ভ্রমণ

শ্রীজাত

দূরপাল্লা: পর্ব ৪

ইউরোপের সালসবুর্গে ঘোরার ক্ষেত্রে একটা জায়গা বেছে নিতে হত— হয় সাউন্ড অফ মিউজিকের সফর নয়তো মোৎজার্টের বাড়ি। আমরা বেছেছিলাম দ্বিতীয়টা। তারপর গেলাম ইবেনসি বলে এক অজ পাড়াগাঁয়ে। ছবির মতো প্রকৃতি আর আতিথেয়তা ভরিয়ে দিয়েছিল আমাদের।

দূরপাল্লা: পর্ব ৩

২০১৭ সাল। দ্বিতীয়বারের জন্য লন্ডন যাওয়া। নেহাতই ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্য। প্রথমবার যা যা দেখা হয়নি, তার কিছু যদি দেখা যায়! ভাবতে-ভাবতেই প্রথম যা মাথায় এল, তা শেক্সপিয়রের বাড়ি! এই পর্বে রইল সেই অভিজ্ঞতার গল্প।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৪

‘…কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মাথার মধ্যে দিয়ে কত কী বয়ে গেল। কোনও ছোট স্টেশনে ঝড়ের মতো রাজধানী পেরিয়ে গেলে যেমন হয়। একটা ঝমঝমে আওয়াজ আর বেসামাল স্মৃতির পাতাগুলো কিছুক্ষণ উড়তে থাকে রেললাইনের ওপর। দপদপানো লাল আলোটা একসময় মিলিয়ে যায় মাইগ্রেনের মতো। ‘তুমি চললে কোথায়?’ জিজ্ঞেস করায় বলল, ‘খুঁজছি’।’ চেনা-অচেনা কবি।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৩

‘ভোরবেলা সাত তলায় যে-মেয়েটা এক্সারসাইজ করে, তার শুধুমাত্র হাতদুটো চোখে পড়ে। আমার একেবারে উল্টোদিকের জানলায় যারা থাকে, তাদেরই একমাত্র চিনি। ও-বাড়ির একজন মহিলা মাঝে মাঝেই জানলায় এসে এদিক-ওদিক কী সব খোঁজেন। অন্য ফ্ল্যাটগুলোয় যারা থাকে, চিনি না।’ প্রতিবেশীর গল্প।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ২

‘চললাম পেছন-পেছন, দূরত্ব রেখে। একটা গলিতে ঢুকে তৃতীয় বাড়ির দরজায় কড়া নেড়ে হাঁক পাড়ল, ‘এই যে’। দরজা খুলল। একটা বেড়াল বেরিয়ে দৌড় লাগাল একদিকে। এক মহিলা বেরিয়ে এসে আমাকে দেখতে পেয়ে একগাল হেসে বললেন, ‘আজ আপনাকে ধরেছে বুঝি?’’ অপরিচিতের পিছু ধাওয়া।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ১

‘চারখানা পরাজিত হাম্প এখন সামনের আর পিছনের চাকার মাঝখানে। এই অবধি দেখার পরেও দর্শক উদগ্রীব হয়ে রইল। এখনও তো পিছনের চাকা বাকি। নজর পড়ল জানলার ভেতরের ভাবলেশহীন যাত্রীদের দিকে।’ নতুন কলাম।

পৃথ্বী বসু

পায়ের তলায় মরচে

‘নবমীর দিন গাড়ি ছুটল ঝাড়গ্রামের দিকে। আর এই প্রথম অনুভব করলাম, বেড়াতে যাওয়ার জন্য মূলে যা লাগে, তা টাকা নয়— সাহস।… ভ্রমণ তো নয়, যেন হাল্লা চলেছে যুদ্ধে। ঢাল মাস্ক, সঙ্গে অস্ত্র স্যানিটাইজার।’ কোভিড-কালের ভ্রমণ।