Vlog

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১০

অল্পে যিনি অনন্ত দেখাতে পারেন তিনিই সার্থক কবি। তেমনই একজন বরেণ্য কবি বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়। যাঁর অনায়াস যাতায়াত সাধু-চলিত ভাষায়। একটি চলিত শব্দের পাশে এমন ভাবে একটি সাধু শব্দ বসিয়ে তিনি ভাবের বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে পারতেন, তা সত্যিই মুন্সিয়ানার পরিচয় দেয়। অদেখা কবির কবিতার স্বাদ।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৯

হ্যানসেল ও গ্রেটেল সারাদিন খায় এবং ফোন দ্যাখে। শোধরাতে না পেরে, বাবা তাদের জঙ্গলে রেখে আসে। তারপর একসময় তারা বাড়ি ফেরে বটে, কিন্তু বাবা-মা’র পক্ষে তা খুব ভাল হয় না। আর গানে, বাঙালিকে বলা হয় নস্টালজিয়া নট্ট, পিছমুখো রায়– মানে যারা ষাটের দশকেই এখনও শোয়, সত্তরের দশকেই ঢুলতে থাকে। রোমন্থনই যাদের একমাত্র কাজ।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৯

অসহায়তা যখন অক্ষম আক্রোশে ফেটে পড়ে, জন্ম নেয় কবিতা। সর্বনাশের পরেও সাহসের কুঁড়ি ফোটে, জন্ম নেয় কবিতা। বিদীর্ণ মন কুঁকড়ে যখন ছোট্ট হয়ে আসে, জন্ম নেয় কবিতা। সে কবিতায় স্ফূরণ থাকলেও ফূর্তি থাকে না। ধ্বংস কাব্যগ্রন্থে তাই বিদীর্ণতার সমাহার।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৯

এবারের টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপে প্রত্যেকটা দল, কোনও-না-কোনও ইঙ্গিতের মাধ্যমে কৃষ্ণাঙ্গদের পক্ষে অধিকারের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। কেউ এক হাঁটু গেড়ে বসছেন, কেউ আবার মুষ্টিবদ্ধ একটা হাত ওপরে তুলছেন! কিন্তু আশ্চর্যের, কুইন্টন ডিককের মতো খেলোয়াড় আবার এই প্রতিবাদে অংশই নিলেন না!

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১০

ডায়ার স্ট্রেটস ব্যান্ডের গান শুনে আমি একজনেরই আন্ধভক্ত হয়ে উঠেছিলাম, মার্ক নফলার। তাঁর গিটার বাজানোর নিজস্ব একটা স্টাইল ছিল। তিনি ইলেকট্রিক গিটার বাজাতেন হাতে আর বলতেন তাঁকে অনুসরণ না করতে। এ অলৌকিকের সন্ধান পেলে জীবনে মুগ্ধতা কিছু বেড়ে যায়। ওদের গানের আবেশ ঘিরে নেয় ছাত্রজীবনকে। আমার অন্যতম প্রিয় প্রভাব, ডায়ার স্ট্রেটস।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৯

যে কোনও ভাষাতেই অনুবাদ অত্যন্ত কঠিন কাজ, বিশেষত সাহিত্যক্ষেত্রে। যে মূল ভাষায় কবিতা লেখা হয়েছে, তার মাধুর্য্য নিজের ভাষায় প্রকাশের দায়িত্ব রয়ে যায়। এই পর্বে থাকছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় অনুদিত ফরাসি কবিতা। রয়েছেন জাক্‌ প্রেভের, পল এলুইয়া, জ্যঁ ককত্যু, গ্যিয়ম অ্যাপোলোনিয়ার।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৮

বাঘ খাঁচায় ছিল আর ব্রাহ্মণ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, না বাঘ বামুনের ভেতর ছিল খাঁচা পথ দিয়ে যাচ্ছিল? শেয়াল এসে সব গুলিয়ে বাঘকে ফের খাঁচায় ভরে দিলেও, গল্প শেষ হয় না। বাঘ নালিশ করে এবং রাজামশায় বিচার করেন। ব্রাহ্মণ আর শেয়ালের অবস্থা তখন এই vlog-এর গানের মতো, ‘মচকে দিয়ে বের করেছি প্যাঁ-অ্যাঁ-অ্যাঁ-অ্যাঁ’।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৮

এই কবিতাগুচ্ছের মধ্যে দিয়ে আসলে নিজের মৃত্যু এবং মৃত্যু-পরবর্তী পৃথিবীকে দেখতে পাওয়া যায়। কখনও স্বপ্নে, কখনও কল্পনায়, কখনও বাস্তবে। আশা-উজ্জ্বলতার কথা ছেড়ে আচমকা মৃত্যুর কথা কেন? আসলে চারপাশটা বর্তমানে এমনই হয়ে উঠেছে, মৃত্যুকে কিছুতেই আর অস্বীকার করা যাচ্ছে না।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৮

ঘন ঘন রং বদলনোর হিড়িক দেখে ডারউইন সাহেব পড়েছেন মহা ফ্যাসাদে। কষ্ট করে, দাড়ি চুমড়ে ইয়াব্বড় তত্ত্বখানি যে বলেছিলেন, তা এখনকার মনুষ্যপ্রজাতি এদিক এদিক ফিরতে নস্যাৎ করে দিচ্ছে। এই তৃণমূল তো এই বিজেপি, এই বিজেপি তো এই সিপিএম। ডারউইন প্রায় মিথ্য়েবাদী প্রমাণ হতে চলেছেন আর এদিকে গিরগিটি রেগে লাল। তবে সিপিএম হয়নি এখনও সে।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ৯

হ্যাঁ, এ কথা ঠিকই যে আমি ব্রিটিশ ব্যান্ড বেশি ভালবাসি। অনেকগুলো ব্রিটিশ ব্যান্ডের মধ্যে ওয়েসিস আমার খুব বেশি রকমের প্রিয়। ওদের গান লেখার স্টাইল আমার মনকে খুব নাড়া দেয়। আমার লেখার স্টাইল খানিকটা ইনফ্লুয়েন্সড। ওদের গান মনে হয় যেন আমায় ডিফাইন করে।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৮

বাংলাভাষা কয়েক জন যে বিরল এবং একই সঙ্গে একা কবি রয়েছেন, গীতা চট্টোপাধ্যায় তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। আর্দ্রতার সঙ্গে দৃঢ়তার এক অদ্ভুত মিশেল রয়েছে তাঁর কবিতা। স্বঘোষিত নারীবাদী না হয়েও পরতে পরতে প্রতিবাদ কিন্তু পুরুষের সঙ্গে বৈরিতার আভাস কোথাও নেই। এমন আশ্চর্য কবিতা ও কবি সত্যি বিরল।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৭

রাজা জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে কীসের মতো ভালবাসো? এক মেয়ে বলল, নুনের মতো। হাসাহাসি পড়ে গেল, রাজা রেগে লাল। তখন সেই মেয়ে তখন খুব ভেবেচিন্তে বিরাট ভোজের আয়োজন করল, কোনও রান্নায় নুন দিল না। খেয়েদেয়ে সবাই কী বলল? আর গানে, সামুদ্রিক লাল কাঁকড়া বিষয়ে নিরবচ্ছিন্ন কৌতূহলের সরল-সাদা প্রকাশ।