‘দো ঘুলঘুলিয়া, দো পিস্তল আপনার দিকে পাইন্ট করা আছে, আপনি হামার ওপরে কোনও কথা বলবেন না। আপনি হামার কথা বিশওয়াস না করে হামার বেইজ্জতি করেছেন। আর যদি আপনি ঝামেলা না করবেন তো কোনও লুকসান হবে না, আঙ্কেলের ভি না। কিন্তু আপনি যদি ফিরসে ও ঘোষালবাড়িতে গিয়ে ইনভেস্টিগেশন চালাবেন তো, আপনার সেফটির গ্যারান্টি হামি দিতে পারব না, সাফ বলে দিলাম।’
‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ সিনেমার আইকনিক দৃশ্যে ফেলুদার উদ্দেশে এই বজ্রহুংকার দেওয়া ভিলেন মগনলাল আপাতভাবে ভদ্রলোক ও আজকের তুলনায় কম বিপজ্জনক। কিন্তু আজ বাস্তবের মাটিতে লড়াই মূলত হাজার-হাজার দুর্ধর্ষ দুশমন বনাম জটায়ুর স্নায়ুযুদ্ধের। ইদানীং ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ খুবই চর্চিত শব্দবন্ধ, যার সৌজন্যে লক্ষ-লক্ষ মানুষ নিঃস্ব হয়েছেন। শুধুমাত্র, ২০২৪-এর প্রথম কোয়ার্টার পর্যন্ত ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে নথিভুক্ত অভিযোগ প্রায় ৭ কোটি ৪০ লক্ষ, মোট আর্থিক প্রতারণার অঙ্ক ১,৭৫০ কোটির কাছাকাছি। কিন্তু আদতে ডিজিটাল অ্যারেস্ট সত্যিই খায়, না মাথায় মাখে? কম্পিউটারের মাধ্যমে আপনাকে আচমকা কেউ হাতকড়া পরিয়ে হাজতবাস করাবে, এও কি সত্যিই সম্ভব? উত্তর হল না, একেবারেই নয়। এটি আসলে সোনার পাথর-বাটি।
ব্রিটিশ আমলের ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের বিলুপ্তি ঘটিয়ে ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে দেশে কার্যকর হয় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। আধুনিক সুরক্ষা প্রদানের স্বার্থে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি দণ্ডবিধির পরিবর্তে নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার চিন্তাভাবনা, পুরনো ১৭৭টি বিধান পরিবর্তন ও ৩৯টি উপধারার সংযুক্তি ঘটেছে। কিন্তু প্রযুক্তিগত উন্নতি আশীর্বাদ না হয়ে ক্রমশ অভিশাপ হয়ে উঠছে বলে অনেকেরই ধারণা, কারণ, ন্যায় সংহিতার ১৭৩ নং ধারায় অনলাইন বা হোয়াটসঅ্যাপে এফআইআর করার যে বিধি রয়েছে সেটি পুলিশি পরিভাষায় ‘জিরো এফআইআর’ নামে পরিচিত। অথচ, প্রতারকরা এটিকেই ডিজিটাল ডিটেনশন বা অ্যারেস্ট নামক গালভরা নাম দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
আরও পড়ুন : এআই কি চুরি করছে আপনারই মেধা? লিখছেন সৈকত ভট্টাচার্য…
ফোন করে ভুয়ো অভিযোগের ভিত্তিতে ভয় দেখানো, তারপর জেরা ও আর্থিক সহায়তার আড়ালে অনলাইন নজরদারি ও টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ডিজিটাল অ্যারেস্টের মূল উপজীব্য বিষয়। সাম্প্রতিককালে ভুয়ো আইএএস, ভুয়ো পুলিশ, ভুয়ো আধিকারিকের রমরমা আমরা দেখেছি। ১৯৬৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হীরেন নাগের একটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে যখন পুলিশ অফিসার তিনকড়ি হালদারের বেশে সৌম্যদর্শন উত্তমকুমার চন্দ্রমাধব সেনের বাড়িতে হাজির হয়ে বলছেন, ‘থানা থেকে আসছি’, তখন তাঁর সপ্রতিভ উপস্থিতি নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ জাগেনি, পর্দার এপারে থাকা দর্শকদেরও নয়। কিন্তু আজ পরিস্থিতি আলাদা, কয়েকশো নকল কেতাদুরস্ত অফিসার একইরকম সাবলীলতা বজায় রেখে আপনার মুখোমুখি হবে তথাকথিত অপরাধের তদন্ত করতে, কিন্তু তারা মুখোশের আড়ালে সৎভাবে অর্জিত অর্থ হাতানোর জন্য ওঁত পেতে আছে।
