

কলিকাতার চড়ক গুলজার
‘হয়তো এ এক আশ্চর্য সমাপতন, যে-বিডন চড়ক বন্ধ করেছিলেন, সেই তাঁর নামাঙ্কিত রাস্তায় চড়ক এখনও কলকাতা তথা বঙ্গ বিখ্যাত। কোনও আইন, কোনও শাসন, কোনও চোখরাঙানি কলকাতার এই প্রাচীন চড়ককে বন্ধ করতে পারেনি!’ চড়ক-কিস্সা।
‘হয়তো এ এক আশ্চর্য সমাপতন, যে-বিডন চড়ক বন্ধ করেছিলেন, সেই তাঁর নামাঙ্কিত রাস্তায় চড়ক এখনও কলকাতা তথা বঙ্গ বিখ্যাত। কোনও আইন, কোনও শাসন, কোনও চোখরাঙানি কলকাতার এই প্রাচীন চড়ককে বন্ধ করতে পারেনি!’ চড়ক-কিস্সা।
‘এদের কাউকে জিজ্ঞেস করলে বিলি নিশ্চয়ই খবর পেয়ে যাবেন। কাকে জিজ্ঞেস করা যায় ভাবতে ভাবতে কিশিমোতো রাতের নির্জন সমুদ্রসৈকত ধরে হাঁটতে থাকলেন। দেখা যাক, স্থানীয় কাউকে পাওয়া যায় কি না।’
‘পারসেপশন তো এক স্বচ্ছ বেড়াল,/
কপিশ ঘোলাটে জলে মাছ খোঁজে,/
শেষমেশ শ্যাওলালিপ্ত দাঁতে নিজেকে বোঝায়/ বিভ্রান্তি মোক্ষম এক প্রাকৃতিক বল/ তারও চেয়ে তিসমার তার ক্যাওড়ামি/ (সেন্স অফ হিউমার, বুঝহ গোঁসাই!)’
‘পাহাড়ের আড়াল থেকে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা দিতেই, কুকুর বাবাজি মাথা উঁচিয়ে, ভয়ঙ্কর এক চিৎকার ছাড়লেন। সঙ্গে-সঙ্গে আশেপাশের এবং জঙ্গলের যত কুকুর-শেয়াল-নেকড়ে ইত্যাদি ছিল সবাই গলা মেলাল!’ বেড়াল, মাছ আর একটা কুকুরের গল্প।
‘যখন শুনলাম রানি মুখার্জি বলেছেন যে রোলটা যেন আমি করি, তখন সত্যিই বিশ্বাস করতে একটু অসুবিধে তো হচ্ছিল। মনে হল, রানি মুখার্জির মতো একজন অভিনেত্রী আমায় অভিনেতা হিসেবে চেনেন, কাজ দেখেছেন এবং এই রোলটার জন্য আমায় বেছেছেন!!!’
বসাই টুডু আর দ্রৌপদী, মহাশ্বেতা দেবীর এই গল্পদুটো আমার মধ্যে একটা উথালপাতাল তৈরি করে এবং তার থেকেই এই গানটা তৈরি। আমারও মনে হয় শেষে গিয়ে জাস্টিস কখনই হয় না, বিশেষত, নীচের তলার মানুষদের সঙ্গে। তারা বিচারের আশায় কেবল দিন গোনে।
এখন বিখ্যাত হওয়ার জন্য বহু মানুষ যে কোনও উপায় গ্রহণ করতে প্রস্তুত। ক্ষণিক বিখ্যাত হওয়ার উপকরণও হাতের কাছেই মজুত। নীতি-আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে বিখ্যাত হওয়া এখন প্রায় ফ্যাশন। যার বিনিময়ে বিখ্যাত হওয়া, তারও অনুমতির তোয়াক্কা করে না কেউ!
‘দেখা কি হবে কখনও, ওই অন্ধে ও কাছিমে?/ শুনবে তারা সমুদ্রের যত অভিজ্ঞতা?/ এই অপার দৃষ্টিহীন স্থবির ইতিহাসে/ সবই তো আছে। কেবল নেই মাঝির কোনও কথা।’ নতুন কবিতা।
‘ব্রহ্ম ঠাকুর হঠাৎ এ রকম লাল রঙা চশমা পরবেন কেন? তাঁর মুখই বা অমন দয়ামায়াহীন ঠেকবে কেন? আশ্চর্যের হিসেব হঠাৎ গুলিয়ে গেল। সে মনেমনে ভাবল— লোকটার কথাই কি তবে ঠিক? এ বোধহয় সত্যিই ড: ব্রহ্ম ঠাকুর নয়। তাহলে রহস্যময় এই ব্যক্তিটি আসলে কে?’
‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারা এখনও শূন্য থেকে কোনও কিছু ‘সৃষ্টি’ করতে পারে না, যেটা মানবজাতি হাজার-হাজার বছর ধরে করে আসছে। চ্যাটজিপিটি আর মিডজার্নি শুধুমাত্র আন্তর্জালের বিভিন্ন এলিমেন্টকে নানাভাবে অনুকরণ বা রেপ্লিকেট করতেই শিখেছে।’ এআই-এর ক্ষমতা।
‘বুড়ো পাঁঠা চিবোতে গিয়ে চোয়াল খুলে যাওয়ার জোগাড়। আর বোঁটকা গন্ধ। তবু তা-ই বা দেয় কে? জুত করে আলু-ঝোল দিয়ে ভাত খাচ্ছিল সুবল। একটু মেটুলিও রেখেছিল শেষপাতে খাবে বলে। তিনকড়ির অবস্থা দেখে খাওয়া মাথায় উঠল।’ নতুন গল্প।
আর্দ্রতা এবং দার্ঢ্য যিনি একইসঙ্গে মিলিয়ে দিতে পেরেছিলেন তাঁর কবিতার মধ্যে, তিনি গীতা চট্টোপাধ্যায়। একদিকে চিরন্তন বাংলার নানা অনুষঙ্গ, অন্যদিকে সংলাপধর্মী স্বতন্ত্র বাচনভঙ্গি তাঁর কবিতাকে অনন্য করে তুলেছে।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.