প্রবন্ধ

প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

গণতন্ত্রে ধনতন্ত্র শেষ?

‘যে-নিলাজ ধনতন্ত্রকে অর্থনীতিবিদ মিলটন ফ্রিডম্যান পূজ্যবেদিতে বসিয়েছিলেন, যে-ধনতন্ত্রকে রোনাল্ড রেগন আর মার্গারেট থ্যাচার গোটা পৃথিবীর বুকে একটা জগদ্দল পাথরের মতন চাপাতে চেয়েছিলেন, তার দিন গেছে। ২০০৮-এর বিশ্বজোড়া আর্থিক বিপর্যয়ের সময়েই ওহেন ধনতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা বেজেছিল।’ ধনতন্ত্রের বিপর্যয়।

শ্রীজাত

আলোকিত ছায়াপথের শেষে

‘যিশুখ্রিস্ট সাহেবদের দেবতা, সেই খোদ সাহেবদের দেশেও এমন বাঁধনহারা উদযাপন হয় না বড়দিনে। হ্যাঁ, মানুষজন ঘরবাড়ি সাজায়, নতুন কেনাকাটা করে, বাড়িতে-বাড়িতে ভোজ বসে ঠিকই। কিন্তু এই যে শহরের রাজপথে লাখো মানুষের ভিড় বইয়ে দেবার পাগলামি, সে এমনকী তাঁদের ফর্সা দেশেও নেই।’ বাঙালির যিশুপ্রীতি।

সুদেষ্ণা রায়

আমার ছোটদিনের বড়দিন

‘দুর্গা পুজোর ঢাক ও জাঁকজমক যেমন পছন্দ ছিল, ক্রিসমাস ইভের নৈঃশব্দ্যের মধ্যে গান ততটাই টানত। ধীরে-ধীরে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায় চলে যেতে থাকে দেশ ছেড়ে। আমার টিনেজের বন্ধু— জেনিংস, লোবো, সোয়ারেস পরিবার-সহ হয়ে গেল দেশছাড়া। আমি আর ক্যারল গাই না। বাড়ি-বাড়ি আর আজকাল কেউ ক্যারল গাইতে আসে না।’ হারিয়ে ফেলা ক্রিসমাস।

একান্ত সিংহ (Ekannt Singh)

ক্রিসমাস ক্যারলের অসাধারণ ঐতিহ্য

‘ভাবছেন বোধহয়, আপনার সবচেয়ে প্রিয় ‘জিঙ্গল বেল্‌স’ (Jingle Bells) নিয়ে কোনও কথা এখনও বলা হল না কেন? এই অতিকথাটা এবার ভাঙার সময় হয়ে এসেছে। ‘জিঙ্গল বেল্‌স’ ক্রিসমাস ক্যারল নয়, যদিও ক্রিসমাস উপলক্ষে গাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে এটা হামেশাই গাওয়া হয়ে থাকে।’ ক্যারল গানের ঐতিহ্য।

কবীর চট্টোপাধ্যায়

অপরাজিত সূর্য থেকে যিশু খ্রিস্ট

‘ক্রিসমাসের শেকড়ে যে এমন কত প্রাক্‌-খ্রিস্টীয় উপকথা লুকিয়ে আছে, তা বলতে গেলে রাত কাবার হয়ে যায়। ধর্মপ্রাণ হিন্দু ভারতীয়রা যে যিশুকে এমন আপন করে নিয়েছেন, তার একটি কারণ হয়তো কৃষ্ণের সাথে যিশুর এত মিল খুঁজে পাওয়া।’ ইতিহাসে ক্রিসমাস।

পৃথ্বী বসু

রেখো, মা, দাসেরে মনে

‘যেই দুজন শিশু চলে এল একটা চুম্বনদৃশ্যে, অমনি একলাফে ছবিটার অন্য এক অর্থ আমাদের মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকল। তাহলে কি দাস চুম্বনের সারল্যকে প্রত্যক্ষ করাতে চাইছেন? চুম্বনরত মানব-মানবীর মনের প্রতীক হয়ে যেন ওই দুজন শিশু উঠে এল হরেন দাসের ছবিতে।’ ছবির ব্যঞ্জনা।

