কলাম

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ১৩

রাজা মাইডাস দেবতার কাছে বর চেয়েছিলেন যে, তিনি যাই ছোঁবেন তা যেন সোনা হয়ে যায় অর্থাৎ তাঁর সব কাজে যেন সাফল্য আসে। কিন্তু দেবতা তা আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করে যে বর দেন, তাতে রাজা মাইডাস বেজায় বিপদে পড়লেও আক্ষরিক বরের গুণে সম্পদশালী হয়ে ওঠেন। কিন্তু পরে রাজারই বুদ্ধিতে দেবতা পড়েন বিপদে। আর গানে বলা হচ্ছে যে মার-ই হল আদর্শ একটি শব্দ, যার প্রয়োগ ভাল-খারাপ নির্বিশেষে মানুষকে ছুঁয়ে যায়।

অনুপম রায়

ম্যাকি : পর্ব ১৪

‘লজ্জা নিবারণের জন্য নাকি পোশাক! শরীরের বিশেষ-বিশেষ অঙ্গকে টার্গেট করে সেগুলোকে শরীরের লজ্জা বানানো হয়েছে। তারপর সেগুলোকে ঢাকার সে কী চেষ্টা! আমরা দেখি আর হাসি। মানুষের ট্র্যাজেডি হল, ঈশ্বর নাকি পৃথিবী বানিয়ে, মানুষ বানিয়ে, কেটে পড়েছে, কোনও রুল-বুক দিয়ে যায়নি।’ লজ্জার ধরন।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ১২

যাবতীয় অবান্তর ব্যাপার থেকে নিজেকে সরানোর মতো ইমিউনিটি তৈরি হয়নি। বাধ্য হয়ে বিকল্প খুঁজে চলেছি। অব্যাহত আছে মনের মধ্যে নক্কারজনক কল্পনার স্ট্রিমিং ভিডিও। কেউ বুঝে ফেললে সর্বনাশ। টেনশন হয় সারাক্ষণ।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৪

‘প্রহরা দুর্গের মন। অপরাধ শাস্তির প্রেরণা।/ মাঝে যে-পরিখা, তাতে আশঙ্কা টলটল করে রাতে।/ শত্রুদের চাঁদ দ্যাখো। তির লেগে ভেঙে যাওয়া কোনা…/ আরও বুঝি যুদ্ধ চাই, নাগরিকে জোছনা বোঝাতে।’ নতুন কবিতা।

খুচরো খাবার: পর্ব ৭

খুচরো হলেও, রাস্তার কচুরি কিন্তু মুড়ির মতো সমাজের সর্বস্তরভেদী খাবার নয়— এক পিস হরে দরে পাঁচ থেকে দশ টাকা দাম হতে পারে, দাম নির্ভর করছে শহরের কোন প্রান্তে, কোন পাড়ায় খাচ্ছেন তার উপর। তা-সত্ত্বেও, অফিস-ব্যস্ত স্বল্পপুঁজী কর্মীর পক্ষে আজকের যুগে দাঁড়িয়েও যে ৩০-৪০ টাকায় খাওয়াটা সারা যায়, এটা ভাবা যায় না, এবং এটা সত্যিই কলকাতা ছাড়া ভারতবর্ষের আর কোনো শহরে ভাবা যায় না।

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৭

রাজনীতিকদের গৎবাঁধা তর্কের নামতা-বাজি যে সাধারণ লোক বুঝতে পারে না তা নয়, তাদের উত্তেজিত হয়ে ওঠার ভড়ং যে পাবলিকের মগজ এড়িয়ে যায় তা নয়, এবং নিজের মুঠো থেকে দায় অন্যের কোলে চালান করার আপ্রাণ চেষ্টায় ইতিহাসের চ্যাপটারের সুবিধেজনক ন্যাজ ধরে টান মারার তুড়ুক-লাফে নেতাদের ত্যানাও প্রায়ই সরে যায় এবং টিভি থেকে জনগণের ড্রয়িংরুমে খসে পড়ে স্লো মোশনে, কিন্তু তা সত্ত্বেও উগ্র তীব্র তপ্ত গোলমালে দর্শকের বিচার প্রায়ই ঝনঝনিয়ে ওঠে।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৫

