হা মোর ইস্টবেঙ্গল!
‘ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে চোখে রাখার বিষয় গত কুড়ি বছরের দুঃখজনক রেকর্ড। জাতীয় পর্যায়ে লিগের দিক থেকে দেখতে গেলে শেষ খেতাব ২০০৩-০৪ মরসুমে।’
‘ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে চোখে রাখার বিষয় গত কুড়ি বছরের দুঃখজনক রেকর্ড। জাতীয় পর্যায়ে লিগের দিক থেকে দেখতে গেলে শেষ খেতাব ২০০৩-০৪ মরসুমে।’

ম্যাচের পর হোটেলে গিয়েছিলাম আমরা। দরজাটা খুলে শুধুমাত্র মুখটা দেখিয়েছি,তখনি ভেতর থেকে ডাকলেন, “ক্যাপ্টেন কাম হিয়ার।” ভেতরে ঢুকে পেলাম একজন অন্য মানুষকে! সবচেয়ে বড় কথা তাঁর মাপের একজন মানুষ ঠিক মনে রেখেছেন বিপক্ষের অধিনায়ককে!
নিঃসংশয়ে বলা যায়, পেলে এবং খানিকটা রোনাল্ডো ছাড়া, মেসির মতো এত বছর ধরে এই ধরনের কর্তৃত্ব কেউ দেখাননি। প্রায় ১৭-১৮ বছর হল, এই আর্জেন্টিনীয়, সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন। তর্ক চলতে পারে, তিনি সেরা না অন্য কেউ। মেসিকে বাদ দিয়ে এই তর্ক চলতে পারে না।
বিশ্বকাপ দেখার দৌলতে কাতারকেও বেশ উপভোগ করলাম। অন্য একটা সংস্কৃতি, অন্য মানুষ, নতুন শহর, নানা দেশের দুর্দান্ত খাবারদাবার, আর্কিটেকচার— সব মিলিয়ে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। যেন শহরজুড়ে একটা মহাযজ্ঞ চলছে। আর এই রকম একটা মহাযজ্ঞে আমিও সামিল ছিলাম, এটা ভেবেই দারুণ লাগছে।

সিঁড়ি ভেঙে উঠে প্রথমবার মাঠের সামনে দাঁড়ানো! এই অভিজ্ঞতাটার তুলনা হয় না! আমি বার বার দাঁড়াতে চাই, ওই বৃহতের সামনে, যেখানে আমার নিজের কোনও স্বার্থ নেই, কোনও ম্যাচের হারাজেতার ওপর আমার কিচ্ছু নির্ভর করে না।

আমাদের পিছনে কিছু ইংলিশ ফ্যানেরা বসে ছিল। বিশাল তাদের গলার জোর, এমন জোর চিৎকার করছে যে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাওয়ার জোগাড়! অমন গলা পেলে আমি সত্যিই মাইক ছাড়া গাইতে পারতাম। তার ওপর যা গালাগালি করল ফ্রান্সের গোলকিপারকে!

খেলা দেখতে আসা দর্শকের এ রকম উন্মাদনা আগে সত্যি দেখিনি। আর এই উন্মাদনার একটা কারেন্ট যেন সবার মধ্যে ছড়িয়ে যায়। নিজের উত্তেজনা সব সময় নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। চারদিকে দেখলে মনে হয় একটা বিশাল উন্মাদনার যজ্ঞে আমিও একজন কনট্রিবিউটার।
‘গোলগাল, মিষ্টি চেহারার পারহামকে এক নজরে দেখে বোঝার জো নেই যে তিনি ইরানের ১ নং পুরুষ দাবা খেলোয়াড়, যিনি ২০১৮-তে দাবা দুনিয়াকে চমকে দিয়ে, ১০-এ ৯.৫ স্কোর নিয়ে জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতেছিলেন।’

দেশে যুদ্ধ, বিদেশে ঠাঁই এখন। বাবা-মা-পরিজনহীন জায়গায় মানিয়ে নিতে হচ্ছে। কিন্তু খেতাব জিতছেন দেশের জন্য। দুই বোন, দুজনেই গ্র্যান্ডমাস্টার। ইউক্রেনের মেয়েরা চালে-চালে কিস্তিমাত করছেন। কলকাতার টাটা স্টিল তেল ইন্ডিয়া ২০২২-এও তার ব্যতিক্রম হল না। সেই মঞ্চেও উজ্জ্বল আনা ও মারিয়া।
বিশে নভেম্বর আল বাইত স্টেডিয়ামে কাতার বনাম ইকুয়াডোর প্রথম ম্যাচ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সব ছাপিয়ে সামনে চলে আসবে ফুটবল।
ব্ল্যাটার কি বলেছিলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে ঠিক কি ব্যবহার করা হয়েছিল, মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে কি না, এই সব ব্যাপারে মনে হয় না খুব বেশি মানুষ আর মাথা ঘামাবেন।

শেষ মুহূর্তের ব্যাগ গোছাতে-গোছাতে বিশ্বাস হল সত্যিই যাচ্ছি তাহলে! বাবা ইয়াগা, খুদে ইভান আর জাদুকরী ভাসিলিসার দেশে! মুরগির এক ঠ্যাং-এর ওপর ভর করে, আমার দিকে মুখ করে দাঁড়াল এক বিশাল ফুটবল। তারপর ঘুরতে লাগল বনবন করে। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে সরাসরি।

‘হপম্যানের রাজ করা দীর্ঘ সময়ে অস্ট্রেলিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সমাবেশ দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে৷ ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন এই যে ঘটা করে ‘হল অফ ফেম’ দেয়, এঁরা তো সমবেতভাবে ‘হল অফ ফেম ভবন’! লিউ হোড৷ রয় এমার্সন৷ রড লেভার৷ ফ্রেড স্টোলে৷ ম্যাল আন্ডারসন৷ টনি রোচ৷ জন নিউকোম্ব৷ নিল ফ্রেজার৷ কেন রোজওয়াল৷ মুম্বই ক্রিকেট টিমের রঞ্জি আধিপত্যের মতো একচেটিয়া ছিল সার্কিটে অস্ট্রেলিয়ার প্রাধান্য৷’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.