শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম: পর্ব ৪
‘ব্রহ্ম ঠাকুর হাতে কফির মাগ নিয়ে মাথা নাড়তে নাড়তে একটু রুক্ষস্বরেই বললেন— লতিকাদেবী, আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে জানাচ্ছি, লিডিয়ো কিপ্রিয়ানি সঠিক লেখেননি। ওঙ্গে এবং জারোয়ারা মানুষখেকো নয়।’
‘ব্রহ্ম ঠাকুর হাতে কফির মাগ নিয়ে মাথা নাড়তে নাড়তে একটু রুক্ষস্বরেই বললেন— লতিকাদেবী, আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে জানাচ্ছি, লিডিয়ো কিপ্রিয়ানি সঠিক লেখেননি। ওঙ্গে এবং জারোয়ারা মানুষখেকো নয়।’

‘ব্যথাকে বাজার দিয়ে হাঁটিয়ে এনেছি ভোর-ভোর/ বিরহ বন্ধক রেখে এনেছি শুকনো ফুল কিছু/ এখানে শোকের জামা বিক্রি হয়, এমনই শহর/ তাকানো যেমনই হোক, চাহনি চোখের চেয়ে নীচু’ নতুন কবিতা।

‘ঐ যে পাহাড়। আর ত্যারছা ঢাল তার। ঢাল বেয়ে পাথর গড়িয়ে পড়ে, গাড়ির হর্ন, আফশোস, স্নেহ, কৃতজ্ঞতার মতো বিশাল চাঙড়, খুচরো থ্যাংকিউ, সন্ধ্যা নামতে থাকলে ব্লেন্ডারস প্রাইড। গ্লেন খোঁজা বারণ।’

‘অম্লান আসলে কে? আমি, না কি আপনারা সবাই? না কি কেউ না, ওই আয়নাটা কিছু জানে, বোঝে? আমি নাচলে নাচে, কাঁদলে কাঁদে। কিন্তু বাকি কিছু? অম্লান মানে আমি, মানে আপনারা, এভাবেই দাঁড়িয়ে ছিলাম।’

‘শ্রীখোল খঞ্জনি নাই, বেলা যায় সাঁঝের গলিতে।/ দীপ জ্বালো কলিকাতা, সুতানুটিগুছির পলিতে/ ঊরুতে পাকাও বসি, দেখ দীন গোবিন্দপুরের/ গৌর ধূলির পথে নিত্যানন্দে হাওয়া ওঠে ফের…’ নতুন কবিতা।
‘লতিকা এক-এক করে সবার দিকে তাকালেন। তারপর নিজের চশমাটা একবার মুছে নিয়ে তীক্ষ্ণস্বরে বললেন— আমার করা প্রশ্নগুলো বোধহয় আমার নতুন বন্ধুদের কাছে একটু কঠিনই হয়ে গেছে!’
জীবনে একটা জিনিস বুঝেছি, আত্মবিশ্বাস জিনিসটা কেবল পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেলেই বাড়ে না, প্রথম আলাপে অচেনা কোনও মহিলার ফোন নম্বর পেলেও বাড়ে। সে-আত্মবিশ্বাসে ভর করেই শুরু করেছিলাম ফোনালাপ।

‘প্রথম ছোঁড়া ডিমটা লাগতেই মূর্তিটা নড়ে ওঠে বলে আমাদের মনে হয়। আর আমরা অবাক হয়ে চোখ ডলে নিই, ধন্দে পড়ি; কারণ, আমাদের মনে হয় মূর্তিটা আমাদের দিকে মুখটা ঘুরিয়ে আবার আগের ভঙ্গিতে ফিরে যায়।’ নতুন গল্প

‘তোমার ভ্রমরচুলে শ্বাস নিতে নিতে ভাবি/ আজ/ শ্বাসরোধ সুখকর। আহা!/ স্বীকার করছি তুমি ভালোবাসবার মতো/ কষ্টকর, দূরতর, তাও/ ভিখিরির মতো হীন, ভিক্ষা প্রত্যাখ্যান করে/ সদর্পে দাঁড়াই’ নতুন কবিতা।
‘রকস্টার বান্টি ঘোষাল এসেছেন একটা টিভি চ্যাট শোতে অংশ নিতে। বিখ্যাত সাংবাদিক মি. মুকুন্দ অবস্থী, যাঁকে সাংবাদিক-সার্কিটে অযাচিত জ্যাঠামির জন্য শ্লেষমিশ্রিত খাতির করে ‘জেঠু’ বলে ডাকা হয়, তিনি বসেছেন ‘স্পষ্ট কথা’ অনুষ্ঠানের গোল টেবিলের অন্যদিকে।’
‘হঠাৎ এক সময়ে লক্ষ করলাম, ভদ্রমহিলা একদৃষ্টে আমার দিকে চেয়ে আছেন। চোখে চোখ পড়তে পরিচিতের মতো হাসলেন। ফর্সা-গোলগাল ঘরোয়া চেহারা, এককালে যে যথেষ্ট সুন্দরী ছিলেন, অস্তগামী যৌবনের বিলীয়মান ছটায় তারই আভাস।’
‘বিয়েটা করেছিলাম রেলপথের জন্যই। সুভাষের বেলাতেও নাকি তাই ছিল! বিয়ের পর পর তো ওর কেবিন-রোমাঞ্চ অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।’ নতুন গল্প।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.