

আজি ঝড়ের রাতে
‘সদ্যস্বাধীন দেশের প্রাকৃতিক সম্পদভাণ্ডার, আর সেই সম্পদকে ব্যবহার করার যে বিপুল জ্ঞান ও অভ্যস্ততা এই দেশের লোকসাধারণের ছিল— সেই দুই সম্পদকে অবহেলা করে শুরু হল আমদানি করা এক অলীক ‘উন্নয়ন’ যাত্রা।’ পরিবেশ বনাম উন্নয়ন।
‘সদ্যস্বাধীন দেশের প্রাকৃতিক সম্পদভাণ্ডার, আর সেই সম্পদকে ব্যবহার করার যে বিপুল জ্ঞান ও অভ্যস্ততা এই দেশের লোকসাধারণের ছিল— সেই দুই সম্পদকে অবহেলা করে শুরু হল আমদানি করা এক অলীক ‘উন্নয়ন’ যাত্রা।’ পরিবেশ বনাম উন্নয়ন।
‘বোকামি আর চালাকির টানা-পড়েনের ফলে নাসিরুদ্দিনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক অদ্ভুত ধোঁয়াশা যা পশ্চিমি দুনিয়ার পাঞ্চ-লাইন প্রিয় মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। নাসিরুদ্দিনের আপাতসারল্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক অভিনব প্রতিবাদী সত্তা।’ প্রতিবাদী চরিত্রের গল্প।
‘প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলার মাইকেল হোল্ডিং ক্যামেরার সামনেই ভেঙে পড়েছিলেন, কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যেও যে-বর্ণবৈষম্য চলে, তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে। ওই মুহূর্তটা বুঝিয়ে দিয়েছিল, কেন খেলার জগতের কিংবদন্তিরা প্রতিবাদ করাটাকে জরুরি মনে করেন।’ খেলার মাঠে প্রতিবাদ।
‘আমার সঙ্গে সিদ্ধার্থ বসুর প্রথম দেখা হয় ‘কুইজ টাইম’ শুরু হওয়ার তিন বছর পর। প্রথম দেখায় আমার বলা প্রথম বাক্যটা আমার মনে নেই, কিন্তু দ্বিতীয় বাক্যটা স্পষ্ট মনে আছে: ‘আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই।’’ কুইজ তারকার গল্প।
‘‘শান্তিনিকেতন’ জায়গাটার নামটাই কিন্তু একটা বাড়ি থেকে। বানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ। আমার মতে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের যতগুলো বাড়িঘর রয়েছে, ‘শান্তিনিকেতন গৃহ’ তাদের সেরা।’ শান্তিনিকেতনের বাড়ির কথা।
‘ছেলেদের যদি সপ্তাহে দুটো ম্যাচ হয় সে-ই অনেক। মেয়েদের দিনে ত্রিশটা ম্যাচ, তার মধ্যে আঠাশ জন প্রিডেটর, তাদের ফেলে বাকি দুজনকে ছেঁকে তোলা, এসব অনেক খাটনি, গোস্টিং ছাড়া ম্যানেজ করা যায় না।’ ডেটিং অ্যাপে সম্পর্ক তৈরির চড়াই-উতরাই।
‘আদালতের সমালোচনা জিনিসটা আবার অধার্মিকতা বা ব্লাসফেমির সমতুল্য, কারণ আদালত এবং আধুনিক বিচারব্যবস্থার সৃষ্টি আসলে আব্রাহামিক ধর্মের আখরে— সেখানে ঈশ্বর নরকযন্ত্রণার ভয় দেখিয়ে মানুষকে সৎ পথে চলতে বাধ্য করেন।’ ন্যায়ের সাত-সতেরো।
‘মার্ক্সিস্ট হিসাবে ওঁর মনে হত, প্রদর্শশালার পদ্ধতি ওঁর আদর্শের বিরোধী, এবং এসব থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। একই সঙ্গে, এই সিদ্ধান্ত ওঁকে পেশাদার সমালোচক বা আর্ট মার্কেটের পরোয়া না করে সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠার স্বাধীনতা দিয়েছিল।’ সাক্ষাৎকারে শিল্পীর মূল্যায়ন।
‘১৯৪৩-এ তিনি যখন মন্বন্তরের ছবি আঁকতে ব্যস্ত সে-সময়ে কলকাতায় সুভো ঠাকুরের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ক্যালকাটা গ্রুপ’। শিল্পী-সদস্যরা একত্রিত ভাবে এক ছাদের তলায় আসার কথা ভেবেছিলেন এমন একটা সময়ে, যখন বাংলা অন্নাভাবে কাতর।’ শিল্পে সময়ের ছাপ।
‘ছাপা ছবি দেখে সোমনাথদার মুখটা লাল হয়ে গেল। আমাকে বসতে বলে চা আনালেন। একটা কথাও বললেন না। তাঁর চোখে-মুখে ভয়ঙ্কর একটা অস্থিরতা। আমার একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। এক সময় বললেন, আমি ইচ্ছে করেই ছবির মাথায় ফাঁকা জায়গাটা ছেড়েছিলাম।’ স্মৃতিচারণা।
‘আমার রিয়েলাইজেশন হচ্ছে, যেহেতু সোমনাথদা স্কাল্পটার নন, ওঁর দুটো-তিনটে কাজ দেখলে জার্কিং মনে হয় ঠিকই, কিন্তু কুড়িটা কাজ একসঙ্গে দেখলে রিপিটেশন লাগে। আর উনি তো সাবজেক্টের বাইরেও যাননি। শুরু থেকে সেই জীবনের কথাই বলে গেছেন।’ ভাস্কর্যের মূল্যায়ন।
‘ছাত্ররা সব সময়েই জানত সোমনাথদা পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ এচিং-এর হুইলটা টানতে পারছে না, উনি পিছন থেকে ধরে টেনে দিতেন। আমার মনে হয়, শিক্ষক হিসাবে সোমনাথদার মতো এত প্রভাব আর কেউ ফেলে যেতে পারেনি।’ আদর্শ শিক্ষকের কথা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.