’২৪-এর অগস্টে মিরাটের বৃদ্ধ দম্পতি ও লখনউয়ের প্রবীণ চিকিৎসকের সাইবার প্রতারণার শিকার হয়ে যথাক্রমে ১ ও ২.৮১ কোটি টাকা খোয়ানোর খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। ক্রমশ সূচকের গতিতে ডিজিটাল অ্যারেস্টের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার ঘটনা বেড়েছে, ২০২২-’২৪ সময়ে দেশে এধরনের ঘটনা বৃদ্ধির হার প্রায় ১৭৯.৩%। অক্টোবরে দিল্লির রোহিণীর এক অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারকে ফোনে বলা হয়, তাইওয়ান থেকে আগত একটি পার্সেল নিষিদ্ধ ড্রাগ পরিবহণের জন্য মুম্বই বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তিকে ডিজিটাল অ্যারেস্টের ফাঁদে ফেলে মুম্বই পুলিশের ভেকধারীরা ৮ ঘণ্টা যাবৎ স্কাইপের মাধ্যমে ব্রেনওয়াশ করে, শাস্তি মুকুবের নামে নানা অছিলায় হাতিয়ে নেয় প্রায় ১০.৩ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে কল্লোলিনী কলকাতাও পিছিয়ে নেই, নভেম্বরেই লেকটাউনের বাসিন্দা প্রাক্তন সহকারী পুলিশ কমিশনার, ভুয়ো ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বদান্যতায় অ্যাপ ডাউনলোডের চক্করে খুইয়েছেন ১১ লাখ টাকা। ছটপুজোর দিনে রুবির বাসিন্দা জানতে পারেন, দিল্লির রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে যৌথ অ্যাকাউন্টে অবৈধ লেনদেনের শাস্তিস্বরূপ ভদ্রমহিলার ডিজিটাল অ্যারেস্ট ও ১৪ দিনের জেল হেফাজত হচ্ছে, এমনকী, লন্ডনে কর্মরত পুত্রেরও চাকরি খোয়ানোর সম্ভাবনা। এ-যেন হুবহু ‘হযবরল’-র প্রতিচ্ছবি। ‘প্যাঁচা গম্ভীর হয়ে বলল, সবাই চুপ কর, আমি মোকদ্দমার রায় দেব।… তখন সবাই বলল, ঐ যা! আসামী তো কেউ নেই।… নেড়াটা বোকা, সে ভাবল আসামীরাও বুঝি পয়সা পাবে, তাই সে কোনো আপত্তি করল না। হুকুম হল, নেড়ার তিনমাস জেল আর সাতদিনের ফাঁসি।’ ভদ্রমহিলার ওপর কড়া নির্দেশ ছিল, আত্মীয়, প্রতিবেশী থেকে সবজিওয়ালা কারও সঙ্গে যেন যোগাযোগ করা না হয়, সকলেই পুলিশের চর, এরপর লোকলজ্জার ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত ওই মহিলা ধাপে-ধাপে প্রতারকদের পাঠিয়েছিলেন প্রায় ৫৭.৫ লক্ষ টাকা। অবশেষে প্রতারণার অভিযোগ যখন তিনি জানাতে এসেছেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা— প্রচলিত প্রবাদটি সকলের জানা। তাই এই ধরনের আতঙ্ক উস্কে দিয়ে ক্ষমতার ভেক ধরে সাধারণের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করলেই নিমেষে পকেটস্থ হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। চিত্রনাট্যের সফল রূপায়ণের জন্য সুদৃশ্য সরকারি দপ্তরের সেট নির্মাণ বা ভুয়ো অ্যারেস্ট মেমো তৈরিও এদের বাঁ হাতের খেল।
