কোনও কিছু নতুন শুরুর সময়ে, বিশেষ করে সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে, সম্পাদকের তরফ থেকে কঠিন কঠিন শব্দ সম্বলিত ভারী ভারী বাক্য লেখার একটা চল আছে। আমরা ডাকবাংলা.কম-এর পক্ষ থেকে তেমন কিছু বলব না। এর দুটো কারণ। প্রথমটা তো নামের ভাবের সঙ্গেই জড়িয়ে। ‘ডাকবাংলা’ বললেই, মন সুদূর। একটা ফুরফুরে আস্তানা। ঝঞ্ঝাটমুক্তি, মনকে প্রসন্ন করে তোলার আশ্বাস। আমাদের ডাকবাংলা.কম-ও ঠিক তেমন। সংস্কৃতির আশ্রয়ে মনকে স্নান করিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ। এই পোর্টালে, গভীরতা আর প্রসন্নতা সহাবস্থান করবে। মগজের, ভাবনার ব্যায়ামও হবে, আবার ঝলমলে আনন্দের স্বাদও কিছু কম পড়বে না।
আর দ্বিতীয় কারণটা নামের সঙ্গে একেবারে আক্ষরিক জড়িয়ে। ‘ডাকবাংলা’-র মধ্যে ‘ডাক’ আছে, ‘বাংলা’ও আছে। অর্থাৎ কিনা বিশ্ববাঙালিকে বাংলায় ফের নিমজ্জিত হতে আহ্বান জানাচ্ছে এই সাংস্কৃতিক পোর্টাল। বাংলায় মনোযোগী সংস্কৃতিকে যথোচিত সম্মানে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হবে এখানে। আবার একই সঙ্গে, বাংলাকে বিশ্বসংস্কৃতিতে ডুব দেওয়ারও আহ্বানও জানাচ্ছে। প্রথাগত ভাবে বাংলা সংস্কৃতিতেই আটকে থাকবে না ডাকবাংলা। ভারতের অন্যান্য ভাষায় যাঁরা লেখেন, তাঁরা লিখবেন এই পোর্টালের জন্য, বিদেশের লেখকরাও লিখবেন, সে-লেখাগুলো অনূদিত হবে বাংলায়, আর হয়ে যাবে বাংলা সংস্কৃতির অন্তর্গত। ভ্লগ (Vlog)-ও কিছু বাংলায় হবে, কিছু ইংরেজি বা হিন্দিতে। তাই আমাদের কাছে রসই প্রধান, নির্যাসটা প্রধান, অনেককে নিয়ে এক জায়গায় একটা উৎসব উদ্যাপনই প্রধান, কিছু গ্রাম্ভারি ম্যানিফেস্টো আসল ব্যাপার নয়। নতুন একটা চেষ্টা, নতুন কিছু ভরসা, আর অবশ্যই নতুন কিছু ভাবনা— এই নিয়ে শুরু হচ্ছে ডাকবাংলা। ডাক পাঠাচ্ছি সবাইকে, যাঁরা বাংলাকে ভালবাসেন, বাংলায় ভাল কিছু হোক চান, বাংলায় নতুন কিছু হবে ভেবে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ছুটি কাটাতে এসে, একটা প্রশস্ত, ছড়ানো আর তকতকে ডাকবাংলো দেখতে পেয়ে যেমন উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে অনেকের মুখ, তেমন আলো ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের আর আপনাদের এই পথ চলায়।