করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়তে-না-পড়তেই দেখলাম পড়শিরা প্রায় সকলেই ছাদে উঠে চিল-চিৎকারের মতো বিশ্রী একটা শব্দ করতে শুরু করল। চিলেকোঠা থেকে উঁকি মেরে দেখি, হঠাৎ সবার খেয়াল হয়েছে, এই লকডাউনের মওকায় বাড়ির ছাদটা ফাইবার-গ্লাসে মুড়ে নিতে হবে। এসে গেছে ডিজেল জেনসেট আর কান ঝালাপালা-করা ওয়েল্ডিং মেশিন। সে কী কান-সাফ-করা আর্তনাদ! তাতে ক’জন কোভিড রুগীর শ্বাস উঠল, আর কটা হার্ট-কেস ঘেঁটে গেল, তাতে কী আসে যায়— ছাদ কে উপর ছাউনি তো বনা লিয়া, এবার কোভিড টাটা করলেই এক-সে-এক পোস্ট-মহামারী পার্টি দেওয়া যাবে।
ঘোলা জলের মাছের টেস্টই আলাদা, আর এই মাছ শিকারের নেশা আমাদের অনেকের, ইংরেজিতে একেই বলে ‘ফিশিং ইন ট্রাবলড ওয়াটার্স’। কিন্তু এই ফিশিং যে কোন পর্যায়ে যেতে পারে এবং তাতে পাশের বাড়ির শ্যামবাবু থেকে মহাশক্তিধর রাষ্ট্রনায়ক অ্যাটমবোমা জেঠুরাও কত সহজে নেমে পড়তে পারে, সেটা কোভিড না এলে বোঝা যাচ্ছিল না। লক্ষ করলেই দেখা যাবে, যত রোগ ছড়াচ্ছে, ততই পলিটিকাল, জিওপলিটিকাল এবং আরও নানা রকমের অবাঞ্ছিত ঘটনার লিস্ট পাল্লা দিয়ে বড় হচ্ছে। এক রাজা হুঙ্কার দিচ্ছে, করোনা সারা এলাকায় লোডশেডিং করে দিয়েছে, যা ব্যাটা এই সুযোগে প্রতিবেশী দেশের রাজাকে রাম-চিমটি কেটে আয়— কতগুলো বেপাড়ার মস্তানের সঙ্গে মিশে খুব বাড় বেড়েছে। আরেকজন ফিসফিসিয়ে বলছে, ওই দ্যাখ সব অ্যাক্টিভিস্ট মালগুলো প্যান্ডেমিকের বাজারে গর্তে লুকিয়ে আছে, এই সুযোগে চুপিচুপি নোংরা বিটুমিন তেলের (bitumen) পাইপলাইনটা এদেশে টেনে দে দিকি, চুলোয় যাক এনভায়রনমেন্ট।
অতিমারীর প্রথম লগ্নেই চেষ্টা করা হয়েছিল, কিস্টোন এক্সএল (Keystone XL) পাইপলাইন প্রোজেক্ট দ্রুততগতিতে শেষ করে পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক বিটুমিন তেল কানাডা থেকে আমেরিকা নিয়ে আসার। আন্তর্জাতিক সংস্থা IUCN-এর একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, অন্তত ২২টি দেশ কোভিডের সময়ে নিজেদের পরিবেশ-সংক্রান্ত নিয়ম বদলেছে, বা নতুন নিয়মকানুন এনেছে, যার ফলে পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বিস্তর। ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ভারতে এই প্রবণতা সর্বাধিক। মনে রাখতে হবে, এদেশে কয়লা ব্লকের বাণিজ্যিকীকরণের জন্য নিলাম-প্রক্রিয়ার সূচনাও এই কোভিড দুর্যোগের অন্ধকারে।
আবার, রোগ যেমন যেমন মাথাচাড়া দিয়েছে, ঠিক তাকেই যেন অনুসরণ করে চিনের পিপলস আর্মি ভারতের উত্তর সীমান্তে লাঠিসোটা বল্লম নিয়ে হাজির হয়েছে। ইউরোপেও একই গল্প, অন্য চরিত্র— ওমিক্রনের জুজু ক্রমে দৈত্যাকৃতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজারে হাজারে পুতিন-সেনা পৌঁছে গেছে ইউক্রেনের সীমান্তে। কেন? রাশিয়ার বক্তব্য, নেটো (NATO) তাদের পুরনো পাড়া, অর্থাৎ ইউক্রেনকে, নিজের দলে টানার মতলব করছে এবং পূর্ব এবং মধ্য-ইউরোপে পুরনো সোভিয়েত বলয়ের কিছু দেশে, অস্ত্র মজুত এবং সৈন্য মোতায়েন করছে। অপরদিকে নেটো এইসব দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে অনড়। হয়তো দুই দলই কিছুটা সত্যি বলছে, আর কিছুটা গা-জোয়ারি করছে। কিন্তু এইটুকু পরিষ্কার, এই গোলেমালে হরিবোলের খেলায় কেউই কম যাচ্ছে না।
