

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৩১
‘নিজের স্বাধীনতা না হারিয়ে, পরিকল্পনা মাফিক এমন একটা ব্যবস্থা ফেঁদে ফেলায় বেশ আত্মপ্রসাদ অনুভব করল ভূতেশ। মনে মনে সে এটাও ধরে নিল যে, তার জীবন বারে বারেই বদলে যাবে; তবে সবটাই হবে তার বাস্তববুদ্ধির নিয়ম মেনে।’
‘নিজের স্বাধীনতা না হারিয়ে, পরিকল্পনা মাফিক এমন একটা ব্যবস্থা ফেঁদে ফেলায় বেশ আত্মপ্রসাদ অনুভব করল ভূতেশ। মনে মনে সে এটাও ধরে নিল যে, তার জীবন বারে বারেই বদলে যাবে; তবে সবটাই হবে তার বাস্তববুদ্ধির নিয়ম মেনে।’
‘পাকা রাস্তার ওপারে মিলিয়ে গেল রাণীর স্বামী এবং সংসার; সেজোমাসিমার কোলে মাথা রেখে, ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়তে লাগল রাণী। কিন্তু সেই মুহূর্ত থেকেই যেন ঘুম চলে গেল তরঙ্গনাথের। বুঝলেন যে, রাণী ফিরে এল চিরদিনের মতো এবং সর্বস্ব খুইয়েই।’
‘এখানেই কটনসাহেবের সঙ্গে অনেকবার দেখা হয়েছে স্বামীজির। তাঁর অনুরোধে নতুন করে সারিয়ে তোলা কুইন্টন সভাগৃহটি উদ্বোধন করে বক্তৃতাও দেন বিবেকানন্দ। স্বামীজির শরীর-স্বাস্থ্য একেবারেই ভাল না থাকায় সাহেব-সার্জেন দেখিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন কমিশনার সাহেব।’
‘কলকাতা যেন বোমা তৈরি আর নানা ধরনের গুপ্ত সংগঠনের আকর হয়ে উঠেছে। মুরারিপুকুরের ‘আশ্রম’ নামে বাগানবাড়িটা ঘিরে পুলিশের ঘোর সন্দেহ। সক্রিয় সদস্যদের নামের তালিকার থেকেও বেশি ভয় সাধারণ মানুষদের নিয়ে।’
‘প্রথম পয়েন্ট হল— ভাল, খারাপ ভীষণ সাবজেক্টিভ একটা ব্যাপার। দ্বিতীয় পয়েন্ট, শিল্পের ক্ষেত্রে যদি ধরে নিই, যা কিছু শাশ্বত তা ভাল, তাহলে বলো কালিদাস কেমন মানুষ ছিল? বলো শেক্সপিয়র কেমন মানুষ? যামিনী রায়? বাখ? পিকাসো? দালি? সত্যি কি ম্যাটার করে?’
‘ভূতেশের তীক্ষ্ণ নজর তাই সেই আইনগুলোর দিকেই, যা দিয়ে সাহেবরা একটা মিলজুল করাতে চলেছে পুলিশ এবং আর্মিতে কাজে নেওয়া নেটিভদের। এই নেটিভ অফিসাররাই হবে এদেশে বাস করা সাহেবদের জীবনযাপনে সুখ-সুবিধে এবং সুরক্ষার সেতু।’
‘শাফিকা তাকাতেই তার ওপরে বিছিয়ে গিয়ে মিয়া জিজ্ঞাসা করল, ‘কোথায় রেখেছিস?’ ‘বালিশের তলায়!’ ভোরের আলোয় মিলিত হল ইসমাইল এবং তা শাফিকারই শর্তে।’
‘কলকাতা থেকে বদলি করে এখানে আনা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট ডগলাস কিংসফোর্ড সাহেবকে। তাঁর এজলাসের বিচারাধীন মামলায় তাঁর দেওয়া বিভিন্ন রায়ে খেপে উঠেছে বাংলার বিপ্লবীরা। তবে সমস্ত গোপন খবর কি আর দপ্তরে আসে?’
‘নিজের ইংরেজি জ্ঞানের ওপর ভাল দখল থাকার কারণেই এমন একটা ইচ্ছে তার হয়েছিল। হরশঙ্কর ব্যাকুল হয়ে উঠল মাকে একখানা চিঠি লিখে সব ব্যাপারটা খোলসা করে দেবার। বুঝিয়ে বলা যে, উদ্বেগের কারণ নেই। শান্তিতে জীবন কাটানোর জন্যই সে একটা বিকল্প পথ খুঁজছে।’
‘দু-একবার তো ভূতেশের সঙ্গে তার মাকে বিছানাতে দেখেও ফেলেছে সে; তাদেরই অসতর্কতার কারণে! ওই অন্ধকার ঘরে, আচম্বিতে নিত্যর উপস্থিতি টের পেয়েও বড়বউ তো কই ভূতেশকে ছেড়ে, বিছানা থেকে সরে যায়নি! ভূতেশও অবশ্য সংকোচ বা ভয়ে ছাড়িয়ে নেয়নি নিজেকেও।’
‘চাঁদনি থেকে এসপ্ল্যানেডের দিকে চলেছে মেট্রোটা। পরের স্টপেই নামতে হবে নীলাকে। দরদর করে ঘামছে। এই ভিড় থেকে বেরতে পারলে বাঁচে। স্টেশনে নেমে ঊর্ধ্বশ্বাসে হাঁটতে থাকে। কলকাতার এই ধাক্কাধাক্কিতে এখন অবশ্য সম্পূর্ণ অভ্যস্ত নীলা।’
‘হিসি হওয়ার বদলে, সেখান দিয়ে এত রক্ত সমানে বেরিয়ে যেতে দেখে, ভয় এবং ঘেন্না দুই-ই হয়েছিল আমার; কিন্তু যখন লক্ষ করলাম যে, ‘নোংরা’ হয়েছ না বলে, শাশুড়িমা বললেন, ‘বড়’ হয়েছ, ঘেন্নাটা তখন যেন একটু কমে গেল।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.