পলকেই পরিষেবা

Delivery Boy

ফোনের একটা ক্লিকেই, বাড়িতে চলে এল পালং শাক! সঙ্গে কুচো চিংড়ি। সেগুলো বেশ সুন্দর করে আঁশ ছাড়ানো। রঙিন প্যাকেটে প্যাকেজিং করা। সেই সঙ্গে খাদ্যবলির গুণাগুণের তালিকাও দেওয়া। বাঙালি কি কোনওদিন মেপে খেয়েছে? আর ইদানীং খেলেও, ‘আজ খেয়ে নিই, আগামীকাল থেকে আর খাব না’ এই বলে চেপে গিয়েছে। সেই বাঙালিরই হাতের সামনে এসে পড়েছে এমন একটি প্রযুক্তি, যা দশ মিনিটে বাড়িতে এসে দিয়ে যাচ্ছে টাটকা সবজি, মাছ, মুড়ি, বিস্কুট এবং আরও প্রয়োজনীয় সামগ্রী। বাজারমুখো হওয়ার ব্যাজারমুখ কাটিয়ে তারা অনলাইনে শাকসবজি কিনছে বেশি। মাছের কানকো দেখার চেয়ে, কতটা প্রোটিন কিংবা ফ্যাট আছে সেটা দেখছে। একটা অ্যাপ বাঙালির বাজারে নিঃশব্দে বিল্পব করে দিল। বাঙালিকে দিনে-দিনে অলস এবং ঘরকুনো করে দিল। শুধু তাই নয়, এমন একটা মাধ্যম সৃষ্টি করল, যা তাৎক্ষণিক চাওয়ার প্রতি বাঙালিকে আকৃষ্ট করে দিল। ভুলিয়ে দিল বাজারে গিয়ে বাজার করার সুখ।

আরও পড়ুন: আজকের নয়া-ফ্যাসিবাদের উত্থানের সময় এবং পুঁজিবাদী ব্যবস্থার ফসল ক্ষয়িষ্ণু ব্যক্তির একস্বর উদ্‌যাপনের সময় গোর্কির মতো সাহিত্যভাবনা প্রয়োজন। লিখছেন প্রবুদ্ধ ঘোষ

ফোনে নোটিফিকেশন ঢুকছে— ‘শুধু আজকের জন্য ৫০% ছাড়! স্টক সীমিত, তাড়াতাড়ি কিনুন!’ এই ধরনের বাক্যের পেছনে কাজ করে ফোমো (Fear of Missing Out)। আমরা ভয় পাই— এই সুযোগ হয়তো আর পাব না। এই ভয় আমাদের মাথার ‘অ্যামিগডালা’ অংশকে উত্তেজিত করে, যা আমাদের উদ্বেগ এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়ার কেন্দ্র। ফলে, আমরা খুব কম চিন্তাভাবনা করেই হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটায় সামিল হই। বিহেভিয়োরাল ইকনমিক্স বলে, মানুষ সবসময়ে যুক্তিনির্ভর সিদ্ধান্ত নেয় না। বরং প্রলোভন, অভ্যাস এবং সামাজিক চাপ আমাদের কেনাকাটার ধরন বদলে দেয়। আপনার পাশের দোকানে যে-চকোলেটটি ৫০ টাকায় মিলত, সেটি আপনি অনলাইনে ৬৫ টাকা দিয়ে কিনে ফেললেন; কারণ সেখানে লেখা ছিল ‘১০% ছাড়’। দাম বাড়িয়ে ছাড় দেওয়ার খেলা। আপনি তবুও কিনে ফেললেন— কারণ আপনি সেই মুহূর্তে যুক্তি নয়, ভাবছিলেন আবেগ দিয়ে।

দিনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে নতুন প্রযুক্তিকে আপন করে নিতে হবেই। এটাই নিয়ম। যখন একটা বৃহৎ বৃত্ত তৈরি হয়, তখন অনেকগুলো ক্ষেত্র কাজ করে। এই ক্ষেত্রগুলো আপনার অনুভূতির সঙ্গে, অন্তর্গত রক্তের ভেতরে খেলা করে। আপনাকে মায়ায় জড়াবে। যে-দ্রব্য আপনি অনেক কম মূল্যে আপনার বাড়ির পাশে পেয়ে যেতেন, সেই দ্রব্যই আপনি বেশি টাকা দিয়ে কিনছেন এই ধরনের অ্যাপগুলো থেকে। আসলে আমাদের মনের সঙ্গে খেলা করে আধুনিক প্রযুক্তি। অনুভবকে বোঝে এবং ব্যবহার করে আধুনিক অ্যালগরিদম। আর আপনি হয়তো জানতেও পারেন না, ঠিক কীভাবে এক একটা ক্লিক আপনাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আরও গভীর এক মায়াজালে। এই মায়া শুধু প্রযুক্তির নয়, এটা আসলে আমাদের মনোজগৎকে নিয়ন্ত্রণের এক নতুন কৌশল। একটা সময় ছিল, যখন কিছু পেতে অপেক্ষা করতে হত। কিন্তু এখন? চাই মাত্র একটা ক্লিক।

এই সঙ্গে-সঙ্গেই পেয়ে যাওয়ার আনন্দ আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। এই আনন্দাত্মক অনুভূতি আমাদের শেখায়— যখনই কিছু চাইব, তখনই পেয়ে যাব। ফলে আমরা ধৈর্য হারাতে থাকি এবং অল্পতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। এটিই ইন্সট্যান্ট গ্র্যাটিফিকেশন— মনস্তাত্ত্বিকভাবে অত্যন্ত বিপজ্জনক, কারণ এটি ধীরে-ধীরে আমাদের ‘লং টার্ম গোল’ বা দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যগুলিকে গুরুত্বহীন করে তোলে। ভারতের শহুরে অর্থনীতিতে ব্লিঙ্কিট ও অন্যান্য কুইক-কমার্স প্ল্যাটফর্মের আগমন এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। ২০২২ সালে এই খাতের বাজারমূল্য যেখানে ছিল মাত্র ৩০০ মিলিয়ন ডলার, তা ২০২৫ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৭.১ বিলিয়ন ডলারে— যা ২৪ গুণ বৃদ্ধি। অনলাইন মুদি বাজারের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এখন এই প্ল্যাটফর্মগুলোর দখলে, যার ফলে পাড়ার দোকানগুলোর ওপর চাপ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২ লক্ষ দোকান বন্ধ হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে ২৫% মুদিখানার দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যদিকে, এই শিল্পে কাজ করা গিগ কর্মীরা (ডেলিভারি বয়রা) চাকরি সুরক্ষা, স্বাস্থ্যবিমা ও স্থায়ী আয়ের অভাবে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যার প্রতিবাদে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে বারাণসীতে ধর্মঘট হয়। যদিও ব্লিঙ্কিটের মাসিক খরচ তুলনামূলক কম (৩৫ কোটি) তবু সংস্থাটি এখনও লাভের মুখ দেখেনি। ২০২৫ সালের মার্চে তাদের অপারেশনাল ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ১৭৮ কোটি টাকা। এই খাতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে মাথায় রেখে ভারত সরকার জিডিপি পরিমাপের ভিত্তি বছর সংশোধনে এই প্ল্যাটফর্মগুলোর ডেটা অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তাভাবনা করছে। সব মিলিয়ে, কুইক-কমার্স একদিকে যেমন ভোক্তা অভ্যাস বদলাচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে শ্রমবাজার ও ক্ষুদ্র ব্যবসার টিকে থাকার ক্ষমতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে।

শঙ্কর মুদি নামের একটি সিনেমা হয়েছিল বাংলায়। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় অভিনয় করেছিলেন। সেখানে এমন একটি পাড়ার গল্প বলা হয়েছে, যে-পাড়ায় মুদির দোকানে ধারবাকিতে জিনিস দেওয়া নেওয়ার চল ছিল। তারপর হঠাৎ একদিন বিরাট মল গজিয়ে উঠল। সবাই সেখানে ছুটল। ক্ষতির মুখে পড়ল পাড়ার মুদির দোকান। এটি শুধুই এক মুদির দোকানদারের গল্প নয়, বরং এক পালটে যাওয়া কলকাতার গল্প, এক হারিয়ে যেতে থাকা শ্রেণির এবং এক নস্টালজিক বাঙালিয়ানার গল্প।