অনেকে বলতেই পারেন, এসব নেহাত কাকতালীয়। যুদ্ধ কখনও অতিমারীর তোয়াক্কা করে না, সারা বছর ধরেই লেগে থাকে। বাড়ির ছাদ রঙিন ফাইবার-গ্লাসে ঢেকে ফেলা কি দুর্যোগের দিনক্ষণ দেখে হয়, সারাক্ষণ ধরেই তো চলছে। একথা সত্যি, গৃহনির্বাসনের দিনগুলো আমরা অনেক কিছু দেখি বা শুনি, যা দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততায় খেয়াল করি না। আবার এও হয়তো ঠিক, করোনাকালে সহনশীলতার পরীক্ষা দিতে দিতে আমাদের ধৈর্যের টেস্টটিউবটি এতটাই টইটম্বুর, একফোঁটা এক্সট্রা পড়লেই ছ্যাঁক করে ফোস্কা পড়ে যায়।
কিন্তু সঙ্গে এও মনে রাখতে হবে, যুদ্ধ বা রংবাজির ক্ষেত্রে, দুর্বল মুহূর্তে অতর্কিতে আক্রমণ করাটাই বিচক্ষণতার লক্ষণ। ‘আর্ট অফ ওয়ার’-এ সুন জু (Sun Tzu) তো বলেই দিয়েছেন, ‘যুদ্ধে মজবুত জায়গা এড়িয়ে দুর্বল জায়গায় আঘাত করাই নিয়ম।’ শত্রু (বা আধা-মিত্র) যখন রোগ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধাক্কায় দুর্বল, তখনই ব্যাটার জমি লুটে নেওয়া বা গ্রামের নাম বদলে দেওয়াই তো বুদ্ধিমানের কাজ।
নেওমি ক্লেন (Naomi Klein)-এর বহু আলোচিত বই ‘দ্য শক ডক্ট্রিন’ (The Shock Doctrine)-এ দুর্যোগ এবং দুঃসময়ের সঙ্গে নানা কর্মকাণ্ডের যোগাযোগের চুলচেরা আলোচনা রয়েছে। দেখানো হয়েছে, কীভাবে, উপস্থিত কোনও দুর্যোগের সময়ে, মানুষের বিভ্রান্তি ও অসহায়তার সুযোগ নিয়ে সেই ঘোলাজলে কোনও দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বদলে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। পিনোশের সামরিক অভ্যুথানের সুযোগে শিকাগো স্কুলের হাত ধরে পুঁজিবাদী অর্থনীতি ঢুকে পড়েছে চিলিতে, ফকল্যান্ডসের যুদ্ধের ডামাডোলের বাজারে ব্রিটেনে বয়েছে বেসরকারিকরণের বন্যা, আবার রাশিয়ায় ইয়েলৎসিন-এর জমানার শুরুর দিকে বন্দুক, কামান, পার্লামেন্টে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা— সবই ‘নিও-লিবারাল’ অর্থনীতির রাস্তা প্রশস্ত করেছে। এই ধরনের ‘শক’-এর সুযোগ নিয়ে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে শুরু করে ব্রিটেনের থ্যাচার সরকার অর্থনীতির খোলনলচে বদলে ফেলার খেলায় মেতেছিল। ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকায় How Power Profits From Disaster প্রবন্ধে ক্লেন ‘শক ট্যাক্টিক্স’-এর আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন, চিলি আর রাশিয়ার ক্ষেত্রে এই গন্ডগোল উস্কে দেওয়া হয়। অর্থাৎ কার্যসিদ্ধি করার জন্য অন্ধকারকে, দুর্যোগকে আরও গাঢ় করা যায়।
