কলাম

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৫

এ যুগের গণধোলাই — ট্রোলিং। তবে এবার কাজটা আরও সহজ; কোনো কায়িক পরিশ্রম নেই, হাঁপানির চিন্তা নেই, পাল্টা মার খাওয়ার ভয় নেই। আড়াল থেকে ইন্দ্রজিৎ বা মেঘনাদের মতো, মানুষকে আঘাত করার এ এক অনন্য পদ্ধতি। লাগামছাড়া ট্রোলিং ভাইরাস।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১১

হেমন্তের পরে যে শীতের বিষণ্ণতা ঘিরে থাকে, সেই সময় জীবনানন্দের কবিতা খুব বেশি করে মনে পড়ে। তিনি যেন সবার বিষণ্ণতার পাহারাদার। সবার বিষণ্ণতার দায় তিনি নিয়েছেন আর কবিতা দিয়ে পূর্ণ করেছেন সেই বিষণ্ণতাকে। সেই না-দেখা কবির কবিতা আশ্রয় দিক আমাদের জন্ম-জন্মান্তেরের বিষণ্ণতাকে।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ১০

গানে কান্না-সিলিন্ডার উঠছে, এবং সামনের পার্কে ইউএফও নামছে। আর গল্পে, জ্যাক আর জিল পাহাড়ের চুড়ো থেকে জল আনতে গিয়ে, হোঁচট খেয়ে গড়িয়ে একদম নীচে পড়ে যাওয়ার পর, জিল যদি-বা উঠতে পারে, জ্যাক কিছুতেই আর পারে না। তার কোমর ভেঙে গেছে। তাহলে তার ভাগ্যও কি ভেঙে গেল

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১০

‘ছলনা ব্যাধের সঙ্গী। যেরকম রুমাল, তোমার।/ ফেলে কবে গেছ আর তারই সুগন্ধের জেরে আমি/ এ-শহরে বাসা নিই। আসলে শিকার হই তার…/ যে-নিজরহস্য নিয়ে আজও অরণ্যের অনুগামী।’ নতুন কবিতা।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ১০

‘মুঘলরা আমদানি করলেন আরও হরেক কিসিমের মিষ্টি— জিলিপি, অমৃতি, গুলাব জামুন, আরও কত কী, আর ইরানের ‘কুলফি’-র ভারতীয়করণও তাঁরাই করলেন, সে-কাজে ব্যবহৃত হল এ-দেশের উৎকৃষ্ট দুধে পেস্তা জাফরান, ইত্যাদি মিশিয়ে হিমালয়ের বরফ অথবা সোরা, অর্থাৎ সল্টপিটার, দিয়ে রেফ্রিজারেশনের কৃৎকৌশল।’ মধ্যযুগে বাংলার মিষ্টি।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১০

‘ধ্বংস’ নামের কাব্যগ্রন্থ থেকে পড়া কিছু কবিতা। মিথ্যা সম্প্রীতির জাল ভেঙে বেরিয়ে আসা সময়ের কিছু লেখা, যুদ্ধ পরিস্থিতির কবিতা।

অর্ক দাশ (Arka Das)

খুচরো খাবার: পর্ব ৩

‘তেলেভাজা কবে, এবং কীভাবে, বঙ্গদেশে জনসাধারণের জনপ্রিয় জলখাবার হয়ে উঠল, বিশেষত উনবিংশ শতাব্দীর জাত-পাত, ছোঁয়াছুঁয়ি, পাপপুণ্য, সাত্ত্বিক-নিরামিষাশী প্রভৃতি নিয়ে ব্যতিব্যস্ত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন বঙ্গদেশে? কালীপ্রসন্ন সিংহ-এর ‘হুতোম প্যাঁচার নক্শা’‌য় (প্রথম প্রকাশিত ১৮৬১) কলকাতায় তেলেভাজার ঠিকানা মেলে না।’ তেলেভাজার একাল-সেকাল।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২০

‘বিবাহ প্রাথমিক ভাবে যৌন চুক্তি, ফলে এক কুমার ও এক কুমারীর বিয়ে হবে, তারা প্রথম যৌনতার স্বাদ পাবে পরস্পরের কাছ থেকে, শয্যাতুলুনিতে রক্ত দেখে মেয়ের ব্যাপারটায় আত্মীয় ও প্রতিবেশীরাও নিশ্চিত হবে (কারণ তার সতীত্বই বেশি গুরুত্বপূর্ণ), এরপর বাচ্চা হবে এবং কোনও সন্দেহই থাকবে না এটি কার বাচ্চা।’ বিবাহের উদ্দেশ্য।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৯

‘প্লেটে সাক্ষাৎ ভিসুভিয়াস। মনেও। দারুণ রান্না। ন্যাপকিনে কেটারারের নাম ছাপা আছে, আর একটা নিয়ে রেখে দেব। যদি কেউ ধরে, এই ভয়টা আর একবার হল, এদিক-ওদিক নজর রাখছিলাম। সন্দেহজনক লোক খুঁজছিলাম, যে আমাকে সন্দেহ করতেই পারে। পেলাম না।’ অ-নিমন্ত্রিতের গল্প।

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ১০

‘আমাদের যেহেতু অনুভূতি নিয়ে অত মাথাব্যথা নেই, তাই যন্ত্রণা নিয়েও আমরা মাথা ঘামাই না। মহাবিশ্বের এক কোণায়, ‘আমি ভাল নেই’ এই ঘ্যানঘ্যান চালালে, তাতে কার কী এসে যায়? খুলে নিয়ে যান আমার কি-বোর্ড, ভেঙে দিন আমার স্ক্রিন, আগুন লাগিয়ে দিন আমার হার্ড ড্রাইভে, একটা শব্দও করব না।’ যন্ত্রের সহ্যশক্তি।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১০

পাশ্চাত্যে বিভিন্ন দেশে চলছে কোভিড-বিধি-বিরোধী-আন্দোলন। ভ্যাকসিন নিতে আপত্তি, লকডাউনে আপত্তি, মাস্ক পরতে আপত্তি। ভারতে অনেকেই হয়তো কোভিড বিধি মানে না, কারণ অনুশাসনের ব্যাপারে তারা একটু উদাসীন টাইপের। কিন্তু ইউরোপ বা আমেরিকায়, এ হল ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রকাশ। ভ্যাকসিন নিতে বাধ্য করা, তাদের মতে, মানবাধিকার লঙ্ঘন।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৯

‘…ভূগোল নিয়ে ভর্তি হবার এক সপ্তাহের মধ্যে, বন্ধুবৃত্ত তার ডানা ছড়াল সিন্ধবাদের রকপাখির মতোই। ইংরেজি, ইতিহাস, বাংলা, রাশিতত্ত্ব, সব বিভাগের একমনা ছেলেমেয়েদের সে এনে ফেলল তার ডানার ছায়ায়।’ কলেজের সিঁড়ি।