নিবন্ধ

Representative Image
সৃজন দে সরকার

সুপাঠ্য ‘বিস্কুট’

“বিদেশি বা তথাকথিত বিধর্মী কারিগরের হাতে নির্মিত বিস্কুটকে দেশীয় হিন্দুদের কাছে নিয়ে আসার চেষ্টায় ১৮৯৮-তে দিল্লিতে লালা রাধামোহন খুললেন ‘হিন্দু বিস্কুট কোম্পানি’। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ধর্মের আবেগকে কাজে লাগান হচ্ছে বিস্কুট নির্মাণের ক্ষেত্রেও।”

Arun Mitra
তথাগত

অরুণ মিত্রের মহাজগৎ

‘অরুণ মিত্র পার্টি-অনুশাসন মেনে কবিতা লেখার নিদানকে মানতে পারেননি। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের বামপন্থী কবিগোষ্ঠীর একজন ছিলেন তিনি। পরে ধীরে-ধীরে নিজেকে একান্ত জগতে গুটিয়ে নেন। যদিও বামপন্থীদের সঙ্গে মনোমালিন্যের কোনও ইতিহাস নেই।’

Representative Image
যশোধরা গুপ্ত

অপু-কাহিনি ও মৃত্যুপথ

‘অপু-কাহিনি বলতে-বলতে যার যেখানে প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়, বিভূতিভূষণ তাকে সরিয়ে নেন। একে-একে সকলেই অপুকে ছেড়ে যাবে, পথের দেবতা তাকে ঘর ছেড়ে পথেরই ডাক দিয়েছেন। ফলে ঘরের দিক থেকে যারা তাকে টানে বা টেনে রাখতে পারে, বিভূতিভূষণ তাদেরকে নিয়ে নেন।’

ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী

ছবিঘর : পর্ব ১

‘বিলি ওয়াইল্ডার একজন মাস্টার গল্প-বলিয়ে। এই গোটা ছবি জুড়ে প্রায় ব্যাকরণ বইয়ের উদাহরণের মতো গল্প বলার প্রাথমিক টেকনিকগুলির প্রদর্শনী তৈরি করে গেছেন তিনি। চাইলে খুব সহজেই একজন শিক্ষানবিশ তাঁর কাছ থকে এগুলি ধার করতে পারেন।’

Uma Siddhanta and her Sculptures
মন্দার মুখোপাধ্যায়

আমার উমাদি

‘তাঁর কাজের প্রদর্শনী দেখে অভিভূত হয়ে যান রামকিঙ্কর; সরকারি উদ্যোগে রাস্তার ওপর রাখাও হয় তাঁর একটি কাজ। আবার মেট্রো স্টেশন তৈরির সময়ে সরকারি উদ্যোগেই সরিয়েও দেওয়া হয় সেই কাজটি। তখনও কোনও সোচ্চার প্রতিবাদ বা লবিবাজি করেননি তিনি।’

সুকান্ত চৌধুরী

প্রসঙ্গ : সুকুমার রায়

সুকুমার রায় কি শুধুই আগডুম-বাগডুম লিখেছেন সারাজীবন? তাঁর লেখার এক-একটা চরিত্র আসলে কতটা বাস্তব? কোনও বৃহত্তর দর্শনের আভাস কি তাঁর লেখার ভেতর থেকে উঠে আসে? সুকুমার রায়ের লেখার জগৎ নিয়ে অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী জানালেন তাঁর ভাবনার কথা।

Representative Image
সন্মাত্রানন্দ

অন্তঃসলিলা নিবেদিতা

‘তাঁর কাজকর্মের কথা তবুও কিছুটা মনে রেখেছি আমরা, যেহেতু সেসব কাজের ফল আমাদের স্বার্থপুষ্ট কাজে কর্মে লাগে, যেহেতু সেগুলোর সুফল আজও আমরা ব্যবহার করি। কিন্তু তাঁর চিন্তা? তাঁর মননের দান? তাঁর অনন্যসাধারণ গ্রন্থগুলি? সেগুলো কি আমাদের মনোযোগ পেয়েছে সেভাবে আজও?’

Book Cover
প্রিয়ক মিত্র

ভোগকাহন

‘বইটির প্রচ্ছদে (শিল্পী: সেঁজুতি বন্দ্যোপাধ্যায়) ভারতের একটি মানচিত্রর মধ্যে একটি ভোগের হাঁড়ি দৃশ্যমান। অর্থাৎ, ভারতজুড়ে ভোগের একটি স্বতন্ত্র মানচিত্র খুঁজে বের করার একটা প্রয়াস এই বইয়ের মধ্যে রয়েছে, তার আভাস প্রচ্ছদপট থেকেই স্পষ্ট। সূচি-তে কয়েকটি ভাগ রয়েছে, ফলমিষ্টির ভোগ, ভোগরাগ, লোকদেবতার ভোগ, কুটোভোগ, সেবাভোগ ও রান্নাবান্না। প্রতিটি বিভাগই নানাবিধ বিস্ময়ে ভরা।’

Tarun Kumar
রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়

চির-তরুণ

‘নায়কের বন্ধুর চরিত্র তো চিরকালই বাংলা ছবিতে আছে, সময়ানুযায়ী কেবল বদলে গিয়েছে তার ধরন। কিন্তু তরুণকুমার যখন নায়কের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেন, তখন তা জীবনের অনেকটা কাছাকাছি চলে আসে।’

আশিস পাঠক

মঞ্চের বাইরে

‘তৃপ্তি মিত্রর নাটক, প্রবন্ধ, ছোটগল্পগুলি নানা বইয়ে ছড়িয়ে ছিল। এবার দু’মলাটে ধরা রইল। ছোটগল্প আর নাটক ছাড়া নানা বিষয়ে নিবন্ধও লিখেছিলেন তৃপ্তি মিত্র। সেসবে কখনও স্মৃতি, কখনও সাম্প্রতিকের সত্তা, কখনও বা ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ।’

অরিন্দম নন্দী

পীযূষ পান্ডে নট আউট

“একবার বলেছিলেন, ‘আমি সবসময়ে যে কোনও বিজ্ঞাপনের চিন্তা মাথায় এলে প্রথমেই সেটা শোনাই আমার বাড়ির কাজের আর রান্নার লোককে। তাঁদের ভাল লাগলে, অনুমোদন পেলে, তবেই সেটা নিয়ে এগনোর কথা ভাবি।’”

অরুন্ধতী দাশ

অন্তরালের সুখলতা

‘তিনি লিখছেন, অন্যায়ের মোকাবিলা করে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা দেখাতে গিয়ে, মন্দের ওপরে ভালর জয় দেখাতে গিয়ে অনেক সময়েই ছোটদের গল্পে খল চরিত্রগুলোর শেষ পরিণতি বেশ ভয়াবহ করেই দেখানো হয়। তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করাতে গিয়ে নরম মনের ওপরে যে কড়া ক্ষত তৈরি হতে পারে, সে-কথাটাও ভেবে দেখে প্রয়োজন।’