ডেটলাইন : পর্ব ২৬

Tiger's Nest

যত কাণ্ড ‘পারো’তে

যতই ন্যাকা-ন্যাকা শুনতে লাগুক, পারোতে পা দিয়েই আপনার বলতে ইচ্ছে হবে, ‘কী কিউট’। তার আগে কিছুক্ষণ অবশ্য আপনি থাকবেন অপার বিস্ময়ের ঘোরে। বিমানের এমনও ল্যান্ডিং হয়! ‘কুর্সি কী পেটি বাঁধ লিজিয়ে’ কম পড়ে যাবে, এত রোমাঞ্চকর সেই অবতরণ। শুধু এই অভিজ্ঞতাটুকুর জন্য জীবনে একবার বিমানে, ভুটানের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পারো যাওয়া দরকার।

পৃথিবীর সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এয়ারপোর্টগুলোর একটা। ‘পারো ছু’ নদীর ধারে গভীর উপত্যকায় এই বিমানবন্দর, ১৮,০০০ ফিট পর্যন্ত উঁচু পাহাড় দিয়ে ঘেরা। তার ওপর রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছোট আর বাতাসের ঘনত্ব কম থাকায়, ডবল চ্যালেঞ্জের মুখে পারো। সে-জন্যই গোটা বিশ্বে হাতে গোনা ক’জন পাইলট আছেন, যাঁদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে পারোতে বাণিজ্যিক বিমান নিয়ে যাওয়ার। দিনের আলো থাকতে-থাকতে প্লেন ওঠানামা করতে পারে, তবে দুপুরের পর থেকে হাওয়ার মতিগতির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে বিমানের যাতায়াত।

মায়া দেবীর মন্দিরের ভেতরে, পোড়া ইটের শক্তপোক্ত দেওয়ালে— খোদাই করা ছিল, বুদ্ধের জন্মদৃশ্য। তপশ্রী গুপ্তর কলমে পড়ুন ‘ডেটলাইন’ পর্ব ২৫

এতসব জেনে যাওয়ার পরও কিন্তু, একইরকম দমবন্ধ উত্তেজনা তৈরি হবে পারোতে নামার সময়ে। জানালার বাইরে ঝকঝকে নীল আকাশ, বরফচুড়ো, পাহাড়ের মাথায় আটকে থাকা সফ্ট টয়ের মতো মেঘ, কিছুই আপনাকে বেশিক্ষণ অন্যমনস্ক রাখতে পারবে না, টেনশনে গা শিরশির করবে। ঠিক কোন অ্যাঙ্গেলে প্লেনটাকে ঘুরিয়ে, প্রায় অ্যাক্রোব্যাটিক স্টাইলে মোড় নিয়ে, পাহাড়ের দেওয়াল স্পর্শ না করে নামা সম্ভব, ভেবেই পাবে না অ-যান্ত্রিক সাধারণ যাত্রী।

‘পারো ছু’ নদী

তবে কলকাতা থেকে পারো যাওয়ার যত না মজা, তার থেকে একশোগুণ বেশি, যদি কেউ কাঠমান্ডু বা দিল্লি থেকে যায়। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে হিমালয় দর্শন হতে পারে। ভাবতে পারেন, প্লেনের জানালা দিয়ে দেখছেন এভারেস্ট কিম্বা কাঞ্চনজঙ্ঘা! সেই মাহেন্দ্রক্ষণে পাইলট ঘোষণা করেন শৃঙ্গের নাম, যে কিনা আপনার যাত্রাপথের সঙ্গী।

এই রহস্য-রোমাঞ্চ সিরিজে উত্তেজনার পারদ এক মুহূর্তে নেমে যাবে পারোর মাটিতে পা রাখা মাত্র। ঐ যে বললাম, মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে ‘কী কিউট!’ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদীটা মিষ্টি, একটু দূরের ঐ সবুজ পাহাড়টা মিষ্টি, হোটেলের রিসেপশনে স্বাগত জানানো ভুটানি ড্রেস পরা মেয়েটাও কী মিষ্টি! জানাল, ভারতীয় টাকা চলবে, তবে বড় নোট না। আর খাবার? পৃথিবীর সর্বত্র দেখেছি, যার কেউ নেই তার ভগবান আছে আপ্তবাক্যের মতো, যেখানে কিছু নেই, সেখানে আছে ইন্সট্যান্ট নুডলস। আরও ভাল হত নামটা বলতে পারলে, কিন্তু বিনাপয়সায় ব্র্যান্ডিং নৈব-নৈব চ। পেঁয়াজ-লঙ্কা-ডিম দেওয়া ধোঁয়া ওঠা একবাটি নুডলস, হাপুস-হুপুস করে খেয়েই বেরিয়ে পড়লাম। মাথায় রাখতে হবে, যতক্ষণ দিনের আলো, ততক্ষণ ছবি, তার ওপর যখন-তখন মেঘলা করে টিপ-টিপ বৃষ্টির সম্ভাবনা। আর বৃষ্টি হলেই, পাতলা কুয়াশার মতো হাল্কা ঠান্ডার চাদর কোথা থেকে যেন নেমে এসে মুড়ে দেয় চারপাশ। নার্সারির বাচ্চার আঁকা ছবির মতো পারো শহর আপাতত ভেজা-ভেজা, কাঁচা হাতের জলরঙের কাজ মনে হচ্ছে।

