

কোভিড ও কাফকা: একটি ব্যক্তিগত দুঃস্বপ্নচারণ
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যেমন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বহর, তেমনি দেখিয়েছে মানুষের মনুষ্যত্ব ও সহমর্মিতা শেষ হয়নি এখনও। ডেটলাইন কোভিড: দিল্লি
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যেমন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বহর, তেমনি দেখিয়েছে মানুষের মনুষ্যত্ব ও সহমর্মিতা শেষ হয়নি এখনও। ডেটলাইন কোভিড: দিল্লি
‘গত বছর আমফান ঠিক এই সময়ে কলকাতাকেই উপড়ে ফেলেছিল, গুঁড়ি সমেত গাছ, বাড়ি থেকে জানলা উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল, আর নানাবিধ গুমটি আর বড় বড় হোর্ডিংকে দুমড়ে-মুচড়ে এমন ছুড়ে দিয়েছিল, যা প্রায় প্রাণঘাতী এক একটি ছোট মিসাইলে পরিণত হয়েছিল।’ ঝড়ের স্মৃতি।
‘ইংল্যান্ড আজ ‘স্টেপ থ্রি’তে প্রবেশ করছে। আজ থেকে দুই পরিবারের মানুষ ঘরোয়া আড্ডায় মিশতে পারবে, আউটডোরে পারবে জনা তিরিশেক লোক। আজ থেকে রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া চলবে, জিম চলবে, জাদুঘর আর সিনেমা খুলে দেওয়া হবে।’ অতিমারীর লন্ডন।
এখানকার কর্মীরা মনে করেন শিল্পকর্ম ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে তাঁরা দেশের কাজই করছেন। মিউজিয়াম অধিকর্তা অশোক মেহতা স্পষ্ট বলেই দিলেন, ‘আমার উদ্দেশ্য ছিল একটাই। সংরক্ষণ, সংরক্ষণ, সংরক্ষণ। এই হবে আমাদের মূলমন্ত্র।’ ক্যালিকো আর সংরক্ষণ।
‘নাটকের প্রাণবন্ত সংস্কৃতিটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, এমন পেশাদারি বা পরীক্ষামূলক থিয়েটার আহমেদাবাদে হচ্ছিল না। এ ছাড়াও রাজনৈতিক বা প্রতিষ্ঠানবিরোধী নাটক করার জন্য যে সুরক্ষাটা দরকার, সেটাও ছিল অত্যন্ত সীমিত। এই অভাবগুলো দূর করার প্রচেষ্টাই করে স্ক্র্যাপইয়ার্ড।’ নতুন থিয়েটারের গল্প।
‘প্রতিবেশী রাজ্য থেকে ‘মিউচুয়াল ইন্ডাকশন’-এর নীতি মেনেই কর্নাটকে বাড়তে থাকল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসল। জারি হল আংশিক কার্ফিউ। পথে কমল গাড়ির সংখ্যা। বেড়ে গেল অ্যাম্বুলেন্সের তীক্ষ্ণ সাইরেনের আর্তনাদ।’ প্রবাসে কোভিড।
‘লেকচারের দিন প্ল্যানমাফিক গৌতমের কাছ থেকে সিনেমার রিলগুলো তুলে, শঙ্খদার বাড়িতে পৌঁছে ট্যাক্সিকে পাঁচ মিনিট দাঁড়াতে বলে শঙ্খদার কাছে গেলাম। পাঁচ মিনিট বোধহয় পনেরো মিনিট হয়েছিল। দুজনে গলির মুখে ফিরে এসে দেখি ট্যাক্সি গায়েব, ‘ব্যাটলশিপ পোটেমকিন’ সমেত।’ স্মৃতিচারণ।
‘ছাত্র-আন্দোলন মগজে জল প্রদান করে, মননকে আরও দৃঢ় করে। কেউ যদি এই সাহস গুলিয়ে দিতে আসে, গণতান্ত্রিক দেশে স্বাধীন মত প্রকাশে হস্তক্ষেপ করে, তখন মনে রাখতে হবে এই বাংলা বাঁশের কেল্লার তিতুমীরের, এই ভারতবর্ষ সফদার হাশমির নাটকের।’ ছাত্রদের প্রতিবাদ।
দুটো সিনেমাই আসলে প্রতিবাদের ছবি। ‘অঙ্কুর’ প্রেমের ছবি হলেও একপক্ষ কীভাবে প্রেমের সহ-জ প্রতিজ্ঞার ভার বইতে পারল না, তাই নিয়ে গল্প। অন্যদিকে, ‘আক্রোশ’ রচনা করে এমন এক টুঁটি-মোচড়ানো পরিবেশ, যেখানে সকলেই নিশ্চিত, অন্যায় প্রতিকারহীন।
‘এদেশে ‘প্রতিবাদ’ শব্দটার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে সামাজিক, ধর্মীয় প্রথা; এখনও নিরক্ষর জনজাতি-আদিবাসী-দলিত-নিম্নবর্গের মানুষের জীবনকাহিনির একমাত্র সম্ভার রয়েছে লোকগীতির মধ্যে।’ গণসঙ্গীতে প্রতিবাদ।
‘কতটা অমানুষ হলে হিংসা আর নৃশংসতাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেকথা ভেবেই কেঁপে উঠেছিল বহু নারীর অন্তরাত্মা। সেইসব মেয়েদের মধ্যে ১২ জন সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।’ নারীর প্রতিবাদ।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় থেকে শ্রীজাত। বাংলা কবিতার এই দীর্ঘ সময়পর্বে, অনেক কবির কবিতাতেই ধরা পড়েছে প্রতিবাদী চেতনার স্বর। প্রেমের কবিতার উল্টোদিকে, শ্লেষে-ব্যঙ্গে ধারালো এইসব তির্যক কবিতায় পাঠক পেয়েছেন কবির ক্রোধ ও সমবেদনা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.