
জহুরি
‘দুপুরের ট্রেনে ফিরছিলাম, হাবড়া স্টেশন থেকে কলকল করতে করতে এক দঙ্গল কলেজ-ফেরতা ছেলেমেয়ে উঠল। তাকিয়ে দেখি, তাদের মধ্যে পেঁচোদার মেয়েটিও আছে। ভেতরে ঢুকতে গিয়েও আমাকে দেখে সে যেন ইচ্ছে করে গেটের কাছে চলে গেল।’
‘দুপুরের ট্রেনে ফিরছিলাম, হাবড়া স্টেশন থেকে কলকল করতে করতে এক দঙ্গল কলেজ-ফেরতা ছেলেমেয়ে উঠল। তাকিয়ে দেখি, তাদের মধ্যে পেঁচোদার মেয়েটিও আছে। ভেতরে ঢুকতে গিয়েও আমাকে দেখে সে যেন ইচ্ছে করে গেটের কাছে চলে গেল।’
‘ফক্কা শেষ পর্যন্ত আসবে কি না, সে ব্যাপারে হয়তো ওর মনে সন্দেহ ছিল। মা বেঁচে থাকতে তাঁর হাজার অনুনয়েও যে ছেলে একবারের জন্যেও এল না, তাঁর মৃত্যুতে সে যে আসবে, এমনটা কে-ই বা আশা করে!’
‘ছেলেরাও বাপকে বউয়ের ভাই সম্বোধন করতে করতে তেড়ে এসে ঝাপিয়ে পড়ে। অতঃপর বাপ-ছেলের হাতাহাতি, ঘুসোঘুসি এবং কুৎসিত গালাগালিতে পরিস্থিতি এমন কদর্য হয়ে ওঠে যে পাওনাদার প্রাণ নিয়ে পালাতে পথ পায় না।’
‘তবু অভ্যাসবশে কোমর থেকে যন্ত্রটা হাতে নিয়ে সাবধানে দরজাটা সামান্য ফাঁক করে অবাক হয়ে গেল মজনু। সুজনি-ঢাকা থালা হাতে অপূর্ব সুন্দরী একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে। হলুদ শাড়ি, কালো ব্লাউজ, ফর্সা ছিপছিপে চেহারা।’
‘বিয়েটা প্রায় পাকা হয়ে এসেছিল। কথাবার্তা ঠিক, দেনাপাওনা নিয়ে সামান্য দর কষাকষি চলছে, ঠিক এমন সময়ে একটা উড়ো খবরে সবকিছু থমকে গিয়েছিল। এতদিনে বুঝেছে, সুন্দরী মেয়ের নামে অমন দু’একটা কথা রটতেই পারে।’
‘তপেশের কথায় যেন হালকা রসিকতা। সদ্য মাতৃবিয়োগ হয়েছে, অথচ ওর চালচলনে শোকের বদলে যেন ভারমুক্তির স্বস্তি। শেষের দিকে বিনু কি খুব ভুগছিল? কই, তেমনটা তো শোনেননি! নিশিকান্ত মনে-মনে ক্ষুণ্ণ হলেন।’
‘হঠাৎ খবর এল, হিজলার বড়ভাইকে বাঘে নিয়ে গেছে। তখন সে আমাদের বাড়িতে এসে আস্তানা গেড়েছে। ওর ভাই মউলিদের সঙ্গে জঙ্গলে গিয়েছিল মধু ভাঙতে। সঙ্গীরা তাকে বাঁচাবার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দক্ষিণরায়ের সঙ্গে পেরে ওঠে, সাধ্য কার!’
‘শ্যামল টোটো থেকে নেমে এসে বলল, ‘আর বলিস নে, মাস দেড়েক হল, সাইকেলখানা চুরি হয়ে গেছে। জীবন বলেছিল, সস্তায় একখানা সেকেন্ড হ্যান্ড জোগাড় করে দেবে, কিন্তু সে হারামজাদা যে কোথায় গায়েব হয়ে গেল, মাসখানেক হল, তার দেখা নেই।’’ নতুন গল্প।
‘আর প্রতিবাদ করার সাহস হল না। আমি মুগ্ধ হয়ে ভদ্রমহিলার কথা শুনতে লাগলাম। তিনি অমায়িক হেসে আবার শুরু করলেন, ‘হ্যাঁরে প্যালা, তোর মায়ের বাতের ব্যথাটা কি একটু কমেছে?’
একজন মানুষের আদর্শের মৃত্যু হলে কি মানুষটি আর বেঁচে থাকে? বেঁচে থাকলেও, সে বাঁচা কেমন বাঁচা? তার সঙ্গে যারা ছিল, তারাও কি বেঁচে থাকে তখন, একই রকম সত্তা নিয়ে? না কি তারাও মরে গিয়ে অন্য মানুষ হয়ে যায়? আদর্শ অতি বিষম বস্তু। নতুন গল্প।
‘হঠাৎ এক সময়ে লক্ষ করলাম, ভদ্রমহিলা একদৃষ্টে আমার দিকে চেয়ে আছেন। চোখে চোখ পড়তে পরিচিতের মতো হাসলেন। ফর্সা-গোলগাল ঘরোয়া চেহারা, এককালে যে যথেষ্ট সুন্দরী ছিলেন, অস্তগামী যৌবনের বিলীয়মান ছটায় তারই আভাস।’
‘অবাক হয়ে দেখি আমগাছের আড়াল থেকে শাড়ি পরা একটা মেয়ে বেরিয়ে সামসুলের সঙ্গে আসছে। কাছাকাছি এসে বলল, ‘দাদা আমার বউ, আপনার সঙ্গে একবার দেখা করবে বলে এসেছে। তারপর মেয়েটির দিকে ফিরে বলল, কাছে আয় সাকিনা, লজ্জা কী, এই তো আমার কাত্তিকদাদা!’‘ নতুন গল্প।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.