নীল কেটলি: পর্ব ১
‘বাবাকে চিনতাম বটে, কিন্তু বড্ড দূরের মানুষ। লম্বা, ছিপছিপে, অতিশয় সুপুরুষ একটা লোক মাঝে মাঝে আসে যায়, কখনও আমাকে একটু কোলেও নেয়, কিন্তু ওই এসোজন-বোসোজনের মতোই একজন মাত্র।’ ফেলে আসা জীবনের কথা।
‘বাবাকে চিনতাম বটে, কিন্তু বড্ড দূরের মানুষ। লম্বা, ছিপছিপে, অতিশয় সুপুরুষ একটা লোক মাঝে মাঝে আসে যায়, কখনও আমাকে একটু কোলেও নেয়, কিন্তু ওই এসোজন-বোসোজনের মতোই একজন মাত্র।’ ফেলে আসা জীবনের কথা।
‘পারসেপশন তো এক স্বচ্ছ বেড়াল,/
কপিশ ঘোলাটে জলে মাছ খোঁজে,/
শেষমেশ শ্যাওলালিপ্ত দাঁতে নিজেকে বোঝায়/ বিভ্রান্তি মোক্ষম এক প্রাকৃতিক বল/ তারও চেয়ে তিসমার তার ক্যাওড়ামি/ (সেন্স অফ হিউমার, বুঝহ গোঁসাই!)’
‘পাহাড়ের আড়াল থেকে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা দিতেই, কুকুর বাবাজি মাথা উঁচিয়ে, ভয়ঙ্কর এক চিৎকার ছাড়লেন। সঙ্গে-সঙ্গে আশেপাশের এবং জঙ্গলের যত কুকুর-শেয়াল-নেকড়ে ইত্যাদি ছিল সবাই গলা মেলাল!’ বেড়াল, মাছ আর একটা কুকুরের গল্প।
‘সাউথ ওয়ার্ডে একটি লাশ পড়েছিল। লাশটি ছিল শহীদ রফিকের। লাশটি দেখে আমার মনে হল, যেন আমার ভাইয়ের মৃতদেহ দেখছি।… তখন একটি কবিতার লাইন আমার মনে গুঞ্জরিত হয়। লাইনটি হল, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি…’ ’
‘এখানে একটা কথা বলি, পশ্চিমবঙ্গের আর্ট কিন্তু বম্বে বা দিল্লির মতো কখনওই ছিল না। আমরা আলাদা, এবং তার কারণ আমাদের ইতিহাস, যে ইতিহাস অন্য কোনও রাজ্যের সঙ্গে মেলে না।… আমাদের কাজের মধ্যে জীবনের ক্ষত, অন্ধকারের আধিপত্য…’
‘ভাষা দিবসে ফুল দিয়ে সাজানোর চল ছিল সব জায়গায়। সেই জন্য ছোটবেলায় আমরা খুব এর-ওর বাড়ি থেকে ফুল চুরি করতাম। সেই দিনটায়, ফুল চুরি করার মধ্যেও যেন একটা মহৎ ব্যাপার ছিল, মনে হত সত্যিকারের বাঙালির মতো কিছু একটা করছি।’
‘ভাষাকে যে শুধু ভাষার তরে ভালবাসা যায়, ভালবাসলে তাকে নিয়ে আরও কত খাটা যায়, তা বুকের রক্তে বাংলা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বাঙালি জাতি স্বয়ং ভুলে গেল।’ প্রিয় ভাষা, আর সন্তানকে সেই ভাষায় দীক্ষিত করার সংগ্রাম নিয়ে টানা-পড়েন।
‘ছেলেমেয়েদের আমি যে কথাটি কখনও বলি না… বাংলা ভাষায় কবিতা লেখা হয়তো সহজ, কিন্তু বিজ্ঞান লেখা, বেশ কঠিন! কে জানে, হয়তো এর জন্য দায়ী আমি নিজেই— আমি সবসময় সবকিছু খুব সহজ করে লিখতে চেষ্টা করি!’ বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা।
‘আদতে এ তো রাস্তাঘাটের ভাষা, স্কুল-কলেজের ভাষা, আড্ডার ভাষা— যে রাস্তা, স্কুল, আড্ডাদের আমি নিজের ঘরবাড়ি বলেই চিনি। অন্য কোনও ভাষার থেকে একটি শব্দ বা শব্দবন্ধও ধার নেয়নি, এমন ‘বিশুদ্ধ বাংলা’ শেষ কবে শুনেছেন মনে করুন তো?’
‘অপর্ণা জিজ্ঞেস করলেন, ‘৩৬ চৌরঙ্গী লেন’ দেখেছি কি না। বললাম, হ্যাঁ।… ওই ছবি নিয়ে অনেক আলোচনা হল। এও বললেন, উৎপল দত্তের কথায়ই তিনি রাজি হয়েছিলেন জেনিফার কেন্ডলকে নিতে।’ নায়িকার সঙ্গে প্রথম দেখা।
‘আমি বাড়িতে ঢুকি। সবাই ঢুকে পড়ে। মুহূর্তে মনে পড়ে, বহুকাল আগে পড়া কাফকার ‘পেনাল কলোনি’র কথা। আমরা প্রত্যেকে যেন এক একটা গ্রেগর সামসা, লোক মানে পোক। তখন কে জানত, শ্বাসচাপা সুদীর্ঘ সময়ের এ এক শুরুয়াৎ!’ বই-উৎসবের বিপন্নতা।
‘সমস্ত জীবন দিয়ে তিনি যে গ্রন্থটি রচনা করেছেন তার নাম— বাংলাদেশ।… রক্তভেজা বাংলার মাটির প্রতিটি ধূলিকণা তিনি মর্মে ধারণ করেছেন,… অবিনাশী স্লোগান ‘জয় বাংলা’ তুলে দিয়েছেন জাতির কণ্ঠে।’ বঙ্গবন্ধুর পাঠাভ্যাস, রচনাশৈলী, রাজনৈতিক চেতনা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.