গল্প / কবিতা

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৪১

‘বদ্রুনাথ জানতেও পারল না যে, কেন তিনি আজ তার নৌকোতে উঠেছিলেন। তরঙ্গনাথের মনে পড়ল যে, দস্যু রত্নাকরের পাপের ভাগও তো কেউ নেয়নি; তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ বদ্রুনাথও বোধহয় ক্ষমা করতে পারবে না তাঁকে।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৪০

‘ভূতেশ তার নিজের পড়ুয়া সত্তাটাকেই যেন দেখতে পায় মিতার মধ্যে। ভূতেশ বুঝতে পারে যে, মিতা তার দুই দিদি বা মায়ের মতো সুন্দরী না হলে‌ ব্যক্তিত্বে বোধহয় সবাইকে ছাপিয়ে যাবে।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৩৯

‘একদল পুলিশের ভিড়ে তরু আর সৌরীশকে আকুল উৎকন্ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, দূর থেকেই গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে থানায় চলে গেলেন তরঙ্গনাথ, নিরাপদে তাঁর বাচ্চাদের ফেরার খবরটা দিতে। তরঙ্গনাথকে শান্তভাবে থানায় ঢুকতে দেখে, নির্বাক হয়ে গেল সবাই।’

কয়েকটি কবিতা

‘সকাল বিকেল কেটে গিয়ে এল রাত/
বাড়িটা ভেঙে পড়ছিল, বড় বড় আওয়াজে/
বড় বড় পাথর, পড়ছিল নীচে,/অনেক টিকটিকি ছিল,/ সেইগুলির টিক-টিক শব্দের উপর পড়ছিল পাথর, …’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৩৮

‘তবে ডাক্তার ডাকতেই হল। নিধিকাকা নিজে গিয়ে নিয়ে এল, পাড়ার সেই নাড়ি-টেপা ভূধর ডাক্তারকে। দাগ-দেওয়া বোতলে লাল-মিক্সচার দিয়ে ডাক্তার বলে গেলেন, রক্তপরীক্ষা করাতে; তাতেই ধরা পড়ল যে, টাইফয়েড হয়েছে সুপ্রভার।’

নীল কেটলি : পর্ব ২

‘আমার কাছে তখন ময়মনসিংহের মতো এমন রূপকথার রাজ্য আর কোথাও নেই।… ব্রহ্মপুত্রের ও-পারে ছিল বিস্তীর্ণ তৃণভূমি, শরৎকালে জায়গাটা কাশফুলে ভরে যেত। আর শীতকালে ব্রহ্মপুত্রে বড়-বড় চর পড়ত।’ শৈশবের আনন্দময় স্মৃতি।

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৩৭

‘খাতির দেখে তরুলতারও আর বুঝতে বাকি রইল না যে, কতখানি পদোন্নতি হয়েছে তার স্বামীর। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে গোপের পথ ধরতেই, সকলের চোখ এড়িয়ে তরঙ্গনাথকে প্রণাম করল তরুলতা; আড়ষ্ট তরঙ্গনাথ গভীর দৃষ্টিপাতে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলেন তরুলতার দিকে।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৩৬

‘পাটনা পৌঁছে জানা গেল যে, সাহেবদের জন্য কোয়ার্টার অকুলান হওয়ায় তরঙ্গনাথকে তখন থাকতে বলা হয়েছে বাঁকিপুরে; পরিবারের কেউ সঙ্গে থাকে না; ফলে তরঙ্গনাথ একা মানুষ।’

অনুপম রায়

নীলা-নীলাব্জ:পর্ব ৫

‘…ভালবাসা একটা আকর্ষণ, সেটাই বললে না? কারোর জন্য উন্মাদ হয়ে যাওয়া। সবাই হয়তো বারণ করছে, করিস না,করিস না বোকা কিন্তু তবু বারবার তার কাছেই ছুটে যাওয়া। একটা অদৃশ্য টান। একটা মায়া। এটা ভালবাসা নয়?’

নীল কেটলি: পর্ব ১

‘বাবাকে চিনতাম বটে, কিন্তু বড্ড দূরের মানুষ। লম্বা, ছিপছিপে, অতিশয় সুপুরুষ একটা লোক মাঝে মাঝে আসে যায়, কখনও আমাকে একটু কোলেও নেয়, কিন্তু ওই এসোজন-বোসোজনের মতোই একজন মাত্র।’ ফেলে আসা জীবনের কথা।

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৪০

‘এসব দিনে অপেক্ষারও বয়স বাড়ে।/ তোমাকে চিনি শাড়ি তোলার ব্যস্ততায়।/ কী অহমিকার রৌদ্র নাও আঙুলে বেঁধে…/ শরীর থেকে অতীত নাম ছিটকে যায়।/ আমার পাড়া অন্যদিকে।/ জীবনও ছোট।/ সানাই থেকে ডানদিকের রাস্তা ভাগ। …’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৩৫

‘দরজাটা আবার ভেজিয়ে দিয়ে, ঘরের দিকে আসতেই ভূতেশ দেখল যে, এক গ্লাস চিনির-পানা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রভা। খুব অল্প সময়ের জন্য আদর বিনিময় হল পরস্পরের চোখে; ভূতেশের হাতে গ্লাসটা ধরিয়ে দিয়েই প্রভা চলে গেল। কে বলবে যে এখন সে দুই সন্তানের মা!’