পত্রিকা

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৬৬

মানবজাতির যে-কোনও কাজ ‘পেরে যাওয়া’র প্রতি একটা অশেষ শ্রদ্ধা আছে। সে-কাজ যদি অনৈতিকও হয়, তা-ও তা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু না-পারা নয়। জো-বাইডেন টক্করের লড়াই দিতে পারলেন না বলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। তা না হলে যে ট্রাম্পের সুবিধে!

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল: পর্ব ৩৭

‘ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি বলতে ছোটবেলায় আমি এসব লোকজনকেই বুঝতাম। তা সেই ওয়ান ম্যানের দোকানের সামনে গিয়ে আমরা একটু পিছন দিকে দাঁড়াতাম। সামনের দিকে সম্পন্ন খদ্দেরদের জমায়েত, যাঁরা একজনের জন্য এক প্লেট চাউ বা একটা গোটা রোল কিনতে পারে।’

সোহম দাস

হিটলারের মৃত্যুভয়, নাৎসিদের ছক

‘হিটলার এবার তাঁর নাগালের মধ্যে। এবার অপেক্ষা কেবল সুযোগের। শুধু হিটলার নয়, হিমলার, গোয়েরিং-সহ শীর্ষ স্থানীয় সব ক’টি শয়তানকে একসঙ্গে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছকে ফেললেন ‘প্রতিবন্ধী’ ক্লাউস।’

জয়দীপ মিত্র

একলা, একক প্রজাতন্ত্র

‘এই বইতেই অরুন্ধতী আরও বলছেন ‘যুগোস্লাভিয়ায় একটা প্রবাদ আছে— সত্যি কথাটা বলেই পালিয়ে যাও। কিন্তু কিছু লোক পালায় না। এমনকী যখন পালানো উচিত, তখনও পালায় না।’ অরুন্ধতী পালিয়ে যান না। তাঁর মুগ্ধ পাঠক যারা, তাদেরও পালাতে দেন না।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৩২

‘স্টেশন থেকে বেরোতেই ভূতেশ দেখল যে, একখানি সরকারি ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে তার আরদালি দাঁড়িয়ে আছে। অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের বাংলোয় পৌঁছে আর এক চমক; মেয়ে নিয়ে প্রভা আসছে শুনেই, পাশের বাংলোর বাঙালি অফিসারের গিন্নি একেবারে প্রদীপ, ফুল, মিষ্টি নিয়ে তৈরি।’

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ১

‘তামিল ভাষা, তাই বোঝার প্রশ্ন নেই। কিন্তু চোখ আটকে গেল একটা ছবিতে। বাজে নিউজপ্রিন্টে ততোধিক বাজে ছাপা, কিন্তু এই ছবি তো ভুল হওয়ার নয়, অন্তত কোনও ভারতীয়ের চোখে। সৌরভ গাঙ্গুলির মুখ এলটিটিইর মুখপত্রে কেন?’

শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য

ভোলেবাবা, দলিত, মরণফাঁদ

‘অসহায় মানুষ যে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে, ধরতে চায় সহযোগিতার হাত, তা ভোলেবাবারা হাড়ে-হাড়ে বোঝেন। কিন্ত বিকৃত আর্থ-সামাজিক সম্পর্কে গডম্যানদের কাছে প্রকৃত জীবনের সন্ধানের পরিণাম সুখের হয় না।’

অনুপম রায়

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ৪

‘…কলকাতা ইজ অ্যাভারেজ! মেনে নাও। দিল্লি হল রাজধানী। মুম্বই হল ফিল্ম, ফিন্যান্সের রাজধানী, বেঙ্গালুরু আই টি-র রাজধানী। আমরা নেই কোথাও এসবে। আমরা একটা পাতি শহর। তুমি এই পাতি শহরের একটা পাতি আই টি কর্মচারী।’

কবির সঙ্গে দেখা : পর্ব ৪০

কবি শুধু কবি নন, তিনি দ্রষ্টা; যিনি অনুভব করেন সময়ের হাতছানি, দেখতে পান সেই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। ভাস্কর চক্রবর্তী-র শেষ কাব্যগ্রন্থ ‘জিরাফের ভাষা’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্যসাধারণ সংযোজন, বছর কুড়ি পরেও যা একই রকম মুগ্ধতার আবেশ রেখে যায়।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি : পর্ব ২৮

‘পাঁচজনের মধ্যে কোনও সমীকরণ, প্রণয় বা বিচ্ছেদ বা যৌন আকর্ষণ, বা একটা মেয়ের প্রেমে দুজন, দুটো মেয়ের প্রেমে একজন— যার বিভিন্ন কম্বিনেশন প্রায় যে-কোনও চিত্রনাট্যকার আবশ্যিক মনে করতেন ছবিটা লিখতে গেলে— তার ধারই মাড়ানো হয় না।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৩১

‘নিজের স্বাধীনতা না হারিয়ে, পরিকল্পনা মাফিক এমন একটা ব্যবস্থা ফেঁদে ফেলায় বেশ আত্মপ্রসাদ অনুভব করল ভূতেশ। মনে মনে সে এটাও ধরে নিল যে, তার জীবন বারে বারেই বদলে যাবে; তবে সবটাই হবে তার বাস্তববুদ্ধির নিয়ম মেনে।’

শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য

ফ্রানজ কাফকার পূর্বাপর

‘একটা অফিসের জনৈক কর্মচারী যেভাবে ভয়ের পরিবেশে বাস করতে করতে নিজের কর্মক্ষেত্রে এক অর্থহীন নৈরাজ্যে ঢুকে পড়ে, তার ভয়াবহতা জন্মই নিত না যদি না একশো বছর আগে কাফকা ‘দ্য ট্রায়াল’ লিখে যেতেন।’