

কয়েকটি কবিতা
‘সকাল বিকেল কেটে গিয়ে এল রাত/
বাড়িটা ভেঙে পড়ছিল, বড় বড় আওয়াজে/
বড় বড় পাথর, পড়ছিল নীচে,/অনেক টিকটিকি ছিল,/ সেইগুলির টিক-টিক শব্দের উপর পড়ছিল পাথর, …’
‘সকাল বিকেল কেটে গিয়ে এল রাত/
বাড়িটা ভেঙে পড়ছিল, বড় বড় আওয়াজে/
বড় বড় পাথর, পড়ছিল নীচে,/অনেক টিকটিকি ছিল,/ সেইগুলির টিক-টিক শব্দের উপর পড়ছিল পাথর, …’
‘তবে ডাক্তার ডাকতেই হল। নিধিকাকা নিজে গিয়ে নিয়ে এল, পাড়ার সেই নাড়ি-টেপা ভূধর ডাক্তারকে। দাগ-দেওয়া বোতলে লাল-মিক্সচার দিয়ে ডাক্তার বলে গেলেন, রক্তপরীক্ষা করাতে; তাতেই ধরা পড়ল যে, টাইফয়েড হয়েছে সুপ্রভার।’
‘আমার কাছে তখন ময়মনসিংহের মতো এমন রূপকথার রাজ্য আর কোথাও নেই।… ব্রহ্মপুত্রের ও-পারে ছিল বিস্তীর্ণ তৃণভূমি, শরৎকালে জায়গাটা কাশফুলে ভরে যেত। আর শীতকালে ব্রহ্মপুত্রে বড়-বড় চর পড়ত।’ শৈশবের আনন্দময় স্মৃতি।
‘খাতির দেখে তরুলতারও আর বুঝতে বাকি রইল না যে, কতখানি পদোন্নতি হয়েছে তার স্বামীর। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে গোপের পথ ধরতেই, সকলের চোখ এড়িয়ে তরঙ্গনাথকে প্রণাম করল তরুলতা; আড়ষ্ট তরঙ্গনাথ গভীর দৃষ্টিপাতে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলেন তরুলতার দিকে।’
‘পাটনা পৌঁছে জানা গেল যে, সাহেবদের জন্য কোয়ার্টার অকুলান হওয়ায় তরঙ্গনাথকে তখন থাকতে বলা হয়েছে বাঁকিপুরে; পরিবারের কেউ সঙ্গে থাকে না; ফলে তরঙ্গনাথ একা মানুষ।’
‘…ভালবাসা একটা আকর্ষণ, সেটাই বললে না? কারোর জন্য উন্মাদ হয়ে যাওয়া। সবাই হয়তো বারণ করছে, করিস না,করিস না বোকা কিন্তু তবু বারবার তার কাছেই ছুটে যাওয়া। একটা অদৃশ্য টান। একটা মায়া। এটা ভালবাসা নয়?’
‘বাবাকে চিনতাম বটে, কিন্তু বড্ড দূরের মানুষ। লম্বা, ছিপছিপে, অতিশয় সুপুরুষ একটা লোক মাঝে মাঝে আসে যায়, কখনও আমাকে একটু কোলেও নেয়, কিন্তু ওই এসোজন-বোসোজনের মতোই একজন মাত্র।’ ফেলে আসা জীবনের কথা।
‘এসব দিনে অপেক্ষারও বয়স বাড়ে।/ তোমাকে চিনি শাড়ি তোলার ব্যস্ততায়।/ কী অহমিকার রৌদ্র নাও আঙুলে বেঁধে…/ শরীর থেকে অতীত নাম ছিটকে যায়।/ আমার পাড়া অন্যদিকে।/ জীবনও ছোট।/ সানাই থেকে ডানদিকের রাস্তা ভাগ। …’
‘দরজাটা আবার ভেজিয়ে দিয়ে, ঘরের দিকে আসতেই ভূতেশ দেখল যে, এক গ্লাস চিনির-পানা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রভা। খুব অল্প সময়ের জন্য আদর বিনিময় হল পরস্পরের চোখে; ভূতেশের হাতে গ্লাসটা ধরিয়ে দিয়েই প্রভা চলে গেল। কে বলবে যে এখন সে দুই সন্তানের মা!’
‘বড়মেয়ে বিমিরও ঠাকুমার মতো বই পড়ার নেশা। সারাদিন সে হয় পড়ে, না হয় সেলাই করে। ইলার অবশ্য ঘর-সংসারে খুব নজর। ভাইকে বলতে গেলে সে-ই সামলায়। মাকেও সাহায্য করতে চায় না বলতেই।’
‘হরুর মনে পড়ল জয়নারায়ণের কথা। সাবধানের মার নেই ভেবে তারা আর পরস্পরকে চিঠি লেখে না; কিন্তু মায়ের কাছে এসব ঘটনা জানার পর পরই লোক মারফত জয়নারায়ণ যোগাযোগ করে তার প্রাণের বন্ধু হরুর সঙ্গে; দেখা হয়েছিল তরুবউদির ছোটকাকার ইছাপুরের বাড়িতে।’
‘স্টেশন থেকে বেরোতেই ভূতেশ দেখল যে, একখানি সরকারি ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে তার আরদালি দাঁড়িয়ে আছে। অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের বাংলোয় পৌঁছে আর এক চমক; মেয়ে নিয়ে প্রভা আসছে শুনেই, পাশের বাংলোর বাঙালি অফিসারের গিন্নি একেবারে প্রদীপ, ফুল, মিষ্টি নিয়ে তৈরি।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.