নিবন্ধ

বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়

রামকিঙ্করবাবুর কথা

‘রামকিঙ্করবাবু কলাভবনে কিছুদিন কাজ করার পরে যখন এখানেই মডেলিং শেখাতে লাগলেন তখন আমিও এখানে কাজ শুরু করেছি। সেই সময় ছুটি-টুটিতে আমরা এখানেই থাকতাম, উনিও থাকতেন, কাজেই দেখাসাক্ষাৎ প্রায়ই হত। কাজের অ্যাসোসিয়েশনটা আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ করে দিয়েছিল।’ শিল্পীর কথা।

অনুষা বিশ্বনাথন (Anusha Vishwanathan)

বিন্দাসিনী: পর্ব ৭

এই দেশে বোর্ড-পরীক্ষার ফলই পরবর্তীর জীবন আর চাকরি নির্ধারক অথচ এ বছরের পরীক্ষার্থীরা এক নিরালম্ব অবস্থায়। তাদের ১২ বছরের তপস্যায় নির্দিষ্ট ইতি পড়ল না। পরীক্ষা বাতিল মানে ভবিষ্যৎ বাতিল?

সুজান মুখার্জি

গানে ভুবন উড়িয়ে দেব

‘কলকাতায় ‘ইনডিপেন্ডেন্ট’ শিল্পী হিসাবে রোজগার অতি সামান্য। পুঁজির ওপর নির্ভর করার সুযোগ-সুবিধা যাদের নেই, তাদের জন্য কি আদৌ কোনও রাস্তা আছে? হোয়েল চেষ্টা করছে একটা নতুন পথ, নতুন পন্থা খুঁজে বের করার।’ নতুন ব্যান্ড, নতুন সংস্কৃতি।

কে জি সুব্রহ্মণ্যন

রামকিঙ্কর ও তাঁর শিল্পকাজ

‘তাঁর অবদান ছিল প্রচুর কিন্তু তিনি তা কোনওদিনই প্রচার করেননি চারদিকে। তিনি তাঁর কাজে একনিষ্ঠ ছিলেন কিন্তু উদাসীন দার্শনিকের মতো গ্রহণ করতেন তার ফল। অর্থ, মান ও যশের প্রতিধ্বনিময়তার ভিতরে তিনি ছিলেন একক, অসংসারী আর খেয়ালি।’ রামকিঙ্করের সামগ্রিক মূল্যায়ন।

ঋষি বড়ুয়া

রবীন্দ্রনাথ ও রামকিঙ্কর

‘একদিন ওই মূর্তিটা চোখে পড়াতে, নন্দলালের কাছে জানতে পারলেন যে ওটা কিঙ্করের করা। পরের দিন তলব হল— গুরুদেব ডেকেছেন। বকুনি খাওয়ার আশঙ্কায় ভয়ে-ভয়ে হাজির হলেন। বকুনি দূরের কথা— আদেশ দিলেন, আশ্রম ভরিয়ে দিতে হবে ওই রকম বড়-বড় মূর্তি দিয়ে!’ রবীন্দ্রনাথ-রামকিঙ্কর প্রসঙ্গ।

সৌরভ রায়চৌধুরী

কাঁচা মাটির গন্ধ

‘আমরা তখন অ্যান্ড্রুজ পল্লীর বাড়িতে প্রথম এসেছি। কিঙ্করদা আমাদের ঠিকানা জানেন না, উনি একটা রিকশা চড়ে প্রতিটি বাড়ির সামনে হাঁক দিচ্ছেন: ‘শর্বরী, শর্বরী!’… আরও একবার ভরদুপুরে একটা এঁচোড় নিয়ে হাজির, সঙ্গে ছিলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়।’ স্মৃতিতে রামকিঙ্কর।

শৌভ চট্টোপাধ্যায়

কোভিড ও কাফকা: একটি ব্যক্তিগত দুঃস্বপ্নচারণ

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যেমন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বহর, তেমনি দেখিয়েছে মানুষের মনুষ্যত্ব ও সহমর্মিতা শেষ হয়নি এখনও। ডেটলাইন কোভিড: দিল্লি

মালবিকা ব্যানার্জি (Malavika Banerjee)

আশা আর পুনর্জন্ম

‘গত বছর আমফান ঠিক এই সময়ে কলকাতাকেই উপড়ে ফেলেছিল, গুঁড়ি সমেত গাছ, বাড়ি থেকে জানলা উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল, আর নানাবিধ গুমটি আর বড় বড় হোর্ডিংকে দুমড়ে-মুচড়ে এমন ছুড়ে দিয়েছিল, যা প্রায় প্রাণঘাতী এক একটি ছোট মিসাইলে পরিণত হয়েছিল।’ ঝড়ের স্মৃতি।

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

কানাগলির অতিমারী

‘ইংল্যান্ড আজ ‘স্টেপ থ্রি’তে প্রবেশ করছে। আজ থেকে দুই পরিবারের মানুষ ঘরোয়া আড্ডায় মিশতে পারবে, আউটডোরে পারবে জনা তিরিশেক লোক। আজ থেকে রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া চলবে, জিম চলবে, জাদুঘর আর সিনেমা খুলে দেওয়া হবে।’ অতিমারীর লন্ডন।

সুকন্যা দাশ (Sukanya Das)

এক জাদুঘরের টানা-পড়েন

এখানকার কর্মীরা মনে করেন শিল্পকর্ম ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে তাঁরা দেশের কাজই করছেন। মিউজিয়াম অধিকর্তা অশোক মেহতা স্পষ্ট বলেই দিলেন, ‘আমার উদ্দেশ্য ছিল একটাই। সংরক্ষণ, সংরক্ষণ, সংরক্ষণ। এই হবে আমাদের মূলমন্ত্র।’ ক্যালিকো আর সংরক্ষণ।

বিক্রম আয়েঙ্গার (Vikram Iyengar)

নতুন জঞ্জাল

‘নাটকের প্রাণবন্ত সংস্কৃতিটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, এমন পেশাদারি বা পরীক্ষামূলক থিয়েটার আহমেদাবাদে হচ্ছিল না। এ ছাড়াও রাজনৈতিক বা প্রতিষ্ঠানবিরোধী নাটক করার জন্য যে সুরক্ষাটা দরকার, সেটাও ছিল অত্যন্ত সীমিত। এই অভাবগুলো দূর করার প্রচেষ্টাই করে স্ক্র্যাপইয়ার্ড।’ নতুন থিয়েটারের গল্প।

সৈকত ভট্টাচার্য

প্রবাসে কোভিডের বশে

‘প্রতিবেশী রাজ্য থেকে ‘মিউচুয়াল ইন্ডাকশন’-এর নীতি মেনেই কর্নাটকে বাড়তে থাকল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসল। জারি হল আংশিক কার্ফিউ। পথে কমল গাড়ির সংখ্যা। বেড়ে গেল অ্যাম্বুলেন্সের তীক্ষ্ণ সাইরেনের আর্তনাদ।’ প্রবাসে কোভিড।