নিবন্ধ

অদিতি মুখোপাধ্যায়

ঠাকুমাই ছিলেন সুপারস্টার

গোটা দেশের মানুষের কাছে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের কথা এত শুনেছি যে তিনি আমার মনে জ্বলজ্বল করছেন। তবে দাদুর চেয়ে আমার ঠাকুমা বাসন্তী দেবী ছিলেন আমাদের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী। আমি ঠাকুমার সঙ্গে হরিপুরা কংগ্রেস, ত্রিপুরী কংগ্রেস অধিবেশনে গিয়েছি। আন্দোলনের স্মৃতি।

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

ব্লাউজ দিয়ে জাতীয় পতাকা

‘সকালে উঠে দেখলাম চারিদিকে কাগজের পতাকা পতপত করে উড়ছে। তিনকোনা পতাকা। রাস্তার ওপরদিকে তাকালে আকাশ দেখা যাচ্ছে না। তখন তো এত মাইকের চল ছিল না! আশেপাশে অনেক ক্লাবের ব্যান্ড বাজতে শুরু করেছিল।’ স্বাধীন সকাল।

চিত্রা সেন

সেদিন মুসলমান পাড়ায় গিয়েছিলাম

‘আমরা প্রত্যেকে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে হাতের কড়ে আঙুলে সেফটিপিন ফুটিয়ে এক ফোঁটা রক্ত বের করে, সেই রক্ত দিয়ে গান্ধীজির ছবিতে টিপ পরাতাম। মনে হত সক্রিয়ভাবে না হলেও, আমিও যেন তাঁদের আন্দোলনের শরিক হতে পারলাম।’ আত্মত্যাগের দেশপ্রেম।

মালবিকা ব্যানার্জি (Malavika Banerjee)

সেরা সময়টা আসছে

ক্ষণজন্মা তিনি। ১৯৪৭-এর মধ্যরাতের শিশুও বলা যেতে পারে। বুদ্ধিতে তীক্ষ্ণ, রূপে স্নিগ্ধ, গ্ল্যামারে অনন্য। জীবনের ৭৫ বছরে সঞ্চয় করেছেন আশ্চর্য সব অভিজ্ঞতা। আশা রাখেন তরুণদের প্রতি যারা আনবে ভারতের সেরা সময়।

ডাকবাংলা.কম

স্বাধীনতা দিবসের স্মৃতি

তাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স আজ আশি পেরিয়ে নব্বইয়ের দিকে। পঁচাত্তর বছর আগে, ১৯৪৭ সালে, ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী তাঁরা। কীভাবে কেটেছিল সেই দিন? এত বছর পরে এসে স্মৃতিচারণ করলেন অমল চক্রবর্তী, সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনন্ত মহাপাত্র।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

তখন প্রবাসে রবীন্দ্রনাথ: পর্ব ৪

‘রবীন্দ্রনাথ দু’একবার কেশে গান শুরুর উদ্যোগ নিলেন। তারপর গান ধরলেন। সে যেন কিছু কথা আর সুরের সমষ্টি গলার ভিতর থেকে কোনওরকমে বের করা। হেসে গড়িয়ে পড়লেন সবাই। সেই হাসির আবার কী বিচিত্র প্রকাশ!’ অস্বস্তির পরিবেশ।

পৃথ্বী বসু

নীল অপেক্ষার দিনে

‘অপেক্ষায় থাকি, হয়তো এসব কেটে গিয়ে একদিন আবার সুন্দর একটা চর্চার ক্ষেত্র ফিরে আসবে। ‘নীল অপেরা’র মতো একাধিক পত্রিকা আবার জন্ম নেবে গুমটি চায়ের দোকানের আড্ডা থেকে; যারা কবিতার জন্য সারা পৃথিবীটা তোলপাড় করার ক্ষমতা রাখে।’ লিট্‌ল ম্যাগাজিন ভাবনা।

মৈত্রীশ ঘটক

কথার পিঠে কথা

আড্ডা-আলোচনা-বিতর্ক-ঝগড়া এদের কোন ধরাবাঁধা আঙ্গিক নেই, খানিকটা অনানুষ্ঠানিক বা আটপৌরেভাবে হওয়াটাই চল। তাই একটা থেকে আরেকটায় খুব সহজেই চলে যাওয়া যায়। আর কিছু ক্ষেত্রে আপাতদৃষ্টিতে যা মনে হচ্ছে আর আসলে যা হচ্ছে সেদুটো আলাদা হতে পারে – আপনি ভাবছেন আড্ডা বা আলোচনা হচ্ছে কিন্তু তলায় তলায় বিতর্কের একটা চোরাস্রোত বইছে এটা হতেই পারে।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

প্রিয় ডাম্বলডোরকে, ইতি- এক অপদার্থ

এ ইতিহাসের মৃত্যু, শিক্ষার মৃত্যু, স্পষ্টতার মৃত্যু ও সর্বোপরি, স্পর্ধার মৃত্যু। যে স্পর্ধা ছাত্রদের জন্য নিজে বুক পেতে ব্যারিকেড গড়ায় ছিল, যখন দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়েছিল। যে স্পর্ধা অতি কঠিন পৃথিবীতে বন্ধুত্বের দুঃসাহস দেখাত, ছাত্রদের ভালবেসে ‘অপদার্থ’ বলে সম্বোধন করত।

পৃথু হালদার

দেরিদা আর ভূতেরা

দেরিদার প্রেত-বিষয়ক ভাবনা, আর চলচ্চিত্রে তাঁর উপস্থিতি— এ দুটি তাঁর জীবনে প্রায় হাত-ধরাধরি করে চলে। দেরিদার বিভিন্ন সময়ে প্রেত-সম্পর্কিত কিছু লেখা আছে, তবে তার মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ধারণা হল Hauntology। ইংরেজি শব্দটা পড়ে অনেকেই নিশ্চয়ই লুকিয়ে থাকা শব্দ দুটোকে চিনে গেছেন। কীভাবে এই খটোমটো শব্দ এসে দেরিদার অভিধানে জুটল?

একরাম আলি

পিঞ্জরে বসিয়া

‘এক-এক করে এরকম আট/দশটি প্রমাণ মাপের কক্ষ দেখে এবং গৃহকর্ত্রীর টানা হা-হুতাশ শুনে একটা ঘরে আমরা থিতু হই। তাঁর হা-হুতাশ— এত-এত বই কী যে অযত্নে পড়ে আছে! আর আমার কৌতূহল— নীচের কোনও বই দরকার পড়লে টেনে বের করেন কী করে!’ ব্যক্তিগত স্মৃতি।

সন্দীপ রায় (Sandip Roy)

বাঙালি হারলেম

হারলেম আফ্রিকান-আমেরিকান পাড়া বলে জগত-খ্যাত হলেও, আরো বহু দেশ ও জাতির লোক সেখানে ঠাঁই পেতেন। আফ্রিকা, ক্যারিবিয়ান, চিন, ল্যাটিন আমেরিকা— পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে লোক হারলেমে থাকতেন। অবিভক্ত ভারত থেকেও অনেক অভিবাসী ছিলেন। তাই নিউ ইয়র্কের সবচেয়ে পুরোনো ভারতীয় রেস্টুরেন্টের মধ্যে বেশ কিছু ছিল হারলেমে। তাদের মধ্যে একটা আলাউদ্দিনের বাবার। নাম দিয়েছিলেন ‘বেঙ্গল গার্ডেন’। বাঙালির বৈচিত্রময় অভিবাসনের কাহিনি।