

কয়েকটি কবিতা
‘ওই যে ফণা, বাসুকিরাজ/ ইচ্ছেমতন হচ্ছে দরাজ/ লতিয়ে চলে, লুটিয়ে লাজ/ মিলন, বাঁকা দহে…/ ফাতনা নড়ে, অধোবদন/ শিকার বলে, ‘হে উন্মাদন!/ যাতনা এক আমারই ধন/ বুভুক্ষু বিরহে।’ নতুন কবিতা।
‘ওই যে ফণা, বাসুকিরাজ/ ইচ্ছেমতন হচ্ছে দরাজ/ লতিয়ে চলে, লুটিয়ে লাজ/ মিলন, বাঁকা দহে…/ ফাতনা নড়ে, অধোবদন/ শিকার বলে, ‘হে উন্মাদন!/ যাতনা এক আমারই ধন/ বুভুক্ষু বিরহে।’ নতুন কবিতা।
‘মৃত্যুর আগে বোনেরা খোদার কাছে ফরিয়াদ করেন, তাঁরা খোদার কাছে অপরাধী কিন্তু মীরনের কাছে তো কোনো অপরাধ করেননি, বরং মীরনের আজ যা আছে সবই তাঁদের দৌলতে। তাঁদের অভিশাপে সে-রাতেই রাজমহলের কাছে মীরন বজ্রাঘাতে মারা যায়।’ খোদার বিচার।
‘ওবেলা চমন আবিষ্কার করে ছোট্ট একটা বাদশাহী ছুরি বিঁধে আছে জানালার কপাটে, বাঁটে কোফত্গার কী সুন্দর সোনার পাতের কাজ করেছে, চুনি-মরকত বসানো একটা ময়ূরকণ্ঠ। বাইরের কেউ কি চিঠি-সহ ছুরিটা ছুঁড়ে মেরেছে বেগমদের? পালাবার বন্দোবস্ত? ছুরি নিয়ে আহ্লাদিত চমন যায় মর্দান বেগকে জানাতে।’ আশঙ্কার সূত্রপাত।
‘মিছিল তোমায় চেনাল এই দেশে/ ওই ভেসে যায় তরণীবক্তৃতা—/ দ্যাখেইনি যে, কী করে আঁকবে সে/ নদীর উপর জ্বলন্ত সেই চিতা?/ বরং তাকে বিচার করা ভাল/ যে-বালিকা প্রবঞ্চনায় ধীর…/ তোমার প্রিয় তরুণ পরিচালক—/ আমার ছিল প্রহরামঞ্জির।’ নতুন কবিতা।
‘এলিয়টও কী ভেবেছিলেন রবীন্দ্রনাথের মতো— শতবর্ষ পরে তাঁর কবিতা কীভাবে পৌঁছবে পাঠকের কাছে? গত এক শতাব্দী জুড়ে ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ পড়া ও আলোচনা হয়েছে মূলত প্রথম মহাযুদ্ধের পটভূমিতে। আমাদের প্রজন্ম মহাযুদ্ধ দেখেনি। কিন্তু টানা দু’বছর ভয়াবহ অতিমারীর সঙ্গে লড়াই করেছি আমরা। গত এপ্রিল বা তার আগের মার্চের মৃত্যুমিছিল দেখতে দেখতে, কিংবা ঘরে ফেরার টানে বান্দ্রা স্টেশনের বাইরে অপেক্ষমাণ হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের ছবি দেখে মনে পড়েছে এলিয়টের পংক্তি, ‘Unreal city!… I had not thought death had undone so many…’।’
এ গল্প দুই বোনের। দুই মায়ের পেটের বোন। একজন দোর্দণ্ডপ্রতাপ, আরেকজন ম্রিয়মান। মরহুম নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার খালা আর মা! ঘসেটি বেগম আর আমিনা বেগম! সম্পর্কের গুমোট রাতদিন।
‘অবাক হয়ে দেখি আমগাছের আড়াল থেকে শাড়ি পরা একটা মেয়ে বেরিয়ে সামসুলের সঙ্গে আসছে। কাছাকাছি এসে বলল, ‘দাদা আমার বউ, আপনার সঙ্গে একবার দেখা করবে বলে এসেছে। তারপর মেয়েটির দিকে ফিরে বলল, কাছে আয় সাকিনা, লজ্জা কী, এই তো আমার কাত্তিকদাদা!’‘ নতুন গল্প।
‘মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সারমর্ম বুঝতে মুখ্যসচিবের সময় লাগল না। তাঁর মনে পড়ে গেল, তিনি এমন একটা কানাঘুষো শুনেছিলেন যে, স্যার নাকি প্রথম জীবনে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ হেড হিসাবে তাঁর লার্নেড কলিগদের সাফল্যের সঙ্গে সামলাতে পারেননি। তাঁকে নাকি বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।’ নতুন গল্প।
‘যে আছে সে দূরে আছে, কাছের পাড়ার খুঁটিনাটি/ টানে না তোমাকে আর। গোপন ডানায় বেঁধে কাঁধ/ তুমি তাই উড়ে চলো বেশহর, বন্দরের ঘাঁটি/ মরমে মরে না প্রেম, অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ।’ নতুন কবিতা।
‘মগজগুলো ফেটে ছড়িয়ে যায় ছত্রভঙ্গ রাস্তার মোড়ে/ সমুদ্রগন্ধ আর বুনো তামাক জড়িয়ে থাকে পেন্টব্রাশে/ আমার প্রপিতামহ অবয়ব পাশে বসে থাকে/ ফ্লাইওভারে দৌড়ে ঝুলে থাকে একতাল সুতো ঘুড়ি স্ফটিককম্পাস’ নতুন কবিতা।
‘নদীর ধারে ঝুপড়িগুলো পেরিয়ে দেখি পোড়োদুর্গটার ঠিক পিছনে আলে ঘেরা ছোট একফালি মাঠ। সেইখানে জনাপাঁচেক ছেলে সাগর ডিঙাডিঙি খেলছে। লালু দৌড়ে গিয়ে তাদের চাটাচাটি করল। ওরা খেলতে ডাকল আমাদের। গেলাম। ঠাহর করতে পারলাম, মাথায় চুল নেই ওদের কারো। গরমের জন্য মাথা মুড়িয়েছে? না কি উকুন হয়েছিল? কে জানে! আস্তে-আস্তে গলা শুনতে-শুনতে এক সময় আন্দাজ করতে পারলাম, ওদের মধ্যে দুজন ছেলে আর তিনজন মেয়ে।’ ভূতের গল্প।
‘মালবিকা জানেন, শুধু দাড়ির জন্য নয়, হট্টগোলে আঁতকে উঠে সুবিমল ওই বিকট ‘এলা এলা এল্লা’ হাঁক দিয়েছিলেন বলেই সিলামপুরের রাস্তায় পানের দোকানি তার কাঁচি বিঁধিয়ে হুঙ্কার দিয়েছিল ‘জয় শ্রীরাম!’, ছুটে এসে বিল্টু সামলেছিল, ‘মেরা আঙ্কেল ব্রামহিন হ্যায়, মেরা আঙ্কেল ব্রামহিন…।’’ নতুন গল্প।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.