পারো এয়ারপোর্ট

শেষ বিকেলের পারো বড় নিস্তব্ধ। মেরেকেটে হাজার তিরিশেক লোকের বাস। হেঁটেই ঘুরে ফেলা যায় অনেকটা। বাড়িগুলো চমৎকার। টিপিক্যাল ভুটানি স্থাপত্য, প্যাগোডার মতো কাঠের ছাদে রঙিন নকশা। এরকম একটা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মনে হল কেউ থাকে না। গেটে তালা নেই দেখে আমাদের মতলব হল, বারান্দায় দাঁড়িয়ে পিস টু ক্যামেরা দেব। অতি উৎসাহে লোহার গেটের আগলটা খুলতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধাল ক্যামেরাম্যান। সাধারণত আমিই হড়বড় করতে গিয়ে এধরনের বিপদ ডেকে আনি। বেচারার হাত দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়ছে। জোর দিয়ে খুলতে গিয়ে কীভাবে যেন লোহার আংটাটা গেঁথে গেছে আঙুলের পাশে। এক্ষুণি অ্যান্টি টিটেনাস ইঞ্জেকশন দিয়ে ড্রেসিং করতে হবে। আশেপাশে কাউকেই দেখছি না। কোনওমতে রুমাল দিয়ে জায়গাটা বেঁধে হাঁটতে লাগলাম। লোক দেখলেই জেনে নেব, কাছাকাছি ডাক্তারখানাটা কোথায়। বেশ কিছুটা হাঁটার পর রাস্তার ধারে, একটা বাড়ির বারান্দায় ছোট্ট মুদির দোকানে একজনকে দেখতে পেয়ে ধড়ে প্রাণ এল। হাতটা দেখিয়ে হিন্দিতে জিগ্যেস করলাম, “কোথায় যাব?” সে একটু দূরে, আলো জ্বলা একটা একতলা বাড়ি দেখিয়ে বলল, “ঐটাই দাওয়াখানা।” নিশ্চিন্ত হওয়া গেল, দু’মিনিটের হাঁটা। বন্ধ দরজায় টোকা দিতে একটি ছেলে খুলল, পাড়ার ডাক্তারখানার মতোই বাইরে একফালি অপেক্ষার জায়গায় চেয়ার পাতা। সেখানে এক মহিলা বসে আছেন, পাশের চেয়ারে আপাদমস্তক কম্বল মোড়া কেউ, মানুষ তো বটেই, তবে আর কিছু বোঝা যাচ্ছে না। মহিলা নিজেই জানালেন ভাঙা হিন্দিতে, ছেলের খুব বুখার, অনেকদিন ধরে সারছে না। আমরা বসলাম।

