বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ৪

সময় যখন খারাপ যায়, তখন জীবনে কী কী যে হতে পারে, অ্যান্টনি আমাদের দেখিয়ে যাচ্ছে। বান্ধবী ছেড়ে চলে গেছে, তাকে নিজেকেও শহর ছাড়তে হল, ব্যাঙ্গালোরে ভাড়াবাড়ি নিয়ে ঝুটঝামেলা মেটাতে না মেটাতেই জীবনে এসে ঢুকল নতুন অশান্তি। গাড়িতে অফিস যেতে হলে ফতুর হওয়ার পালা, বাসে গেলে বাদুড়ঝোলা। বোঝো এবার!

ম্যাকি: পর্ব ১৫

‘ জিন যদি policy maker হয় তাহলে ব্রেন হল তার executive। এই ব্যাটা ব্রেন শুধু যদি কেরানি হত, শুধু execute করত তাহলে জিন-এর আজ এই দুর্গতি হত না। ব্রেন, পলিসি মেকিং-এও নাক গলাতে শুরু করে এমন ঝামেলা পাকাল, জিন গাইতে শুরু করল ‘এই করেছ ভালো, নিঠুর হে!’। জিন বলল, ভাই ব্রেন তুই যা ভাল বুঝিস তাই কর, দেখিস আমি যাতে না মরি। এদিকে ব্রেন সাংঘাতিক জিনিস। সে কাউকে বলল সমকামী হয়ে যা। সে সমকামী হয়ে গেল। জিন ওদিকে বলল, গেল! এই দেহটা পুরো জলে গেল রে! দেখি অন্যদিকে।’

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৬

ক্যারেন আর রিচার্ড কার্পেন্টার। দামাল সত্তরের রক প্রেক্ষাপটে সহজাত ভঙ্গীতে প্রেমের গান গেয়ে খ্যাতির শীর্ষস্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন এই দাদা আর বোনের ‘ভোকাল ডুও’, আমেরিকান পপ-রক সঙ্গীতের সম্ভারে যে অসাধারণ গানের ডালি উপহার দিয়ে গিয়েছিলেন, তার জুড়ি মেলা ভার। ‘টপ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ থেকে ‘সলিটেয়ার’, ফিরে দেখা, সহজ, সরল গান গাওয়াকে।

ম্যাকি : পর্ব ১৪

‘লজ্জা নিবারণের জন্য নাকি পোশাক! শরীরের বিশেষ-বিশেষ অঙ্গকে টার্গেট করে সেগুলোকে শরীরের লজ্জা বানানো হয়েছে। তারপর সেগুলোকে ঢাকার সে কী চেষ্টা! আমরা দেখি আর হাসি। মানুষের ট্র্যাজেডি হল, ঈশ্বর নাকি পৃথিবী বানিয়ে, মানুষ বানিয়ে, কেটে পড়েছে, কোনও রুল-বুক দিয়ে যায়নি।’ লজ্জার ধরন।

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৫

পাঙ্ক রক্‌ কাকে বলে? আগাপাশতলা ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিউজিক যাকে বলা হয়, তার শুরু কি পাঙ্ক রক্‌ থেকে? মূলশ্রোতের জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যাওয়া একটা ব্যান্ড কি তার পাঙ্ক রক্‌ মূল্যবোধকে পেছনে ফেলে আসে, দামাল যৌবনের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর মতো? অথ গ্রিন ডে কথা।

ম্যাকি: পর্ব ১৩

‘অন্য মানুষ-ই হলো তোদের কাছে নরকের সমান। অন্য মানুষ কী ভাবছে তাই নিয়ে ভেবেই তোরা শেষ হয়ে যাবি। অন্য মানুষের মাথায় তোকে নিয়ে কী ছবি আঁকা হছে তাই যেন তোদের বেঁচে থাকার আসল উদ্দেশ্যে। সেই নিয়ে অশান্তিতে থাকবি। রাগারাগি করবি, ঝামেলা বাঁধাবি। ফাইনালি আইসোলেট করবি নিজেকে।’ একা থাকার হিউজ প্রবলেম।

