শ্যাম বেনেগালের প্রথম ছবি, ‘অঙ্কুর’ থেকেই বাবার সঙ্গে ওঁর আলাপ জমে। বারবার বলতেন, আর কারও থেকে এতটা শিখিনি, যতটা ওঁর থেকে শিখেছি। বাবাকে নিয়ে সবচেয়ে প্রামাণ্য তথ্যচিত্রটাও ওঁরই করা। মুম্বই-কলকাতা অনবরত যাতায়াত করেছিলেন ওই ছবিটার জন্য। বারবার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, কখনও আমাদের বাড়িতে, কখনও বা মুম্বইতেই। বাবা ওঁর ছবি খুবই পছন্দ করতেন, ‘মন্থন’ যেমন খুব প্রিয় ছবি ছিল বাবার।
২০১২ সালে, আমাদের সংগঠন রে সোসাইটি-র তরফে যখন সত্যজিৎ রায় মেমোরিয়াল লেকচারের আয়োজন করা হয়েছিল, এককথায় চলে এসেছিলেন কলকাতায়। আমাদের সঙ্গে ওঁর সেই শেষ দেখা।
ভারতীয় ছবির বদল নিয়ে, নিউ ওয়েভ নিয়ে অনেক কথা হত বাবা ও শ্যাম বেনেগালের। শ্যাম বেনেগালের থেকে যেমন জানতে চাইতেন, কেমনভাবে দেশের সিনেমায় বদল আসছে, তেমনই বাবার ছবি নিয়েও শ্যাম বেনেগাল বহু কিছু জানতে চাইতেন।
একটা যুগের অবসান ঘটল ওঁর প্রয়াণের মধ্য দিয়ে।