অনির্বাণ ভট্টাচার্য

মন্দার – কিছু টুকরো কথা

সিনেমা এমনই এক অদ্ভুত শিল্পমাধ্যম, যেখানে একাধিক মন, মনন, মস্তিস্ক একটাই জিনিসকে গড়ে তুলতে চায়, এবং তা যখন জোড়া লেগে, সাজগোজ করে দর্শকের সামনে যায়, তখন কার কতটুকু মন, মননের কতটুকু অংশ যে সেখানে থাকে, তা আর পরিমাপ করা যায় না। ‘মন্দার’-এর উপলব্ধি।

প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

থ্রিলার লিখছে কেজিবি

ঠান্ডা যুদ্ধের প্রবলতম মুহূর্তটিতে আভাকুম জাহভ-এর গল্প হয়ে উঠেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন শাসিত গোটা ইস্টার্ন ব্লকের এক অন্যতম সাংস্কৃতিক হাতিয়ার। সোভিয়েত শাসকরা নিশ্চিত ভাবেই বুঝেছিলেন, সাংস্কৃতিক যুদ্ধে হেরে গেলে বিপদ আছে। সোভিয়েত গোয়েন্দাগল্পের পিছনে গোপন কারণ।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

নৈতিক চেতনা

‘আমরা যে-সময়ে বাস করি, সে-সময়ে চেতনা এবং নীতিবোধের মধ্যে একটা ফাটল দেখা যাচ্ছে। চেতনা হয়ে উঠেছে গুরুদের ব্যাপার, আর নীতিবোধ এসে পৌঁছেছে পুলিশ এবং অ্যাকটিভিস্টদের এক্তিয়ারে। এ হয়তো চেতনার বৃদ্ধি এবং প্রসারকে সামাজিক স্তর থেকে ব্যক্তিগত স্তরে নিয়ে আসারই ফল।’ সমাজ, ধর্ম এবং নীতিবোধ।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ১১

‘একদিন একটা পাকা বেল পড়ে ফেটে গেল তাঁর মাথা। ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন্তিত হয়ে আমরা উদ্ভাবন করলাম এক বিরল শিরস্ত্রাণের। ‘হেলমেট’-এর আদলে যার নামকরণ করা হল ‘বেলমেট’। প্রয়োজনের তুলনায় পাকা বেলের খোলসের অপ্রতুলতা আর উপযুক্ত প্রস্তুতকারক সংস্থার অভাবে সেই প্রকল্প ধামাচাপা পড়ে যায়।’ ছাত্রজীবনের মজাদার স্মৃতি।

ডাকবাংলা.কম

সাক্ষাৎকার: সূর্যশেখর গাঙ্গুলি

বিশ্বনাথন আনন্দ-এর সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে, ‘জ্ঞানচক্ষু খোলার মতো’। তিনি পর পর তিন বছর আনন্দ-এর ‘সেকেন্ড’দের দলেও ছিলেন। কেমন ছিল সেসব অভিজ্ঞতা? বিশ্বনাথন আনন্দ-এর ৫১তম জন্মদিনে তাঁর সম্পর্কে কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতি এবং অনুভবের কথা জানালেন আর এক গ্র্যান্ডমাস্টার সূর্যশেখর গাঙ্গুলি।

দেবাশিস বিশ্বাস

অভিযান কেবল অ্যাডভেঞ্চার নয়

‘পর্বতারোহণ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এক খেলা। বিপদের আশঙ্কা এখানে প্রতি পদে। সাফল্য আর ব্যর্থতার মাঝের ফাঁক এখানে খুবই সামান্য। খুবই তুচ্ছ কারণে কোনও অভিযান বাতিল করে ফিরে আসতে হতে পারে। তা সে গ্যাস স্টোভ বিগড়ে যাওয়া হোক কিংবা তাঁবুর কোনও পোল বা স্টিক ভেঙে যাওয়া।’ পর্বতারোহণের খুঁটিনাটি।