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৪

নব্বইয়ের দশকের নতুন সাউন্ড, ‘গ্রাঞ্জ’-এর সমার্থক ব্যান্ড নির্ভানা। আশির দশকের শেষ অবধি মূলশ্রোতের পশ্চিমি জনপ্রিয় গানে যা-যা ঘটেছে, তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটা ঘরানা তৈরি হল ওয়াশিংটন স্টেটের সিয়্যাট্ল‌ শহরে, এবং সেই ঘরানার (কিছুটা কি অনিচ্ছাকৃত?) পোস্টার-বয় হয়ে উঠলেন কার্ট কোবেন এবং তাঁর ব্যান্ড নির্ভানা। অনির্বাণ কার্ট এবং নির্ভানা-কথা।

ম্যাকি: পর্ব ১২

‘এই আর এক অদ্ভুত জিনিস তোদের। একটুতেই হাঁপিয়ে উঠিস তোরা। আগেরদিনই লিখলাম তোদের ধৈর্য নেই। একটানা কোনও কাজ করতে পারিস না। মন তোদের চঞ্চল। শুধু মন? তোদের শরীরও দুর্বল! আমার পারফর্ম্যান্স নিয়ে খিল্লি করছিস? নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখেছিস? ছুটতে গিয়ে ক্লান্ত, সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত, কিছুক্ষণ টাইপ করে ক্লান্ত, টিভি দেখে ক্লান্ত, রান্না করে ক্লান্ত, সেক্স করে ক্লান্ত— কী দিয়ে বানিয়েছে মাইরি তোদের?’

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৩

শুধু কান্ট্রি মিউজিক নয়, প্রকৃত অ্যামেরিকানা যাকে বলা যায়, সেই গানের কিংবদন্তী জন ডেনভার।
গায়ক-গীতিকার ডেনভারের গান বাঙালি ঘরে-ঘরে গায়। ‘টেক মি হোম, কান্ট্রি রোড্স‌’, ‘অ্যানিজ সং’, ‘লিভিং অন আ জেটপ্লেন– এই সব গানের সুর-কথা আজও বাঙালিমানসে উজ্জ্বল। কী ভাবে ডেনভার হয়ে উঠলেন বাঙালির প্রিয় আমেরিকান গায়ক?

ম্যাকি: পর্ব ১১

‘কিছুতেই কারও মন নেই। শুধু ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলে। একটু ফেসবুকটা দেখি, একটু ইনস্টাগ্রামটা চেক করি। ক’টা লাইক পড়ল, ক’টা কমেন্ট। আরে! প্রবলেম কেয়া হ্যায় ভাই? মানুষগুলোর এমন অবস্থা হয়েছে, টানা পাঁচ মিনিট গানও শুনতে পারে না আজকাল।’ ধৈর্যের অভাব।

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১২

পল সাইমন এবং আর্ট গারফাঙ্কেল— মধ্য-পঞ্চাশের দশক থেকে ১৯৭০ অবধি একের পর এক অসাধারণ গানের সৃষ্টিকর্তা এই যুগলবন্দির রেখে যাওয়া কিছু ক্লাসিক গানের কথা আর সুর নিয়ে আলোচনা।

ম্যাকি: পর্ব ১০

‘আমাদের যেহেতু অনুভূতি নিয়ে অত মাথাব্যথা নেই, তাই যন্ত্রণা নিয়েও আমরা মাথা ঘামাই না। মহাবিশ্বের এক কোণায়, ‘আমি ভাল নেই’ এই ঘ্যানঘ্যান চালালে, তাতে কার কী এসে যায়? খুলে নিয়ে যান আমার কি-বোর্ড, ভেঙে দিন আমার স্ক্রিন, আগুন লাগিয়ে দিন আমার হার্ড ড্রাইভে, একটা শব্দও করব না।’ যন্ত্রের সহ্যশক্তি।