নভেম্বরেই মুম্বইয়ের এক তরুণী একটি হোটেলে দিল্লি পুলিশের আড়ালে প্রতারণার ফাঁদে ডিজিটাল অ্যারেস্টের শিকার হয়েছেন। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ওই তরুণী তথাকথিত অপরাধের শাস্তি মুকুবের জন্য প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা দিয়েছিলেন প্রতারকদের। এ-প্রসঙ্গে বলা দরকার, থাইল্যান্ড, হংকং, তাইওয়ানের মতো দেশে কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক-যবতীদের আকর্ষণীয় চাকরির প্রলোভনের নামে ‘ডিজিটাল স্লেভ’ তৈরি খুবই পরিচিত ঘটনা। প্রথমেই পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা, অতন্দ্র পাহারায় আটক রেখে হুকুম পালন করানো, অন্যথায় শারীরিক অত্যাচার এবং পারিশ্রমিকের বহুলাংশ ক্রিপ্টোকারেন্সির অবৈধ রূপান্তরের মাধ্যমে প্রতারণা, এসব ঘটনায় কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আধিকারিকরাও ব্যতিব্যস্ত। কিন্তু ডিজিটাল অ্যারেস্টের মতো জমজমাট চিত্রনাট্য এখন ব্যাপকভাবে জাল ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। প্রথমে ফোন করে পার্সেলে ড্রাগপাচার, শিশু পাচার, অবৈধ লেনদেনের মতো মনগড়া কাহিনির মাধ্যমে ভয় দেখানো, তারপর ভিডিও কলে নিখুঁত রূপায়ণের দোসর ভুয়ো ইডি, নারকোটিক্স, সিবিআই, রিজার্ভ ব্যাংক বা ট্রাই আধিকারিক। বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা— প্রচলিত প্রবাদটি সকলের জানা। তাই এই ধরনের আতঙ্ক উস্কে দিয়ে ক্ষমতার ভেক ধরে সাধারণের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করলেই নিমেষে পকেটস্থ হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। চিত্রনাট্যের সফল রূপায়ণের জন্য সুদৃশ্য সরকারি দপ্তরের সেট নির্মাণ বা ভুয়ো অ্যারেস্ট মেমো তৈরিও এদের বাঁ হাতের খেল। তাই রোগী নয়, এই গোলমেলে রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা ও সদা সতর্কতা একমাত্র দাওয়াই। আন্তর্জাতিক ফোন কল এড়িয়ে যাওয়া, অজানা লিঙ্কে ক্লিক না করা, অচেনা নম্বরের অপ্রয়োজনীয় বাক্যালাপে গুরুত্ব না দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ ডিটেলস শেয়ার না করা, এগুলোই বাঁচার একমাত্র পথ। সকলের মাথায় রাখা জরুরি, কোনও পুলিশ আধিকারিক ফোন করে ডিজিটাল অ্যারেস্টের কথা বলতে পারেন না, সন্ধেবেলায় কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার আপনাকে কেওয়াইসি আপডেট বা ডেবিট কার্ড চালু করার জন্য ফোন করবেন না, তাই আমরা হুঁশিয়ার হলে অপরাধীরা পালিয়ে পগারপার হবে, ভয় নেই। তবুও মানুষ উন্নততর জীব হওয়া সত্ত্বেও তো ভুল করে ফেলে, তাই কোনও-ক্রমে প্রতারিত হলে মুশকিল আসান হিসেবে আছে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টাল (যেখানে দৈনিক অভিযোগের হার শতকরা ৩৫০) ও টোল ফ্রি নম্বর ১৯৩০।
ডিজিটাল অ্যারেস্টের এই ধারণা বহুদিন আগে থেকেই প্রচলিত, যা ‘ফিশিং অ্যাটাক’ নামে পরিচিত। ১৯৯০ বা তার আশেপাশে আমেরিকাতে প্রথম এ-ধরনের ফিশিং জাতীয় সাইবার আক্রমণের কথা শোনা যায়। প্রথমেই বৈধ পরিচিত কোনও সংস্থার ভান করে তাঁদের তরফে ইমেইল করে ভুয়ো ওয়েবসাইটের ফাঁদ, যেখানে দৃষ্টিনন্দন লে-আউট, লোগো দেখে একবারের জন্যও কোনও উপভোক্তা বিভ্রান্ত হবেন না। ওয়েবসাইটের শুরুতে এইচটিটিপিএস থাকলে সেটি সুরক্ষিত, কিন্তু অধিকাংশ ভুয়ো ডোমেইনে শুধুমাত্র এইচটিটিপি থাকলেও অনেকের চোখ এড়িয়ে যায়। আমরা প্রায়শই মেসেজ পেয়ে থাকি যে, ‘অমুক কোম্পানির পক্ষ থেকে লাকি-ড্র কনটেস্টে আপনার তমুক নম্বরটি তমুক আর্থিক মূল্যের পুরস্কার জিতেছে, সত্বর নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে স্পর্শকাতর তথ্যাবলী শেয়ার করুন ও নিজের পুরস্কার গ্রহণ করুন।’ ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’ জানা সত্ত্বেও আমরা আবেগের বশবর্তী হয়ে লিঙ্কে ক্লিক করে ভুল করে ফেলি, তারপর আফসোস করতে থাকি। ভুয়ো ওয়েবসাইটে লগইনের মাধ্যমে বিপজ্জনক সফটওয়্যার বা ম্যালওয়্যার ইনস্টল করানো, জালিয়াতির এই চালটি মাথায় রেখে আপনি সচেতন হলে কোনও ভয় নেই। সাম্প্রতিককালে বিদ্যুৎ পর্ষদের অনেক উপভোক্তা মেসেজ পেয়েছেন, ‘আপনার গত কয়েক মাসের ইলেকট্রিক বিল পেমেন্ট করা হয়নি, তাই অতিরিক্ত জরিমানা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।’ কিন্তু, আপনি প্রতি মূহূর্তে সতর্ক হলে কেউ আপনার কোনও ক্ষতি করতেই পারবে না।
পাঠকদের মনে হতেই পারে, আমরাই যদি সব বিষয়ে সচেতন হই আর আইন বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠতে পারি, তাহলে দেশের প্রশাসন, আইনকানুন আমাদের জন্য কী করছে? নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে তাঁদের কোনও কর্তব্য নেই? অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে তারাই বা কী পদক্ষেপ নিয়েছে? ইদানীং, সমাজের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে যখন ‘রক্ষকই ভক্ষক’ আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে, তখন পাঠকদের আশ্বস্ত করে এটুকু অন্তত বলা যায়, সাইবার অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে ভারত সরকার ইতিমধ্যেই প্রায় ৬.৫ লাখ সিমকার্ড ও ১,৩২,০০০ আইএমইআই নম্বর ব্লক করেছে, তদন্তের মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকা পুনরুদ্ধার হয়েছে।
গত বছরের জুন ও সেপ্টেম্বরে গলফগ্রিন, আনন্দপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা নিষিদ্ধ ড্রাগপাচার ও আর্থিক তছরূপের ভুয়া অভিযোগে মোটা অঙ্কে প্রতারিত হন। নরেন্দ্রপুর, পাটুলির কয়েকটি ভুয়ো অফিস থেকে বহু নথি বাজেয়াপ্ত হয়। এরপর দেশজুড়ে নথিভুক্ত ৯৩০টি অভিযোগের মাস্টারমাইন্ড চিন্তক রাজকে ২০২৫-এর জানুয়ারিতে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়। শতাধিক পাসবুক, সিমকার্ড, ভুয়ো মিউল অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত হলেও ছদ্মবেশে কতশত চিন্তক সর্বত্র রাজ করছে তার ইয়ত্তা নেই, এরা রক্তবীজের ঝাড়। তাই এদের মোকাবিলার জন্য দরকার শার্লক, ব্যোমকেশ, ফেলুদার মতো চোখ কান খুলে রাখার আত্মবিশ্বাস, অপরিসীম ধৈর্য, নিখুঁত পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা, তাহলেই নকল হাজরা, মন্দার বোস, মগনলালের সব জারিজুরি শেষ। ‘চোরের ওপর বাটপারি’ করার মতো আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, ডিজিটাল দুনিয়ায় বোকাদের কোনও স্থান নেই। অপরাধীর বিরুদ্ধে শেষ কথা বলবে শুধু মগজাস্ত্র, আর কেউ নয়।
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল সাইবার-ক্রাইম পোর্টাল