গল্পে পড়া বা সিনেমায় দেখা কিছু চোখের সামনে ঘটলে, আমরা রোমাঞ্চিত হই। কিন্তু এই তথাকথিত দাওয়াখানায় এরপর যা ঘটল, তাতে ছোটখাটো একটা বিপ্লব করে ফেললাম বিদেশের মাটিতে। আর এত সময় গেল সেই কাণ্ডে, যে বেচারি ক্যামেরাম্যান যন্ত্রণা চেপে বসে রইল রক্তমাখা রুমাল হাতে বেঁধে। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হল না, একটু পরেই পাশের চেম্বারের দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন ডাক্তার, মধ্যবয়সি মহিলা, সঙ্গে সেই দরজা খোলা ছেলেটি। জ্বরগ্রস্তের কম্বল সরিয়ে কপালে হাত রেখে নিজেদের ভাষায় কিছু একটা বললেন। তাঁর গলায় উদ্বেগ শুনে বুঝলাম, অনেক জ্বর। এরপর তার পুরো কম্বল সরিয়ে দিতে দেখলাম কমবয়সি এক কিশোর গুটিসুটি মেরে কাঁপছে। ডাক্তার আমাদের তো বটেই, তার মাকেও সরে যেতে বললেন অন্যদিকে। এরপর যা ঘটল, তার জন্য একদম প্রস্তুত ছিলাম না। ভাবলাম, ইঞ্জেকশন বা স্যালাইন দেবেন হয়তো। খেয়াল করিনি কখন ডাক্তারের অ্যাসিস্ট্যান্ট একটা বিরাট শলাঝাড়ু নিয়ে এসেছে। ডাক্তারের নির্দেশে সে সপাসপ ঝাঁটাপেটা করতে শুরু করল অসুস্থ ছেলেটিকে। সে যত আর্তনাদ করছে, তত জোরে মারছে। ডাক্তার ভুটানি ভাষায় নির্দেশ দিচ্ছেন। আর ছেলেটির মা নির্বিকার। প্রথমটা আমি এত হতবাক হয়ে গেছিলাম যে কিছু করার কথা মাথায় আসেনি। একটু পরেই আমি চেঁচিয়ে উঠলাম হিন্দিতে, “থামো এক্ষুণি।” ডাক্তার হাত দিয়ে আমাকে নিরস্ত করতে চাইলেন, আমি এগিয়ে গিয়ে ছেলেটিকে আড়াল করে দাঁড়ালাম। ততক্ষণে বুঝে গেছি, ডাক্তার-ফাক্তার কিছু না, এ হল ওঝা। আমাদের দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল আর নেপাল, ভুটানের মাতৃতান্ত্রিক সমাজে আরও অনেক পুরুষপ্রধান পেশার মতো ওঝাগিরিতেও মহিলাদের রমরমা। তথাকথিত দাওয়াখানায় এরপর শুরু হল তুমুল হট্টগোল। আমার আর ওঝার চিল্লানিতে কান পাতা দায়। বাকি সবাই চুপ। রুগী আবার কম্বলের ঘেরাটোপে লুকিয়ে পড়েছে। পুলিশের ভয় দেখানোর পর রণে ভঙ্গ দিলেন ওঝানী। আমি আর আহত ক্যামেরাম্যান অটো ডেকে, ছেলেটি আর তার মাকে নিয়ে সোজা হাসপাতাল। সেখানকার ডাক্তার বা নার্সেরা আমার অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিলেন না। থানা-পুলিশ করতে একেবারেই বারণ করলেন। একজন অল্পবয়সি ইন্টার্ন সাবধান করলেন, “পাহাড়ি মানুষের গোঁ সাংঘাতিক। দু’দিনের জন্য এসেছেন। কী দরকার ঘাঁটিয়ে?”

পারো থেকে না হয় গাড়িতে চলে এলেন পাহাড়ের নীচে। তারপর ঘণ্টা তিনেকের ওঠা এবং একই রাস্তায় নামা, বয়স কম আর তাকত বেশি, সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চারের নেশা থাকলে তবেই চেষ্টা করবেন। নচেৎ মাঝপথে দম ফুরিয়ে পথের ধারে বসে, রডোডেনড্রনের শোভাও বিস্বাদ লাগবে। কষ্ট করে একবার যদি উঠতে পারেন, চোখ জুড়িয়ে যাবে।

ভুটানের বৌদ্ধ ধর্ম বজ্রযান ধারার। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু সিরিজের একটা বই অনেকেই পড়েছেন, ‘কাকাবাবু ও বজ্রলামা’। এই ধারায় অনেক তান্ত্রিক আচার চলে। বজ্রযান বৌদ্ধধর্মের উদ্ভব ভারতে হলেও, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে তিব্বত আর অন্যান্য দেশে। দলাই লামা এই বজ্রযান পদ্ধতির গুরু, তাই তাঁকে বজ্রলামা বলাই যায়। এঁরা বিশ্বাসী শূন্যে। ধ্যানের মাধ্যমে প্রকৃত আর আধ্যাত্মিক জগৎকে মিলিয়ে পৌঁছতে হবে চেতনার সেই স্তরে যেখানে বোধিলাভ সম্ভব। যাই হোক, বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে আমার এই অল্পবিদ্যা আর না জাহির করাই ভাল। আমার ধারণা, যে-কোনও ধর্মের খুব নীচুতলার শিক্ষা যেমন হয়, তেমনই বজ্রযান বৌদ্ধধর্মের নিকৃষ্ট স্তরের ব্যাখ্যা থেকেই এইসব ঝাড়ফুঁকের ব্যাপার এসেছে। এর সঙ্গে আসল ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। সেই সঙ্গে মিশেছে দারিদ্র আর অশিক্ষা। তাই একটু দূরের হাসপাতালে না গিয়ে, মানুষ যাচ্ছে পাড়ার ওঝার কাছে। এই একুশ শতকেও।

