
শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৫
‘আমার বাড়ি নামুক রুটি/ আমার পাতে পড়ুক স্যুপ/ আমার ছোট বাচ্চাদুটি/ সব বুঝেও থাকুক চুপ/ যুদ্ধ কত প্রয়োজনীয়/ না-ই বা ফেরে ক’জন লোক/ তাদের তুমি কবর দিও/ আমার গাছে আপেল হোক’ নতুন কবিতা।

‘আমার বাড়ি নামুক রুটি/ আমার পাতে পড়ুক স্যুপ/ আমার ছোট বাচ্চাদুটি/ সব বুঝেও থাকুক চুপ/ যুদ্ধ কত প্রয়োজনীয়/ না-ই বা ফেরে ক’জন লোক/ তাদের তুমি কবর দিও/ আমার গাছে আপেল হোক’ নতুন কবিতা।
‘ জিন যদি policy maker হয় তাহলে ব্রেন হল তার executive। এই ব্যাটা ব্রেন শুধু যদি কেরানি হত, শুধু execute করত তাহলে জিন-এর আজ এই দুর্গতি হত না। ব্রেন, পলিসি মেকিং-এও নাক গলাতে শুরু করে এমন ঝামেলা পাকাল, জিন গাইতে শুরু করল ‘এই করেছ ভালো, নিঠুর হে!’। জিন বলল, ভাই ব্রেন তুই যা ভাল বুঝিস তাই কর, দেখিস আমি যাতে না মরি। এদিকে ব্রেন সাংঘাতিক জিনিস। সে কাউকে বলল সমকামী হয়ে যা। সে সমকামী হয়ে গেল। জিন ওদিকে বলল, গেল! এই দেহটা পুরো জলে গেল রে! দেখি অন্যদিকে।’

‘পাইলট ঘোষণা করল, ‘প্লেন টার্বুলেন্সের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যাত্রীরা যেন এদিক-ওদিক যাতায়াত না করেন। সিটবেল্ট বেঁধে ফেলেন।’ খাবার না দেওয়া নিয়ে ডামাডোলে থ্রি এফ বিশেষ সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেননি। বললেন, ‘প্লেন ঝাঁকিয়ে, মিথ্যে ভয় দেখিয়ে আমাদের চুপ করিয়ে দিল। এভাবে আমাদের দাবায়ে রাখা যাবে না কো।’’ বাঙালির প্লেনযাত্রা।
‘২০২১-এর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে অযাচিত বৃষ্টি এ-ফসলের শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়ে চলে গেছিল; এ-বছরের অস্বাভাবিক গরম তা একেবারে থেঁতলে দিয়ে যায়। এ-সোনায় সোহাগা জ্বালানির চড়-চড় করে ওঠা দাম, যা লেবুর বাজারদরকে একেবারে আকাশছোঁয়া বানিয়ে দিয়েছে। ‘সর্বত্র সহজলভ্য লেবুর জল’ ব্যাপারটাই বোধহয় আর কিছুদিনের মধ্যে ‘কলকাতার হারিয়ে যাওয়া ফিরিওয়ালা’-র ক্যাটেগোরিতে পৌঁছে যাবে।’ লেবুর জলের দু-চার কথা।
এত কথার ভিড়ে আমাদের অস্বস্তি হয় না? একেবারে না! মনে হয় না, উফ বাবা, একটু থামলে ভাল হত? একদম উল্টো। নৈঃশব্দ্যের বা নীরবতার মহিমাগান বহুত গাওয়া হয়েছে, কিন্তু মানুষ আসলে চেয়েছে তার জীবন আঁট-ঠাসা থাক ঘটনায় বিনোদনে, গসিপে রসিকতায়, সহজ বিপ্লবে আর ধোঁয়াটে ভ্যানতাড়ায়। এবং নয় কেন? কী এমন গাঢ়তার স্বরলিপি গাঁথা আছে ধীর মন্থর ঘ্যানরঘ্যানর দিনরাত্রিতে, যেখানে নিজের আঙুল মটকে আর গাছের ছায়া চটকে কাটাতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা?

প্রেমের দুঃখ বড় দুঃখ। বান্ধবী যদি যোগাযোগ না রাখে মন তখন আর মানতে চায় না। আমাদের অ্যান্টনির যেরকম অবস্থা এখন। বেচারা শায়েরিকে ফোন করেই চলেছে, কিন্তু উত্তর নেই! এদিকে এই সময়েই আবার তাকে চলে যেতে হচ্ছে দূরে। এই দু-ধরনের দূরত্ব হজম করতে না পেরে সে যে কী কাণ্ডটাই ঘটিয়ে ফেলল, একবার দেখুন আপনারা!