ধরে নেওয়া যাক এই করোনাভাইরাসটি কৃত্রিম নয়, হয়তো এটি মানবজাতি এবং প্রকৃতির সম্পর্কের জটিলতা (entanglement) এবং আধুনিক সভ্যতায় তার বিস্মৃতিরই ইঙ্গিতবহ, তবুও তো এই অতিমারীর আড়ালেও ওই বদলের খেলার অভাব নেই। ক্লেন দেখিয়েছেন, কীভাবে, গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোগত নিয়মকানুন বা প্রাইভেসির তোয়াক্কা না করেই আমাদের বাড়ি, ঘর, স্কুল, শহর, ক্লাসরুমে হইহই করে হাই-টেক ঢুকিয়ে দেওয়ার কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। চিনের জুজু বা প্যান্ডেমিকের ভূত দেখিয়ে গুগল, আমাজন, অ্যাপল, টেসলার মতো অতিশক্তিশালী কিছু হাই-টেক ওঝার দল, প্রায় কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই 5G, টেলিমেডিসিন, ভার্চুয়াল ক্লাসরুম, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, স্মার্ট-সিটির মতো টেকনো-দাওয়াই ঢেলে দিতে চাইছে পল্টু থেকে প্যাট্রিক সবার গলায়। এরই আরেক নাম ‘ডিজাস্টার ক্যাপিটালিজম’। টেকনোলজির প্রয়োজনীয়তার প্রশ্নের থেকেও এখানে বড় প্রশ্ন হল, যদি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয় এই ভূত-ছাড়ানো-বড়ি, তাহলে এগুলো কি জেফ বেজোস, এলন মাস্ক, গুগলকর্তা পিচাইয়ের মতো প্রাইভেট ওঝাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ, না কি এর লাগাম থাকা উচিত মানুষের হাতে?
আবার, দুর্যোগ এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধ, রক্তপাত, সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের সম্পর্ক নিয়ে কাজ করছেন জন ব্রুক (তাঁর বই Climate Change and the Course of Global History: A Rough Journey), সলোমন সিয়াং-এর মতো অনেক গবেষক। মেরুপ্রদেশের বরফের চাদরের গভীর থেকে তুলে আনা তুষারখণ্ড, সমুদ্রপৃষ্ঠের সেডিমেন্ট, জীবাশ্ম, গাছের বৃদ্ধি বলয় (tree ring) থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাগৈতিহাসিক কালের জলবায়ুকে বোঝা যেরকম সহজ হয়েছে, একইসঙ্গে ওইসব টাইম-ক্যাপসুলে উঁকি দিয়ে পরিবেশ এবং মানবসভ্যতার নিবিড় যোগাযোগ আরও স্পষ্ট হয়ে সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে হলোসিন উপযুগের অপেক্ষাকৃত উষ্ণ পরিবেশে মানুষ কৃষিকার্য এবং পশুপালন শুরু করে কৃষিভিত্তিক সমাজ গঠন করতে সক্ষম হয়। ব্রুক দেখিয়েছেন, পরিবেশ এবং জলবায়ুর আকস্মিক পরিবর্তন মানবসভ্যতার দীর্ঘ ইতিহাসের উপর শুধু ছাপই ফেলেনি, দ্বিপদী প্রাইমেট থেকে আধুনিক মানুষ হয়ে ওঠার বিবর্তনের পথেও তার প্রভাব রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, ডারউইনীয় বিবর্তনের ধীর-গতির (gradualist) বিপরীতে যে আকস্মিকতাবাদের (catastrophism) ধারণা রয়েছে, তাতে বলা হয়, বিবর্তন সবসময় ধীরে হয় না, কখনও-কখনও তার মধ্যে দ্রুততা এবং আকস্মিকতা লক্ষ করা যায়। লেখার মধ্যে যেমন দাঁড়ি, কমা, কোলন দিয়ে আমরা গল্পের গতি বাড়িয়ে-কমিয়ে দিই, সেরকম ভাবেই বিবর্তনের স্টোরিলাইনেও যতিচিহ্ন ছড়ানো। স্টিফেন জে গুল্ড এবং নাইলস এলড্রেজ-এর এই ‘পাংচুয়েটেড ইকুইলিব্রিয়াম’ (punctuated equilibrium) তত্ত্বই আরও মজবুত হয়, যখন ওইসব বরফ বা সমুদ্রগর্ভের ‘টাইম ক্যাপসুল’ থেকে আমরা পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসের আকস্মিক ঘটনাসমূহ এবং যতিচিহ্নগুলি দেখতে পাই। ওই ইতিহাস পড়তে-পড়তে, বিবর্তনের বাঁকাচোরা পথের দিকে নজর রাখলে, ব্রুকের মতো, আমরাও জীবজগতের সঙ্গে পৃথিবীর ইতিহাসের নিবিড় যোগাযোগ আরও স্পষ্টভাবে দেখতে পাব।