এখন অনেক পাড়ার দোকান বাড়িতে জিনিস দিয়ে যাওয়ার সুবিধা চালু করেছে। বেশি করে ধারে মালও দিচ্ছে আবার তারাও ছাড় আছে বলে প্রচার করছে। আসলে এগুলো সবই টিকে থাকার সূত্র। অনেকটা ডারউইনের অভিযোজনের মতো। ভারতে ব্লিঙ্কিট থেকে সবচেয়ে বেশি অর্ডার হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে চিপস, সফ্‌ট ড্রিংকস, আলু ভুজিয়া, দই, ধোসা ব্যাটার, এবং দুধ উল্লেখযোগ্য। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নববর্ষের প্রাক্কালে, ব্লিঙ্কিট ২.৩ লাখ প্যাকেট আলু ভুজিয়া এবং ৬,৮৩৪ প্যাকেট আইস কিউব ডেলিভারি করেছে। এছাড়া সোডা, চকোলেট, আঙুর, এবং পনিরের মতো পণ্যও ব্যাপকভাবে অর্ডার করা হয়েছে। ব্লিঙ্কিটের ক্যাটেগরি অনুযায়ী, স্ন্যাকস, কোল্ড ড্রিংকস, এবং ডেইরি প্রোডাক্টস বিভাগে সবচেয়ে বেশি অর্ডার হয়ে থাকে। এই পণ্যগুলো সাধারণত পার্টি বা হালকা স্ন্যাকস হিসেবে জনপ্রিয়। সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ভারতের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমের তুলনায় চিনের স্টার্ট-আপ সংস্কৃতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত স্টার্ট-আপ মহাকুম্ভ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা কি শুধু আইসক্রিম বানাব, না কি সেমিকন্ডাক্টর চিপস?’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমরা ফুড ডেলিভারি অ্যাপ বানাচ্ছি, যাতে ধনী মানুষ ঘর থেকে বের না হয়ে খেতে পারে, আর চীন ইলেকট্রিক ভেহিকল, এআই, সেমিকন্ডাক্টর, রোবোটিক্স ও অটোমেশন নিয়ে কাজ করছে।’ বিষয়টা আদতে কিন্তু যুক্তিযুক্ত! একটা সমাজ চাকরি বলতে ডেলিভারি সার্ভিসকেই বুঝছে। সেই ক্ষেত্রে চাকরিও হচ্ছে প্রচুর আবার ছাঁটাই হচ্ছে রোজ। আমরা একটা গোলাকার বৃত্তের চারিদিকে ঘুরছি। সেই বৃত্তের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছি না।

দিনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে নতুন প্রযুক্তিকে আপন করে নিতে হবেই। এটাই নিয়ম। যখন একটা বৃহৎ বৃত্ত তৈরি হয়, তখন অনেকগুলো ক্ষেত্র কাজ করে। এই ক্ষেত্রগুলো আপনার অনুভূতির সঙ্গে, অন্তর্গত রক্তের ভেতরে খেলা করে। আপনাকে মায়ায় জড়াবে।

ভারতে ব্লিঙ্কিটের ব্যবহার শহরভেদে ব্যাপক ভিন্নতা দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি ব্লিঙ্কিট বড়-বড় মেট্রো শহরগুলোতে যেমন দিল্লি-এনসিআর, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, কলকাতা, এবং গুরগাঁওতে জনপ্রিয়; কারণ এখানে ডার্ক স্টোরের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক এবং দ্রুত ডেলিভারির সুবিধা রয়েছে। এসব শহরে জনসংখ্যা ঘনত্ব ও আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে গ্রাহকের চাহিদাও বেশি, ফলে ব্লিঙ্কিটের কার্যক্রম সফল। অন্যদিকে, ছোট শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে যেমন চেন্নাই, কোচি, হারিদ্বার বা বিজয়ওয়াদায় ব্লিঙ্কিটের উপস্থিতি কম, কারণ সেখানে স্থানীয় কিরানা দোকানের প্রতি মানুষের আস্থা এবং গ্রাহক অভ্যাসের ভিন্নতা রয়েছে। এছাড়া, এই এলাকাগুলোতে উপযুক্ত পরিকাঠামোর সীমাবদ্ধতা এবং লজিস্টিক সমস্যাও ব্লিঙ্কিটের বিস্তার বাধাগ্রস্ত করে।