ক্যারেন আর রিচার্ড কার্পেন্টার। দামাল সত্তরের রক প্রেক্ষাপটে সহজাত ভঙ্গীতে প্রেমের গান গেয়ে খ্যাতির শীর্ষস্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন এই দাদা আর বোনের ‘ভোকাল ডুও’, আমেরিকান পপ-রক সঙ্গীতের সম্ভারে যে অসাধারণ গানের ডালি উপহার দিয়ে গিয়েছিলেন, তার জুড়ি মেলা ভার। ‘টপ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ থেকে ‘সলিটেয়ার’, ফিরে দেখা, সহজ, সরল গান গাওয়াকে।

‘লাঞ্চব্রেকে সুস্মিতা বলল, ‘আমাকে পরের সিনটা পড়ে দিও।’ হুড়মুড়িয়ে নিজে খেয়ে গেলাম। তখন ও স্যালাড খাচ্ছে। আমি বেরিয়ে যেতে চাইলে ও বলল, ‘খেতে-খেতেই কথা হোক।’ পড়ে দিলাম সংলাপ। দু’তিনবার। তারপর এটা-সেটা কথা। এবার ও বলল, ‘তুমি কিউ দাও, আমি আমার সংলাপ বলছি।’’ সুস্মিতা সেনের সঙ্গে শুটিং।

বাঙালি সমাজে প্যাশনকে খুব দর দেওয়া হয়, হিসেব করা বা ছক সাজিয়ে এগিয়ে যাওয়াকে একটু খাটো চোখে দেখা হয়, ভাবা হয় এর মধ্যে প্রতিভা কম ও চাতুর্য বেশি। প্রেম থেকে শিল্প, সর্বত্রই একই সিদ্ধান্ত। এমনকী ক্রিকেটেও, যে ব্যাটসম্যান চার আস্কিং রেট থাকা সত্ত্বেও গদার মতো ব্যাট চালিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়েছে, তাকে আমরা সহস্র স্যালুট জানিয়েছি, আর যে ধীরে পরপর সিঙ্গলস নিয়ে ট্রফির কাছে পৌঁছেছে তাকে বলেছি নিষ্প্রাণ ধূর্ত। অঙ্ক কষে রাগ নির্বাসন দিয়ে মারমূখী হয়ে বা শান্ত ভাবে প্রতি-জবাব দেওয়াটাই শ্রেয়।

‘এ-যুগে কে কখন বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়বেন, তার কোনো হিসেব নেই, তাই কখন যে কার মনে হতে পারে এই সব ব্যাঙ্গকর্মে আমাদের শ্রদ্ধেয় রাগসঙ্গীতের ধারাকে অবমাননা করা হচ্ছে, তারও কোনো ঠিক নেই। যতদিন না কেউ রাগ করছেন, তাই, আসুন আমরা ক্লাসিকাল সঙ্গীত নিয়ে বানানো ‘মজা’lগুলোকে নেহাতই নিরীহ এবং তুচ্ছ বলে উপেক্ষা করি, বা গুছিয়ে বসে নিজেদেরকে নিয়েই একটু হেসে নিই।’

‘আঠেরো শতকের শেষের দশকগুলিতে যখন কোম্পানি সরকারের সদর দফতর হিসেবে কলকাতার গুরুত্ব আর জনবসতি বাড়তে শুরু করল, তখন তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ল ইংরেজ সায়েবদের আনাগোনা, আর মূলত তাঁদের জন্যই কলকাতাতে তো বটেই, এমনকী ব্যারাকপুর, শ্রীরামপুর বা ফলতার মতো মফস্সলেও গড়ে উঠেছিল বিস্তর ‘ট্যাভার্ন’, অর্থাৎ সরাইখানা, রেস্টোর্যান্ট আর শুঁড়িখানার এক সমাহার, যেখানে খানাপিনা সহযোগে আড্ডা চলত দেদার।’ বাংলার রেঁস্তোরার আদিযুগ।

‘আবার সেই জুদ্দু নিয়ে নাটক? আবার সেই রাজনৈতিক কচকচানি? তারপরেও উনি দেখছেন পৃথিবীর এখন হুবহু সেই আগেরই চেহারা, সেই যুদ্ধবাজি! রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের কথাও বললেন! ৬০ বছরে মানুষের সভ্যতার বিবর্তনের চেহারাটা বিপথগামী দেখে ব্রেখট বোধহয় একটু রাগেই পাইপটা ছুঁড়ে ফেলে দিলেন।’ ব্রেখট-এর সঙ্গে উত্তমের দেখা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.