

মেডিসিনারি : পর্ব ৩
‘রোগীর ছেলে আমার হাতে একশো টাকার নোট গুঁজে দিয়ে বলল, ‘বহোত শুকরিয়া সাব।’ মনে আছে, খুব রেগে গিয়েছিলাম। ছেলেটিকে ধমক দিয়ে বলেছিলাম, ‘ডাক্তারি করার জন্য সরকার থেকে আমাকে মাইনে দেয়। তুমি টাকা দেওয়ার কে হে?’’
‘রোগীর ছেলে আমার হাতে একশো টাকার নোট গুঁজে দিয়ে বলল, ‘বহোত শুকরিয়া সাব।’ মনে আছে, খুব রেগে গিয়েছিলাম। ছেলেটিকে ধমক দিয়ে বলেছিলাম, ‘ডাক্তারি করার জন্য সরকার থেকে আমাকে মাইনে দেয়। তুমি টাকা দেওয়ার কে হে?’’
‘অ্যালার্ম বাজিয়ে রোবটের মতো পিচুটিভরা বন্ধ চোখে কোনরকমে নিজেকে সজীব করার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে দৌড়াতাম। সোমবার সংসদের অধিবেশন। অধিবেশন বসবে এগারোটায়। কিন্তু পৌঁছে যেতে হয় সকাল দশটায়।’
‘অদূরে গঙ্গায় তখন ভাসছিল পাকিস্তানি বিমানটির ছিন্ন একটি ডানা, অন্যান্য যন্ত্রাংশ, আর ভাসছিল গ্যাস সিলিন্ডারের মতো লাল কী একটা যেন, মোটরচালিত নৌকোয় এসে বারাকপুরের আমাদের সেনারা, আর গঙ্গার দু’পাড়ে মুহুর্মুহু করতালি দিচ্ছিলেন অগণন মানুষ।’
‘১৯৪৯-এ ন্যাশনাল বুক এজেন্সি লিমিটিডের পক্ষ থেকে সুরেন দত্ত ‘ভাঙার গান’-এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেন এক টাকা বিনিময় মূল্যে। তারপর ৭৫ বছরে ‘ভাঙার গান’ বইটি প্রকাশ পেল না। ২০২৫, ব্ল্যাকলেটার্স প্রকাশনা সংস্থা থেকে শতবার্ষিকী সংস্করণ প্রকাশ পেল।’
‘যাঁকে দিয়ে অভিনয় করাতে চাইতেন, তাঁর কথাবার্তার স্টাইল, ম্যানারিজম খুব মন দিয়ে, নীরবে লক্ষ করতেন। পরবর্তীতে বুঝেছি, সেজন্যই রোববারের আড্ডায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রথমে।’
‘আমায় সমরেশ জেঠু আরও ভেতরে নিয়ে গেলেন। অনেকগুলো সার-সার মেশিন বসানো। সেই মেশিনের পর্দায় রঙিন-রঙিন ছবি ফুটে উঠছে। রঙিন-রঙিন মানুষ সেই মেশিনের সামনে বসে একটা সুইচ টিপে চলেছে।’
‘অরুন্ধতী দেবীই সেই প্রথম মহিলা পরিচালক যিনি নিজের লিঙ্গ-অবস্থান বিষয়ে সচেতন হয়ে পরিচালনায় হাত দিয়েছিলেন। অরুন্ধতীর প্রত্যেকটি ছবি, তাদের প্রায় সবক’টি উপাদান নিয়ে একান্তভাবে একটি মেয়ের চোখ দিয়ে দেখা…’
‘সর্বভারতীয় নেতা, দিল্লি থেকে এসে একজন চিকিৎসককে দিয়ে আমাকে ফোন করালেন, পার্টি অফিসে গিয়ে তাঁকে দেখে আসার জন্যে। যেতে অস্বীকার করলাম, বললাম, চেম্বারে আসতে বলুন, দেখে দেব, এত রোগীকে বসিয়ে রেখে যাওয়া সম্ভব নয়।’
‘গ্যারি ভদ্রলোকের একটা নয়, দশটা পদক নষ্ট, তবু নো চড়াইপাখির কষ্ট! উনি বুঝেছেন, তাতে ইতিহাস ছাই হয় না, ওঁর নামের পাশে রেকর্ড বইয়ে জয়গুলোর কথা স্পষ্ট।’
‘জ্বলতে থাকা ক্যালিফোর্নিয়াকে দেখে পার্ভার্ট আনন্দ পেয়েছেন অনেকে। প্রকৃতির নিষ্ঠুর রসিকতার ফলে হলিউডের উচ্চবিত্ত প্রতাপ কীভাবে এক লহমায় সর্বস্বান্ত সাধারণ মানুষের অসহায়তায় পর্যবসিত হয়, তা দেখে অনেকে ভাবছেন— দ্যাখ, কেমন লাগে!’
‘হ্যারি বেলাফন্টের সেই জাদু-গান জামাইকা ফেয়ারওয়েল সমানে পাক খাচ্ছিল মাথার ভেতর। এই সেই কিংস্টন টাউন বব মার্লে, ব্লু মাউন্টেনস, কফি আর রামের দেশ জামাইকার রাজধানী কিংস্টন!’
‘ছুটির আয়েস আছে বলেই না ছুটি ফুরনোর দুঃখ আছে! কিন্তু আমার এখন অনন্ত ছুটি। আমি ছুটি থেকে আর কাজে ফিরে যাই না, বরং কাজ থেকেই ছুটিতে ফিরি।‘
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.