পাঙ্ক রক্‌ কাকে বলে? আগাপাশতলা ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিউজিক যাকে বলা হয়, তার শুরু কি পাঙ্ক রক্‌ থেকে? মূলশ্রোতের জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যাওয়া একটা ব্যান্ড কি তার পাঙ্ক রক্‌ মূল্যবোধকে পেছনে ফেলে আসে, দামাল যৌবনের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর মতো? অথ গ্রিন ডে কথা।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৩

‘কত মানুষ এসে দেখা করছেন তাঁর সঙ্গে, সকলের দিকে একই রকম হাসিমুখ নিয়ে তাকাচ্ছেন সুনীলদা। আর দোলের ওই চড়া রোদের তাপে তাঁর বয়স গলতে-গলতে কমে দাঁড়াচ্ছে সাতাশে। আমাদের চোখের সামনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রূপান্তরিত হচ্ছেন নীললোহিতে।’ দোলের শান্তিনিকেতন।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৪

অমরত্ব বলতে আমরা বুঝি চিরযৌবন। মনে মনে যখন ভাবি, ইশ! যদি পঁচিশ বছর বয়সে ফিরে যেতে পারতাম ভারি ভাল হত। আসলে, আমরা চাই ৬২ বা ৭২ বছর বয়সের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা আর মস্তিষ্ক নিয়ে যৌবনে ফিরে যেতে। এক বারও ভাবি না যে পঁচিশে ফিরে গেলে, মস্তিষ্কও সেই বয়সের মতোই থাকবে এবং অভিজ্ঞতাও। এবং সারা জীবন ধরে যে ভুল ও ঠিক করে চলেছি, সেই সবই করে চলব। সুতরাং দ্বিতীয় সুযোগ হল প্রথম ভুল- ঠিকের পুনরাবৃত্তি মাত্র।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৪

ঈশ্বর গুপ্ত এমন এক জন কবি যাঁর ছোঁয়ায় বাংলা ভাষা বেঁচে উঠেছে, উজ্জীবিত হয়েছে। তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার বহমান স্রোতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শুরুর দিকের কবি তিনি, পরলোক গমন করেছেন ১৮৫৯ সালে, অথচ কী আধুনিক, কী উদার মন। তাঁর কবিতা পড়তে পড়তে মনে হয়, আমরা তখন কত এগিয়ে ছিলাম মানসিকতার দিক দিয়ে, সেই উদারমনস্কতা বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমরা পালন করতে পারব তো?

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৬

যাঁরা সংস্কৃতির মানচিত্রের ভগবান, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নির্ঘাত পিওর-প্রণম্য, এবং সুদীর্ঘ ও যুগ-যুগব্যাপী বিস্ময়ের যোগ্য, তাঁদের অনুরাগী ও ভক্ত হওয়া দিব্যি চমৎকার ঘটনা, জীবনের কেন্দ্রে তাঁদের অধিষ্ঠিত রেখে নিত্য জাগরণ এক শুদ্ধ ব্রত, কিন্তু তার সঙ্গে যেন এই বোধ থাকে: আমার দেবতাকেও কেউ এসে গাল দিতে পারে, সেই গালে যদি যাথার্থ্য থাকে আমি তা অনুধাবনের চেষ্টা করব। একরৈখিক ব্যক্তিপুজো।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৩

“যে তোমার মার্চ মাস, ছুটি নিয়ে জুলাই সেজেছে/তার টুপি পড়ে আছে বালিতে, সে সমুদ্রে উদাস/তুমি কী আশ্চর্য লোক/ভাঙা সময়ের মধ্যে বেঁচে/বৃষ্টির সুতোয় বুনে বসে আছ বসন্তের মাস”। নতুন কবিতা