ভাবছিলাম, ভুটানে প্রথম দিনটা খুবই উত্তেজনায় কাটল। সেই রোমাঞ্চকর প্লেন ল্যান্ডিং দিয়ে শুরু হয়েছিল আর এই ওঝাকাণ্ড দিয়ে শেষ। হোটেলে ফিরতে বেশ রাত হল। আমরা কিছু বলে যাইনি, তাই খাবারও রাখা ছিল না। অগত্যা আবার লাঞ্চ রিপিট, ডিম-পেঁয়াজ-লঙ্কা সহযোগে নুডলস।

টাইগার্স নেস্ট, এই নামেই চেনে গোটা পৃথিবী, ভুটানিরা বলে ‘পারো তাকৎসাং’। পারো থেকে দশ কিলোমিটার দূরে এই বৌদ্ধ মঠ একেবারেই অন্যরকম। মানে যেমনটা আমরা দেখি দার্জিলিং বা সিকিমে, তার থেকে আলাদা। মনে হবে, পাহাড়ের একদিকে যেন ঝুলে আছে। প্রায় ৩,০০০ ফুট উঁচু এই মঠে পৌঁছতে গেলে, পাইনবনের মধ্যে দিয়ে ঘণ্টা তিনেক ট্রেকিং ছাড়া গতি নেই। নীচে দাঁড়িয়ে ওপরের দিকে তাকালে মনে হবে, কিছুতেই পৌঁছনো সম্ভব না। পাহাড়ি পথের দু’ধারের গাছে লাগানো রংবেরঙয়ের প্রেয়ার ফ্ল্যাগ। বৌদ্ধদের বিশ্বাস, এগুলো সৌভাগ্যের প্রতীক, অশুভ শক্তি থেকে বাঁচায়। কিন্তু শুধুই কি এরকম দুর্গম জায়গায় বলে এত বিখ্যাত ভুটানের আইকন এই মনেস্ট্রি? কিংবদন্তী বলে, গুরু রিনপোচে, যাঁকে বলা হয় পদ্মসম্ভব, তিব্বত থেকে বাঘের, মতান্তরে বাঘিনীর পিঠে চেপে উড়ে এসে নেমেছিলেন এই পাহাড়ের খাঁজে। সে-জন্যই এত পবিত্র মানা হয় টাইগার্স নেস্টকে। ভেতরে বিশাল বাঘের মূর্তি রয়েছে, নিয়মিত পুজো পান ব্যাঘ্রদেবতা। এখানে কিছু গুহা আছে যেখানে নাকি বছরের পর বছর, অন্তত তিন বছর তো বটেই, নির্জনে ধ্যান করতে হয় শ্রমণদের। মাত্র কিছুটা দূরে হলেও, পারোতে কখনওই নামেন না তাঁরা।

টাইগার্স নেস্ট

ঠিক কত প্রাচীন এই টাইগার্স নেস্ট? এখানকার গুহা তীর্থস্থান হিসেবে মান্যতা পেয়েছিল সেই নবম শতাব্দীতে, যখন গুরু রিনপোচে তাঁর শিষ্যদের নিয়ে ধ্যান করতেন। মঠ তৈরি হয় ১৬৯২ সালে। মাঝে দু’বার আগুনে প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছিল, পরে নতুন করে তৈরি হয়। ভুটানের রাজা নিজে উদ্যোগী হয়ে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করান এই মনেস্ট্রিকে। তবে দেশবিদেশের মানুষ যতই কৌতূহলী হোক, আজ এই ২০২৫ সালে বসেও কিন্তু টাইগার্স নেস্টে পৌছনো অত্যন্ত কঠিন। পারো থেকে না হয় গাড়িতে চলে এলেন পাহাড়ের নীচে। তারপর ঘণ্টা তিনেকের ওঠা এবং একই রাস্তায় নামা, বয়স কম আর তাকত বেশি, সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চারের নেশা থাকলে তবেই চেষ্টা করবেন। নচেৎ মাঝপথে দম ফুরিয়ে পথের ধারে বসে, রডোডেনড্রনের শোভাও বিস্বাদ লাগবে। কষ্ট করে একবার যদি উঠতে পারেন, চোখ জুড়িয়ে যাবে। একদিকে ঝকঝকে সাদা চার চারটি মন্দিরের সোনালি চুড়ো রীতিমতো সম্ভ্রম জাগায়, অন্যদিকে প্রতিটি মন্দিরের সামনের বারান্দা থেকে নীচের সবুজ উপত্যকা যেন মহার্ঘ্য গালিচা। প্রকৃতির মাঝে বিরাট বা আশ্চর্য কিছুর সামনে দাঁড়ালে, কেন জানি না বরাবর আমার চোখ জলে ভরে ওঠে। সে কি নিজের তুচ্ছতার কথা ভেবে কষ্টে নাকি অতিজাগতিক কিছু দেখার আনন্দে, আজও বুঝিনি।