পত্রিকা

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক : পর্ব ৪৫

আমেরিকার সিয়াটেলে পুলিশের গাড়িতে মৃত্যু হয় বছর তেইশের এক ভারতীয় তরুণীর। তদন্তের স্বার্থে যে-পুলিশ আসেন, তিনি মেয়েটির মৃত্যুকে নিয়ে হাসাহাসি করেন এমন প্রমাণ পাওয়া যায়। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই প্রশ্ন ওঠে, আধুনিক সভ্যতায় এতটা দরদবিমুখ হওয়া যায় কি?

শ্রীজাত

দূরপাল্লা : পর্ব ১৪

ভ্রমণ তো শুধুই ভৌগোলিক স্থান পরিবর্তন নয়, কখনও সে মুহূর্তেই মিলিয়ে দিতে পারে বিশ্বের দুই প্রান্তের দুই বিন্দুকে। আর তার সঙ্গে জুড়ে থাকা সেই জায়গার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মানুষজন, সবই ছাপা থাকে আমাদের স্মৃতির পাতায়।

হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

কয়েকটি কবিতা

‘আমাদের সাড়ার দিকে নামমাত্র কান না দিয়েও/
মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রেনটি আকাশের দিকে তাকিয়েছিল/
আর আমরা ভীষণ তৃষ্ণার মতো শুকিয়ে যাচ্ছিলাম/
একটি মজা নদীর পাড়ে বসে বসে’

আত্রেয় মুখোপাধ্যায়

হ্যাংঝোউ খায় না মাথায় দেয়?

‘বাংলায় খেলে সচ্ছল জীবন তো দূরের কথা, ভাত জুটবে কি না ঠিক নেই। হরিয়ানা, কেরল বা তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে অনুদান, পুরস্কার, উৎসাহ ইত্যাদি পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না।’

রোদ্দুর মিত্র

সিঁড়ি

‘সে জন্যেই হয়তো শ্রাবণ প্রতিরাতে শূন্যতার সঙ্গে যুদ্ধ করে। তাকে ভাঙে। কুচি কুচি করে কাটে। তারপর ঘুমিয়ে পড়ে। ভাবে কোনও দিন জাগিবে না আর। পরদিন ঘুম ভাঙে। এজবাস্টনে পূজারা ব্যাটিং করেন। মনে হয় রাহুল দ্রাবিড়। নির্মাণ। বিনির্মাণ। একই ছায়ায়। একই মনে।’

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

পরশমণি : পর্ব ৩

‘পিসেমশাই বলেছিল, ‘ধরে নাও এইবার দেশে ফিরলে, আর ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে না!’ শিরোমণি ও-কথায় মাধ্যমিক-ফেল ছাত্রের মতো চেয়ে ছিল। জন্মে ইস্তক ঘর বলতে সে চেনে ষোলআনিতে তার সামান্য ভিটেমাটি, একটিমাত্র সদর, একটিই খিড়কি।’

অভীক মজুমদার

আমাদের দূরের জানালা

‘পল ভালেরি বলেছিলেন, কবির সন্ধান সেই স্বপ্নময় ভাষার যা জাগ্রতের। ফরাসি কবিতার সঙ্গে পুষ্করের সখ্য যেন সেই অনিঃশেষ সন্ধানের সূত্রেই গ্রথিত। লৌকিকে আঁকড়ে থেকে অলৌকিক উদ্‌ভাস খোঁজা। নিরন্তর।’

সংযুক্তা বসু

‘খারিজ’ থেকে ‘পালান’

‘কৌশিককে প্রাণিত করে মৃণালের ভাবনার চলন। ছোট্ট একটা অনুভূতি, ছোট্ট একটা মুহূর্তকে নিয়ে ছবি করতে পারতেন মৃণাল। এসে পড়ত মধ্যবিত্ত জীবনের গভীরে ঢুকে পড়া সংশয়, দুশ্চিন্তা, অভাব, স্বভাব আর মূল্যবোধ।’

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

পরশমণি : পর্ব ২

‘শিরোমণি অবাক হয়ে দেখে, মিছে কথা অবলীলায় বলা যায়, তার বউ বলে, সেও বলে আজকাল। বুড়ি ঠাকুরমার শলা শুনেই রাঁধে ওরা জামাই-বৌয়ে, কিন্তু ঠাকুরমাকে কে পোঁছে! শিরোমণি ওসব নিজের রেছিপি বলেই চালায়।’

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল : পর্ব ২৯

‘ঠিক তার পরের বছর পুজোয় সুনীলদা চলে গেলেন। কে জানে, দূরদ্রষ্টা হন তো সার্থক কবিরা, হয়তো অত আগে থাকতেই নিজের বিদায়ের পথটুকু চিনে নিতে পেরেছিলেন, আর তারই মানচিত্র সেদিন ফুটে উঠেছিল ওই কবিতায়।’

অনুপম রায়, শুভম ভট্টাচার্য্য

সিনেমায় অ্যান্টনি : পর্ব ২

শায়েরি বলেছে দেখা করতে চায়। টম বলেছে পেত্নীটার থেকে দূরে থাকতে। মায়া কর বলেছে জীবনটা সিনেমার মতো। অ্যান্টনি খানিক দোটানার মধ্যে থাকে। তবে শেষপর্যন্ত যায়। হাঁ করে শায়েরিকে দ্যাখে। কিন্তু দেখা হওয়ার পর শায়েরি তাকে কী বলে?

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং : পর্ব ৪৭

‘সব লোককে চিরদিনের জন্য দিব্যি হ্যাট হ্যাট বলে পিঠে ছপটি মারতে মারতে তাড়িয়ে বেড়ানো যায়? এবং তারা লাগ-লাগ-খুশি হয়ে ন্যাজ নাড়াতে নাড়াতে প্রভুর ছুড়ে দেওয়া ঘাস চিবোয় ও সিনেমা হল-এ জাতীয় সংগীতের সময় কাঁকালের ব্যথা সামলে ঠিইক উঠে দাঁড়ায়?’