পত্রিকা

আবীর ভট্টাচার্য

ছায়ায় আবৃত সূর্য

‘একইসঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে থাকে নাট্যচর্চাও। কলেজের প্রথম বর্ষেই নিজের নাটক ‘সংঘাত’ নিয়ে শিশির ভাদুড়ীর শ্রীরঙ্গম-এ সদলবলে অভিনয় করে এসে ১৯৫৭ সালে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে তিনি খুলে ফেললেন নিজেদের নাট্যদল ‘সুন্দরম’।’

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

পরশমণি : পর্ব ১

‘বছর ঘুরতে একটা মেয়ে হল তাদের। পরের বছর আরেকটা। নিত্যদিনের দারিদ্র সইতে সইতে সকাল-সন্ধ্যার ষোলআনি মাত করে একে অন্যকে বাপান্ত করতে শুরু করল তারা, শিরোমণির মুখ তত চলে না, পলারাণি কলহ পটু মেয়েলোক।’

মহুয়া সেন মুখোপাধ্যায়

লাল বল

‘একটা পুঁটলির মতো ছেলেকে কোলের ওপর রাখে। আয়নায় দেখা যায়— ছেলে চোখ বড় বড় করে দেখছে চারদিক। পিছনে হাড় বের করা মুখের একপাশ। কী ক্লান্তি চোখের তলায়। বাঁচার ইচ্ছেটাকে যেন কোলের ওপর বসিয়ে রেখেছে।’

কবীর চট্টোপাধ্যায়

রাজনীতির সৌজন্য, সৌজন্যের রাজনীতি

‘সৌজন্যের রাজনীতির হাত থেকে কি তবে নিস্তার আছে? সারাদিনের উটকো অকাজ ছেড়ে সত্যিকারের কাজের দিকে কি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি আবার ফিরবে? নৈরাশ্যবাদ খুব একটা কাজের জিনিস নয়, তাই আশা রাখি।’

ইমরান পারভেজ

কয়েকটি কবিতা

‘একটা আস্ত জিওল মাছ/
আমার পোশাকের ভিতর খলবল করছে।/
এক সেন্টর আঁকাবাঁকা দৌড়ে চলেছে/
আমার শৈশব পেরোনো নদীর দিকে।’

নীলার্ণব চক্রবর্তী

কয়েকটি কবিতা

‘দুজনেই দুজনের জামার প্রথম বোতামের দিকে তাকিয়ে/ রয়েছি হাঁ-করে—/ বোতাম চকচক করিতেছে শুক্রাণু-সাদা বনজ্যোৎস্নায়…/ আমাদের চোখে বড্ড আরাম দিচ্ছে সেই আলো—/ ঘুম এসে যাচ্ছে, লতানে-পাতানে ঘুম…/ আজানে-পাজানে ঘুম’

অনুপম রায়, শুভম ভট্টাচার্য্য

সিনেমায় অ্যান্টনি : পর্ব ১

বেঙ্গালুরু থেকে এবারে সোজা কলকাতা। স্থান পরিবর্তন হলেও অ্যান্টনির মনের অবস্থান খুব বেশি বদলেছে বলে মনে হয় না। নইলে কেনই বা শায়েরির মেসেজ এলে মাঝরাতে বন্ধুকে ফোন করে বলতে যাবে?

গৌতম সেনগুপ্ত

তুই, আমি, ববিদা আর বোর্হেস

‘তখন কৃষ্ণা নায়ার, মানে যে-ছিপলিটা ট্র্যাপিজের খেলা দেখাত, তার সঙ্গে ববিদার তুমুল প্রেম! তার বাপ, সার্কাস ম্যানেজার, দেড় ব্যাটারি নায়ারকে ট্রাম গুমটির গলিতে ঝেড়ে দিল ববিদা। কী করবে? ট্রু লাভের মধ্যে অত হিচখিচাং হলে মার্ডার তো হবেই?’

ঔষ্ণীক ঘোষ সোম

দিনান্তের পথিক

‘সেদিন ওঁর একটা অন্য দিক আমার সামনে খুলে গেছিল। ওঁর এই অন্যের প্রতি (তা সে ওঁর থেকে যত ছোটই হোক না কেন) শ্রদ্ধাবান হওয়ার শিক্ষা আমার শিরোধার্য হয়ে থাকবে।’

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২৯

‘হলুদ দোতলা বাড়িগুলি ভাল লাগে।/ ভাল লাগে তাদের বারান্দা থেকে মেলে রাখা কাপড় ও দুশ্চিন্তারাশি/
এত বাতাস দেয় এখানে যে গাড়িঘোড়া উড়ে যেতে চায়/ তাদের দ্বিধা ও গতিপথ নিয়ে।’

তৃণময় দাস

ব্রায়ান ট্যালবটের বিকল্প জগৎ

‘গ্র্যান্ডভিল কিন্তু একটা আদ্যপ্রান্ত হার্ডবয়েলড ডিটেকটিভ সিরিজ। হ্যাঁ, সিরিজের প্রতিটা খণ্ডে স্টিমপাঙ্ক আর ফ্যান্টাসির এলিমেন্ট বর্তমান ঠিকই, কিন্তু আসল প্লটের কেন্দ্রে রয়েছে গূঢ় রহস্য, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, অন্ধকার দুনিয়ার কার্যকলাপ, আর (অবশ্যই) ফেম ফ্যাটাল।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি: পর্ব ১৭

‘সিনেমা কতরকম ক্রাইসিসকে ঘিরে হয়, কিন্তু কোনও ছবিই বোধহয় এর আগে অফিসযাত্রাকে এভাবে প্রোটাগনিস্টের মূল ক্রাইসিস হিসেবে উপস্থাপিত করেনি। শুধু যানবাহনের অনিশ্চয়তার ফলে যে একটা লোকের জীবনটা তছনছ হয়ে যেতে পারে, এভাবে আমরা ভাবি না।’