এমন একটা সময় কি আসতে চলেছে, যেখানে মুদির দোকান আর থাকবে না! সবটাই এক্সচেঞ্জ পয়েন্ট হয়ে যাবে! খোলা বাজারে আর বিক্রি হবে না কোনও শাকসবজি বা মাছ-মাংস! ধারে কেনাবেচা বন্ধ হয়ে যাবে! আমাদের সবার পাড়ার শঙ্কর মুদিরা তখন কী করবে? বেশ কিছু সমীক্ষা তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। একটা সময় ছিল, যখন পাড়ার মুদির দোকান মানেই ছিল নির্ভরতার আরেক নাম— ধারে নেওয়া, গল্প করা, হুট করে ডিম বা মুড়ি আনতে দৌড়। কিন্তু ২০২৪ সালের ডট্যাম ইনটেলিজেন্সের (Datum Intelligence) এক সমীক্ষা বলছে, এই চেনা ছবিটাই বদলে যাচ্ছে দ্রুত।

২০১৮ সালে যেখানে মুদির দোকানের বাজারশেয়ার ছিল ৯৫%, ২০২৩-এ তা নেমে এসেছে ৯২.৬%-এ এবং অনুমান, ২০২৮ সালের মধ্যে তা আরও কমে দাঁড়াবে ৮৮.৯%-এ। ক্রেতাদের ৪৬% এখন তাঁদের নিয়মিত কেনাকাটা কুইক-কমার্স প্ল্যাটফর্মে সরিয়ে নিচ্ছেন, আর ৮২% ক্রেতা অন্তত ২৫% কেনাকাটা আগেই এই অ্যাপে সেরে ফেলেন। ফলে, দেশের বহু মুদির দোকান ৬৭% পর্যন্ত বিক্রির ধাক্কা খাচ্ছে। ফলমূল, ডাল, চাল, দুধ এমনকী উৎসবের সামগ্রীও এখন স্মার্টফোনেই পেয়ে যাচ্ছেন অনেকে। শুধু ২০২৪ সালেই প্রায় ১.২৮ বিলিয়ন ডলারের বাজার চলে গেছে এই অ্যাপ-নির্ভর প্ল্যাটফর্মে। আগামী দিনে যদি মুদির দোকানগুলি ডিজিটাল পেমেন্ট, দ্রুত ডেলিভারি আর নতুন ধরনের পরিষেবায় নিজেদের মানিয়ে নিতে না পারে, তবে পাড়ার চেনা মুখ ‘শঙ্কর মুদির দোকান’ আদৌ থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বাস্তব বলছে, বদল অবশ্যম্ভাবী।

পাড়ার মুদির দোকানগুলি ধীরে-ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র বাজারের প্রতিযোগিতায় নয়, বরং এক গভীর রাজনৈতিক নীতির ফলে। ১৯৯১ সালের পর ভারতের বাজারনীতি যখন উদার হয়ে পড়ল, তখন থেকেই কর্পোরেট সংস্থাগুলোর, খুচরো বাজারে প্রবেশ সহজ হয়ে যায়। সুপার মার্কেট থেকে শুরু করে কুইক-কমার্স অ্যাপ— সব কিছুর পেছনেই ছিল এক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নীতিগত ছাড়।

বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) খুচরো খাতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, যা অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্টের মতো বিদেশি সংস্থাগুলিকে দেশের মুদির দোকানগুলোর প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দেয়। সরকার এখন গিগ-ইকোনমিকে, ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের মডেল হিসেবে তুলে ধরছে, যেখানে স্বল্পকালীন, নিরাপত্তাহীন চাকরি প্রচারিত হচ্ছে, আর অ্যাপ-ভিত্তিক ডেলিভারি সিস্টেমকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। অথচ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ ঋণ, করছাড়, কিংবা অবকাঠামোগত সহায়তার পরিমাণ নগণ্য। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কর্পোরেট লবির রাজনৈতিক প্রভাব— যেখানে বহু স্টার্ট-আপ বা প্ল্যাটফর্মের পেছনে থাকা প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সরকারঘনিষ্ঠ সম্পর্ক— নীতিকে নির্ধারণ করছে। ফলে যা ঘটছে তা হল এক পরিকল্পিত, নীতিনির্ভর বৈষম্য— যার মূল শিকার হচ্ছেন শঙ্কর মুদির মতো আমাদের পাড়ার ছোট দোকানদাররা!