঠান্ডা-ঠান্ডা ভেতরে ঢুকে, সামনে যে চেয়ার দেখতে পেয়েছিল তাতেই বসে পড়েছিল জগৎ। ফাঁকা টেবিলে ফাঁকা কলমদান ছাড়া আর কিছু ছিল না, দেয়ালে ছিল না কোনও ছবি। এ কীসের অফিস? গুমঘর নয় তো!’
‘নতুন ঘটনা বলতে মিউনিসিপ্যাল ইলেকশনের দিন ঘোষিত হয়। গেরুয়া শাড়িতে কুটুপিসির তুলি হাতে ওয়ালিং-এর ছবি ওঁর ফেসবুক পেজে চলে আসে। ব্যাকগ্রাউন্ডে গান : রং দে তু মুঝে গেরুয়া।’
‘কাঁপতে কাঁপতে বেরিয়ে এসেছিল রামরতন। অপমানিত সে অনেকবার হয়েছে, অনেকে বলে অপমানিত না হলে ভাল লেখা যায় না; কিন্তু তাই বলে পিয়নের পোস্ট! বাবলুর অফিসে বসে রামরতন কেঁদে ফেলেছিল ছেলেমানুষের মতো।’
‘মন্দিরের আশেপাশে ডিম-মাংস বেচা নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঝামেলার খবর মোবাইলে দেখেছে রঘু। স্কুলের মিড-ডে মিল থেকেও নাকি ডিম তুলে দেওয়া হচ্ছে জায়গায়-জায়গায়। সামোসা মুড়তে গিয়ে অনেকবার কাগজে পড়েছে রঘু।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.