পত্রিকা

দূরপাল্লা : পর্ব ২০

‘দূরপাল্লা’ দৃশ্য-শ্রাব্য ডায়েরি হলেও এমন অনেক স্মৃতিই আছে যা কবির ফোনে নয়, শুধুই তাঁর মনে বন্দি হয়ে আছে। সেইসব স্মৃতি মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে— শিল্পর আদৌ কোনও সংজ্ঞা হয় কি না? এই পর্বে শিকাগো’র তেমনই এক রাতের কাহিনি।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি : পর্ব ২৫

‘শেষ শটে দেখা যায় গাড়িতে গান চালিয়ে লোকটা কখনও হাসছে, কখনও কাঁদছে। একটা টানা জয়ের গল্প তাহলে নয় এটা? এতে এক স্বেচ্ছানির্বাসিত মানুষের অল্পময় জীবনের একবগ্গা জয়গান গাওয়া হয়নি?’

আভিজাত্য তাঁর চারিত্র্য: শতবর্ষে অরুন্ধতী দেবী

‘অরুন্ধতী দেবীর বাদবাকি পরিচিতিগুলির সঙ্গে এইখানেই তাঁর ব্যক্তিচরিত্রের মিল। যে-নতমূর্তি দার্ঢ্য তাঁর সহজাত, সে নিছক অভিনয়ে আটকে থাকার ও সেখানেই দৌড় শেষ করার নয়।’

ওঝা

‘ছেলেরাও বাপকে বউয়ের ভাই সম্বোধন করতে করতে তেড়ে এসে ঝাপিয়ে পড়ে। অতঃপর বাপ-ছেলের হাতাহাতি, ঘুসোঘুসি এবং কুৎসিত গালাগালিতে পরিস্থিতি এমন কদর্য হয়ে ওঠে যে পাওনাদার প্রাণ নিয়ে পালাতে পথ পায় না।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ২১

‘তা ছাড়াও তার পৈতৃক বাড়িটি একেবারে গঙ্গার পাড়ে না হলেও, ওই এলাকাতেই; পরিবারের পুরুষেরা সকলেই শিক্ষিতও বটে; বিরজার সঙ্গে যে আদ্যনাথের মনের মিল হবে এ-দিকটাই বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছিলেন হেমকাকিমা।’

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল: পর্ব ৩৫

‘কিন্তু এসব গান শুনতে চাইলে ‘সুরধুনি’ ছাড়া উপায় নেই। তাই আমি সন্ধের মুখটায়, বাড়ি ফেরার আগে ওখানে গিয়ে দাঁড়াতাম। ওইসব গোমড়া বাচ্চারাই হয়তো আগামীর সন্ধ্যা-আরতি-প্রতিমা-নির্মলা, বা ভবিষ্যতের হেমন্ত-মান্না-শ্যামল-মানবেন্দ্র। কে বলতে পারে?’

এক শালিক: পর্ব ৬০

ধর তক্তা মার পেরেক-এর এই যুগে শিল্প থেকে খেলাধুলোর ধরনধারণ, সব কিছুরই রিমোট কন্ট্রোল ‘বাজার’-এর হাতে। তবে শুধুমাত্র বিনোদন বা চটজলদি জনপ্রিয়তার জন্য কি রীতি, প্রথা, চরিত্র, আদর্শ এসব বর্জন করা যায়?

লুই লিকি-র পরিরা

‘১৯৮৫-র ২৭ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ছ’টায়, পরিচারক এবং এক সহকর্মী-ছাত্র, প্রায় তছনছ হয়ে যাওয়া নিজস্ব কেবিনের অন্দরে, মাথায় কোনাকুনি একটা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শেষ হয়ে যাওয়া, বছর চুয়ান্ন ছুঁতে যাওয়া ডায়ান ফসে-র নিস্পন্দ শরীর খুঁজে পান।’

সং স্টোরি শর্ট : পর্ব ১৩

দুটো ভিন্নমত, যতই বিপরীতধর্মী হোক না কেন, তাদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাই প্রকৃতির ধর্ম। আনকোরা নতুন এই গানটাও সেই বহুত্ববাদের কথাই বলে। শোনা যাবে সদ্য মুক্তি পেতে চলা ‘আলাপ’ ছবিতে, অনুপম রায় ও লগ্নজিতা চক্রবর্তীর কণ্ঠে।

থাক থাক পিছুডাক

‘সেখানে তাঁর প্রতিবেশী ছিলেন একদিকে ছবি বিশ্বাস, অন্য দিকে অভি ভট্টাচার্য। বাঁশদ্রোণী থেকে পাঁচশো মিটার দূরে, বড়রাস্তার ধারেই পাবনার আরেক সন্তান, সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ২০

‘কাছে এসে দাঁড়াতেই ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল শাফিকা; অভিমানে থরথর করে কাঁপতে লাগল সুর্মাবিবিও। আজ তার চোখেমুখে রাগ নেই। বড়বিবি আর তানি-বানির সামনে, শফিকার মান-ইজ্জত এখন যেন তার নিজেরও ইজ্জতের লড়াই।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং : পর্ব ৫৪

‘কে বলে দেবে, কতটা সাহচর্য কতটা নজর কতটা শাসন আইসম্মত রকমের ভাল? কেউ যদি সারাক্ষণ সন্তানের মাথার ওপর ভনভনিয়ে উড়তে থাকে এবং চোখ পাকিয়ে বকুনি দেয়, তাকে ভাল বাপ-মা বলে? না কি যে সন্তানকে অনেকটা স্বাধীনতা দেয়… সে আরও ভাল?’