গল্প / কবিতা

প্রজাপতি : পর্ব ১

‘তৃণা যে অপয়া তা সুদীপ বুঝেছিল বিয়ের দিনই। পানপাতা দু’দিকে সরিয়ে যখন শুভদৃষ্টি সম্পন্ন হল তখন তার দুটো চোখ কটকট করছিল খালি। প্রথমে সে ভেবেছিল তৃণার রূপ তার অনভিজ্ঞ বালক চোখে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।’

অনিকেত সুর

কয়েকটি কবিতা

‘তবু তোমাকে না ভোলার প্রত্যয়/ আমার জীবনজুড়ে থাক/ আমার তাবৎ কষ্টগানে/ আমার ছায়া কুড়াবার ঘোরে/ ক্লান্তিহীন নিরুপদ্রুত কোনও ঘুমের ভেতর…’ নতুন কবিতা।

অরুণ কর

একটা আদর্শের মৃত্যু

একজন মানুষের আদর্শের মৃত্যু হলে কি মানুষটি আর বেঁচে থাকে? বেঁচে থাকলেও, সে বাঁচা কেমন বাঁচা? তার সঙ্গে যারা ছিল, তারাও কি বেঁচে থাকে তখন, একই রকম সত্তা নিয়ে? না কি তারাও মরে গিয়ে অন্য মানুষ হয়ে যায়? আদর্শ অতি বিষম বস্তু। নতুন গল্প।

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম: পর্ব ৫

বাংলা ছবির ট্রেন্ডসেটিং পরিচালক ভবতোষ লাহিড়ী পরে আছেন একটা হাঁ করা হিংস্র ভাল্লুকের মুখোশ। এর আগে নিজেরই পরিচালিত ‘পলাতক’ ছবিতে তিনি অতিথি-অভিনেতা হিসেবে ভাল্লুকের মুখোশ পরেছিলেন।

দেখিল সে কোন ভূত

এমন খবর পাবার পর আমরা কি আর বসে থাকতে পারি? সতীর্থের এমন দুঃসময় চাক্ষুষ করতে আমি-তৌফিক-সানোয়ার-বেলায়েত পাঁচবিবি চললাম। শ্রীপ্রমথনাথ বিশী নাকি লিখেছিলেন, ‘অন্বেষণেই তো মৃগয়ার আনন্দ।’ চললাম মৃগয়ায়।

অগ্নি রায়

কয়েকটি কবিতা

‘উপুড় হয়ে বৃষ্টি ঝরল পাশের পুকুরে,/ আমি তার জলবায়ু লিখেছি গোপন/ তামাকপ্রবণ রাতে, কানাঘুষো কথা/ ধোঁয়াতে ঢেকেছে পাপ, ততোধিক রাধা,/ মনে রেখো, ফিরে আর এসো না দৈবাৎ’ নতুন কবিতা।

আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

কয়েকটি কবিতা

‘ঘুমিয়ে পড়লে জানি একেবারে শিশু হয়ে ওঠো/ স্নেহশীল পিতা আমি/ যৌনতা ভুলে তাই তোমাকে কন্যার মতো দেখে/ যে-হাত কোমরে যেত, শুধরে নিই মাথার উপরে/ আরও বাঁচো, স্নেহে, স্বপ্নে, এ-জীবন দীর্ঘায়ু পাক’ নতুন কবিতা।

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম: পর্ব ৪

‘ব্রহ্ম ঠাকুর হাতে কফির মাগ নিয়ে মাথা নাড়তে নাড়তে একটু রুক্ষস্বরেই বললেন— লতিকাদেবী, আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে জানাচ্ছি, লিডিয়ো কিপ্রিয়ানি সঠিক লেখেননি। ওঙ্গে এবং জারোয়ারা মানুষখেকো নয়।’

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২১

‘ব্যথাকে বাজার দিয়ে হাঁটিয়ে এনেছি ভোর-ভোর/ বিরহ বন্ধক রেখে এনেছি শুকনো ফুল কিছু/ এখানে শোকের জামা বিক্রি হয়, এমনই শহর/ তাকানো যেমনই হোক, চাহনি চোখের চেয়ে নীচু’ নতুন কবিতা।

সব্যসাচী সান্যাল

ভ্রমণকাহিনি; চ্যাপ্টার রামগড় (উত্তরাখণ্ড)

‘ঐ যে পাহাড়। আর ত্যারছা ঢাল তার। ঢাল বেয়ে পাথর গড়িয়ে পড়ে, গাড়ির হর্ন, আফশোস, স্নেহ, কৃতজ্ঞতার মতো বিশাল চাঙড়, খুচরো থ্যাংকিউ, সন্ধ্যা নামতে থাকলে ব্লেন্ডারস প্রাইড। গ্লেন খোঁজা বারণ।’

ঋভু চট্টোপাধ্যায়

এই আমি অথবা আমি

‘অম্লান আসলে কে? আমি, না কি আপনারা সবাই? না কি কেউ না, ওই আয়নাটা কিছু জানে, বোঝে? আমি নাচলে নাচে, কাঁদলে কাঁদে। কিন্তু বাকি কিছু? অম্লান মানে আমি, মানে আপনারা, এভাবেই দাঁড়িয়ে ছিলাম।’

রূপক চক্রবর্তী

কয়েকটি কবিতা

‘শ্রীখোল খঞ্জনি নাই, বেলা যায় সাঁঝের গলিতে।/ দীপ জ্বালো কলিকাতা, সুতানুটিগুছির পলিতে/ ঊরুতে পাকাও বসি, দেখ দীন গোবিন্দপুরের/ গৌর ধূলির পথে নিত্যানন্দে হাওয়া ওঠে ফের…’ নতুন কবিতা।