পারিবারিক কলহ থেকে যুদ্ধ, কতটা জলবায়ু এবং আবহাওয়া-নির্ভর, এই বিষয় নিয়েও বিস্তর গবেষণা চলছে, যার মধ্যে সলোমন সিয়াং-দের কাজটি উল্লেখযোগ্য। ৬০টি গবেষণাপত্র এবং ৪৫টি ডেটা-সেট ব্যবহার করে ওঁরা দেখিয়েছেন উষ্ণতা, বৃষ্টি অথবা তুষারপাত স্বাভাবিকের থেকে কম বা বেশি হলেই অশান্তি বা সংঘর্ষের (conflict) সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আবার গরম বা বর্ষা বাড়লে, ধাপে-ধাপে কী অনুপাতে কনফ্লিক্ট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে সেটিও অঙ্ক করে দেখানো হয়েছে। এই হিসেব এমনভাবে করার চেষ্টা হয়েছে, যাতে সংঘর্ষের অন্যান্য কারণের প্রভাব গবেষণার ফলের উপর না পড়ে।
সাম্রাজ্যের পতন এবং নানাবিধ অশান্তির সূত্র সমুদ্রবক্ষে বা বরফের গভীরে খুঁজতে গিয়ে ইতিহাসকে বোঝার নতুন পথ দেখাচ্ছেন এইসব গবেষকরা। যেমন ভেনেজুয়েলা সংলগ্ন কারিয়াকো বেসিনে সমুদ্রের পলিমাটি ঘেঁটে প্রাচীন মায়া সভ্যতার পতনের সঙ্গে অনাবৃষ্টির যোগাযোগ লক্ষ করা গেছে। অপরদিকে ‘নেচার জিওসায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে, ক্ষুদ্র তুষারযুগের (৫৩৬-৬৬০ খ্রিস্টাব্দ) চরম আবহাওয়াকে সাসানীদ সাম্রাজ্যের পতন, চিনে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আরও কিছু ঐতিহাসিক পরিবর্তনের আনুষঙ্গিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কাঠফাটা রোদে বা প্যাচপ্যাচে গরমে মানুষের বিরক্তি উপচে পড়তে চায়। লক্ষ করে দেখবেন, এই সময়ে নানা রকমের দাবিদাওয়া-ভিত্তিক আন্দোলন, বিতর্ক যেন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বাসেট্রামে ঝগড়াঝাঁটি বেড়ে যায়, আবার খরাপ্রবণ অঞ্চলের মানুষকে কাজের আশায় ছুটতে হয় দূর প্রদেশে। ইতিমধ্যেই গবেষণায়, এই ধরনের অনাবৃষ্টিজনিত মাইগ্রেশনের সঙ্গে সিরিয়ার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের যোগাযোগ লক্ষ করা হয়েছে। আবার এড্রিয়েন লেভি ও ক্যাথি স্কট-ক্লার্ক তাঁদের ‘স্পাই স্টোরিজ’ বইয়ে দেখিয়েছেন, কীভাবে লস্কর-এ-তৈবার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর লোকজন দক্ষিণ এশিয়ার সুনামি, সাইক্লোন বা ভূমিকম্পে আক্রান্ত এলাকায় গিয়ে হাজির হয়েছে, প্রথমটা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তারপর জনসমর্থন আদায় করে নিয়ে, শেষে নিজেদের উগ্রপন্থার ভিত আরও মজবুত করেছে।
প্রকৃতি এবং মানবসভ্যতার ইতিহাস ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। লোভের তাড়নায় মানুষ দুর্যোগের সুযোগ যেমন নেয়, অন্যদিকে হোমো সেপিয়েনদের সীমাহীন আকাঙ্ক্ষায় জর্জরিত প্রকৃতি ক্রমেই যেন বিকট থেকে বিকটতর রূপ ধারণ করে মানুষের অহংকারকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে যায়। এইসব কথা ভুলে গেলে বিপদ বাড়বে বই কমবে না। মনে রাখতে হবে, দুর্যোগ কৃত্রিম হোক বা প্রাকৃতিক— ভাইরাস, যুদ্ধ, অনাবৃষ্টি যাই হোক না কেন— এর ফল জটিল এবং সুদূরপ্রসারী।
ছবি এঁকেছেন চিরঞ্জিৎ সামন্ত